ভারতের প্রথম গর্ভবতী পুরুষ! ২০ বছর বয়সেই গর্ভধারণ, কটি সন্তানের জন্ম দিলেন তিনি?

ভারতের প্রথম গর্ভবতী পুরুষ! ২০ বছর বয়সেই গর্ভধারণ, কটি সন্তানের জন্ম দিলেন তিনি?

ভারতের প্রথম গর্ভবতী পুরুষ!
মাত্র ২০ বছর বয়সেই অন্তঃসত্ত্বা!

পেটে ভ্রূণ নিয়েই পার করেছেন
৩০টি বছর!
অপারেশনে বেরিয়ে এলো সন্তান

ভারতের কোন জায়গায় ঘটেছে
এমন ঘটনা?
কটি সন্তানের জন্ম দিলেন সেই ব্যক্তি?

বিশাল আকারের এক ভুঁড়ি। যে সে ভুঁড়ি নয়, ভুঁড়ির সাইজ এমনই দেখলেই মনে হবে অন্তঃস্বত্বা। তবে যার এই ভুঁড়ি তিনি মহিলা নন, মধ্যবয়স্ক এক পুরুষ। গোটা মহল্লায় যার পরিচয় ‘অন্তঃসত্ত্বা পুরুষ’। সত্যিই তাই, তাকে দেখলেই আপনারও মনে হবে তিনি বুঝি গর্ভে সন্তান ধারণ করেছেন। অবশ্য পাড়া প্রতিবেশীদের এইসব টিপ্পনীতে কান দিতেন না তিনি। দীর্ঘদিন এভাবেই চালিয়ে যান। টানা ৩০ বছর ভুঁড়ি নিয়ে কাটিয়েছেন জীবন। কিন্তু হঠাৎ শুরু হয় সমস্যা। ব্যাথায় ফুলে ফেঁপে উঠতে ভুঁড়িটি। আর না পারতে ছুটে যান চিকিৎসকের কাছে। আর চিকিৎসকের কাছে যেতেই বেড়িয়ে আসে ভুঁড়ি রহস্য। চিকিৎসকেরা জানান এটি ভুঁড়ি নয়, আসলে তিনি অন্তঃসত্ত্বা। শুনতে অবাক লাগছে তাই না! ভাবছেন পুরুষ হয়েও কীভাবে সন্তান ধারণ সম্ভব? এটাই সত্যি।

এমন আজব ঘটনার সাক্ষী থেকেছে গোটা নাগপুর। সেখানকার বাসিন্দা সঞ্জু ভগৎ গর্ভে ধারণ করেন সন্তান। তাও আবার একটি দুটি নয়, একেবারে দু দুটি যমজ সন্তান। ১৯৯৯ সালে তিনি অন্তঃস্বত্বা হয়ে পড়েন। ২০ বছর বয়স থেকেই ফুলতে থাকে পেট। এরপর টানা ৩০ বছর তিনি এই অবস্থায় কাটান। কিন্তু পরিস্থিতি ক্রমশ খারাপ হতে থাকে। পেটের আকার বেড়ে গিয়ে সাড়া শরীর শুকিয়ে যায়। নিঃশ্বাসও নিতে পারতেন না। খাওয়া দাওয়া বন্ধ হয়ে যায়। এরপর ছুটে আসেন মুম্বাইয়ের এক হাসপাতালে। শুরু হয় চিকিৎসা। প্রথমে মনে করা হয়, ক্যান্সারের কোনও টিউমার হবে। সেই মত চিকিৎসা এগোয়। কিন্তু চিকিৎসা যতই এগোয়, ততই বাড়তে থাকে ধোঁয়াশা। শেষমেশ চিকিৎসকেরা জানতে পারেন, সঞ্জু ভগতের পেটে টিউমার নয়, তাঁর পেটে রয়েছে ভ্রূণ। একটি নয়, দুদুটি ভ্রূণ। তিনি অন্তঃস্বত্বা। চিকিৎসকেরা অপারেশন করতে গিয়ে আবিষ্কার করেন, সঞ্জুর পেটের ভেতর রয়েছে চুলসহ শরীরের অন্যান্য অঙ্গ। যা দেখে শিউরে ওঠেন দায়িত্বরত চিকিৎসকেরা। তবে ভ্রূণগুলো কোনোটাই পরিপক্ক নয়।

চিকিৎসাবিজ্ঞানের ভাষায় বিশেষ এই শারীরিক অবস্থাকে বলা হয় ‘ফেটাস ইন ফেটু’। এক্ষেত্রে মানবশরীরে ভ্রূণ তৈরি হয়। সেই ভ্রূণতে একটি অপরিণত শিশু তৈরি হয়। এটি খুবই বিরল একটি রোগ। প্রতি লক্ষ জনের মধ্যে একজনের হয়।


Posted

in

by

Tags:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *