ইলেকট্রিক বিলের নিয়মে বড়সড় পরিবর্তন! দিন ও রাতের জন্য দিতে হবে আলাদা আলাদা বিদ্যুৎ বিল! শীঘ্রই আসছে কেন্দ্রের নয়া নিয়ম
ইলেকট্রিক বিলের নিয়মে
বড়সড় পরিবর্তন
এই প্রথমবার আসতে চলেছে
এমন নিয়ম
দিন ও রাতের জন্য দিতে হবে
আলাদা আলাদা বিদ্যুৎ বিল!
দিনে বিল আসবে কম
রাতে আসবে বেশি!
শীঘ্রই আসছে কেন্দ্রের
নয়া নিয়ম
বিদ্যুৎ বিল নিয়ে রাজ্যবাসীর অভিযোগ দীর্ঘদিনের। বিগত কিছু সময় ধরেই লাফিয়ে বেড়েছে বিদ্যুতের বিল। বাড়বে নাই বা কেন! চলতি বছর গরমের দাপটে ফ্যান, এসি, কুলারের চাহিদা তুঙ্গে। যার ফলে বিদ্যুতের বিলও এসেছে আকাশছোঁয়া। সব দিক বিবেচনা করেই এবার বিদ্যুৎ বিল নিয়ে নয়া নিয়ম আনতে চলেছে কেন্দ্র। এই নতুন নিয়মের ফায়দা তুলতে পারবে সাধারণ মানুষ। নিয়মটি আমজনতার জন্য বেশ লাভজনক হবে বলেই মনে করা হচ্ছে। যে নতুন নিয়মটি আনার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে, তাতে এবার থেকে দিন এবং রাতের জন্য আলাদা আলাদা ইলেকট্রিক বিল আসবে। অবাক লাগলেও সত্যি। বিষয়টি সহজ করে বললে, দিনের বেলায় যত ইউনিট বিদ্যুৎ খরচ হবে, তার উপর ২০ শতাংশ ছাড় দেওয়া হবে। কিন্তু অপরদিকে রাতে যে পরিমাণ বিদ্যুৎ খরচ হবে তার উপর ২০ শতাংশ পর্যন্ত বেশি মাশুল দিতে হবে।
কেন এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র সরকার? আসলে বিগত কিছু বছর ধরেই গোটা দেশ জুড়ে বিদ্যুতের চাহিদা অনেক বেড়েছে। এক প্রকার প্রত্যাশিতভাবেই বেড়েছে এই চাহিদা। যার ফলে গ্রিডগুলির উপর অতিরিক্ত চাপ পড়ছে। বিদ্যুতের চাহিদাও ভালোভাবে পূরণ করতে পারছে না সরকার, রীতিমত হিমশিম খাচ্ছে। সরকারের মতে এই নিয়ম চালু হলে পিক সময়ে গ্রিডগুলোর উপর চাপ কমবে। যার ফলে ঘন ঘন লোডশেডিং, লো ভোল্টেজ এর মত বিষয়গুলো কমানো যাবে। প্রাথমিকভাবে জানা যাচ্ছে, ২০২৪ সালের এপ্রিল থেকে কমার্শিয়াল ও ইন্ড্রাস্ট্রিয়াল খাতের এই নতুন নিয়ম লাগু হবে। এরপর ধীরে ধীরে অন্যান্য খাতেও এই নিয়ম লাগু করার পরিকল্পনা রয়েছে।
নতুন নিয়মে গ্রাহকেরা কতটা প্রভাবিত হবেন?
নতুন নিয়মটি চালু হলে সবচেয়ে বেশি লাভবান হবে তারা, যাদের বাড়িতে দিনের বেলায় বিদ্যুতের ব্যবহার বেশি। যেমন, অনেক পরিবারেই দিনের বেলাতে ওয়াশিং মেশিন, ডিশ ওয়াশার, আয়রনের কাজ হয়ে থাকে। এক্ষেত্রে তাদের ইলেকট্রিক বিল কম আসবে। অন্যদিকে এই নিয়মের ফলে অনেকেই ভুগবেন। যেমন রাতের বেলায় অনেকেই বিদ্যুতের ব্যাপক ব্যবহার করেন। বিশেষ করে রাতে এসির ব্যবহার বেশি হয়। সেক্ষেত্র বিদ্যুতের বিল বেশি আসার সম্ভাবনা প্রবল। তবে সব দিক থেকে বিচার করলে দেখা যাচ্ছে, এই নতুন নিয়মের ফলে গ্রিডগুলো আরও দক্ষ ও টেকসই হয়ে উঠবে। এই পরিপ্রেক্ষিতে বিদ্যুৎ মন্ত্রী আর কে সিং জানিয়েছেন-
“যেহেতু সৌর শক্তি সস্তা, তাই সৌর ঘন্টার সময় শুল্ক কম হবে, তাই গ্রাহকদের সুবিধা হবে। সৌর বিহীন সময়ে , তাপ এবং জলবিদ্যুতের পাশাপাশি গ্যাস থেকে উৎপাদিত বিদ্যুৎ -এও খরচ সৌর বিদ্যুতের চেয়ে বেশি।”
Leave a Reply