জানেন কি কি কারণে তৃণমূল ছেড়ে দেন শুভেন্দু অধিকারী? কীভাবে ভেঙে যায় মমতা-শুভেন্দু জুটি?

জানেন কি কি কারণে তৃণমূল ছেড়ে দেন শুভেন্দু অধিকারী? কীভাবে ভেঙে যায় মমতা-শুভেন্দু জুটি?

জানেন কি কি কারণে
তৃণমূল ছেড়ে দেন
শুভেন্দু অধিকারী?

কেন রাতারাতি যোগ দেন
বিজেপিতে?

কীভাবে ভেঙে যায়
মমতা-শুভেন্দু জুটি?

ঠিক কী ঘটেছে দুজনের মধ্যে?
কেন এত রেষারেষি?

রাজ্য সরকারকে সবচেয়ে বেশি কোণঠাসা করেন কে? এই মুহূর্তে দাঁড়িয়ে একটাই নাম সবার আগে আসবে, শুভেন্দু অধিকারী। যিনি বর্তমানে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। তৃণমূল সুপ্রিমোর সঙ্গে তাঁর সম্পর্কের সমীকরণ এই মুহূর্তে সকলেরই জানা। রাজ্যে ঘটে চলা দুর্নীতির বিরুদ্ধে সবচেয়ে বেশি সরব হতে দেখা যায় এই মানুষটিকে। কয়লা, বালি, শিক্ষা, নিয়োগ, গরু – সর্বত্র যেভাবে দুর্নীতির কালো হাত গজিয়েছে, সেই মুখোশ বারে বারে খুলে দিয়েছেন এই মানুষটি। এমনকি এই সময়ে দাঁড়িয়ে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে নানা বিষয়ে নানা অভিযোগের ভিত্তিতে মামলাও লড়েছেন তিনি। কিন্তু এক সময় এই শুভেন্দু ও মমতার সম্পর্ক ছিল অন্য রকম। শুভেন্দু অধিকারীকে বলা হত মমতা ব্যানার্জির ডান হাত। সিঙ্গুর আন্দোলনের সময় থেকেই মমতা ব্যানার্জি ও শুভেন্দু অধিকারীর সমীকরণ ছিল দেখার মত। অথচ সময়ের সাথেই সাথেই পাল্টে যায় সব। ভেঙে যায় মমতা-শুভেন্দু জুটি। তৃণমূলের ঝাণ্ডা ছেড়ে, শুভেন্দুর হাতে ওঠে বিজেপির প্রতীক। পঞ্চায়েত ভোটের আবহে আবারও উঠে এলো সেই পুরনো কাসুন্দি। কেন তৃণমূল ছেড়ে বেড়িয়ে আসেন শুভেন্দু? কেনই বা তৃণমূলকে ক্ষমতাকে সরাতে এত মরিয়া তিনি? এই প্রশ্নের উত্তর নিজেই বহুবার দিয়েছেন বহু আলোচনায়।

বরাবরই যে কথাটি বলেছেন, তৃণমূলের অন্দরে সম্মান জোটেনি তার। সম্মানের সাথে কাজ করার কোনও উপায় ছিল না শুভেন্দুর। দলত্যাগের পরপর ক্ষোভ উগড়ে দেন তৃণমূল নেত্রীর উপর। ২০২০ সালের ১৯ ডিসেম্বর তৃণমূল ছেড়ে ভারতীয় জনতা পার্টিতে যোগ দেয় শুভেন্দু অধিকারী। সে সময় জানান, দলের প্রতি দায়িত্বশীল থেকেও তিনি উপযুক্ত মর্যাদা কিংবা পদ কোনোটাই পাননি। এই প্রসঙ্গে তিনি মমতা ব্যানার্জি ও অভিষেক ব্যানার্জিকে কটাক্ষও করেন। তৃণমূল সুপ্রিমোর বিরুদ্ধে স্বজনপোষণের অভিযোগ তোলেন। তার মুখে এমনটাও শোনা যায়, টিএমসির অন্দরে বেড়ে চলা অনৈতিক কাজের ভারও নাকি তিনি আর সামলাতে পারছিলেন ন। দল বদলের পর পর তৃণমূলের অন্দরে ঘটে যাওয়া একাধিক কুকর্মের কথা সামনে আনেন। মমতা ব্যানার্জি সম্পর্কে ব্যর্থতাও তিনি তুলে ধরেন। মূলত এই সমস্ত কারণ দেখিয়ে বিজেপিতে চলে আসেন শুভেন্দু অধিকারী।

তবে শুভেন্দুর তৃণমূল ছাড়ার কারণগুলো যুক্তিহীন বলেও দাবি করেন তৃণমূলের বহু নেতা। অনেকেই শুভেন্দুর বক্তব্যের বিরোধীতাও করেন। কারো কারো মুখে শোনা যায়, সেই সময় সারদা ও নারদা কাণ্ড থেকে বাঁচতেই তিনি দল বদল করেন। আবার কেউ কেউ বলেন কেন্দ্রীয় তদন্তের হাত থেকে বাঁচতেই কেন্দ্র সরকারের আশ্রয়ে চলে আসেন শুভেন্দু। তৃণমূল ছাড়ার সময় দলে থেকে উপেক্ষিত হওয়ার বিষয়েও জানান শুভেন্দু। যা অনেক তৃণমূল নেতাই অগ্রাহ্য করেন। প্রবীণ বিজেপি নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার এক সাক্ষাৎকারে বলেন, যে সময় শুভেন্দু দল ছাড়ে সেই সময় শুভেন্দুর হাতে যথেষ্ট ক্ষমতা ছিল। তিনি সরাসরি বলেন মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার মনোবাসনা থেকে নাকি বিরোধী দলনেতা এই কাজ করেছেন।


Posted

in

by

Tags:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *