বিদেশে থেকেও পঞ্চায়েতে মনোনয়ন জমা তৃণমূলের নেতার! এর থেকে আজব ঘটনা আর কী হতে পারে! শুনে বিস্মিত আদালতও
বিদেশে থেকেও পঞ্চায়েতে
বাংলায় মনোনয়ন জমা দিলেন
তৃণমূল নেতা!
এর থেকে আজব ঘটনা
আর কী হতে পারে!
বাংলায় থেকেও মনোনয়ন
জমা দিতে পারেননি অনেকেই
সেখানে বিদেশ থেকে
কীভাবে জমা দিলেন মনোনয়ন?
নেপথ্যে রয়েছে কার হাত?
মামলা গড়াল হাইকোর্টে
অভিযোগ শুনে থ বিচারপতি
দিলেন কড়া নির্দেশ
রাজ্যজুড়ে বেজে গেছে পঞ্চায়েত ভোটের দামামা! নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণার পর থেকেই কার্যত উত্তপ্ত রাজ্য রাজনীতি। বিভিন্ন জায়গায় ঘটে চলেছে অশান্তি, বিশৃঙ্খলা, গোষ্ঠী দ্বন্দ। এমনকি প্রাণহানির ঘটনাও ঘটেছে। এবার পঞ্চায়েত ভোটের আবহের মাঝেই সামনে এলো আরও বড়সড় তথ্য। সৌদি আরবে বসেই নাকি পঞ্চায়েত ভোটের মনোনয়ন জমা দিয়েছেন এক প্রার্থী। বর্তমানে তিনি দেশের বাইরে। রয়েছেন সৌদি আরবে। সেখান থেকেই রাজ্যের পঞ্চায়েত ভোটে মনোনয়ন জমা দিলেন তিনি। এই ঘটনা সামনে আসতেই হুলস্থুল কাণ্ড রাজ্যের প্রশাসনিক মহলে। পঞ্চায়েত ভোট হোক বা অন্য যে কোনও ভোট, প্রার্থীকে মনোনয়ন জমা দিতে হবে সশরীরে হাজির থেকে। এমনকি সই করতে হবে নিজের হাতে। এটাই মনোনয়ন জমা দেওয়ার নিয়ম। কিন্তু এক্ষেত্রে সমস্ত নিয়ম লঙ্ঘন করেছেন তৃণমূলের এই প্রার্থী। এমনকি তার অবর্তমানে নকল সই করে মনোনয়ন জমা দেওয়ার অভিযোগও সামনে এসেছে।
ইতিমধ্যেই মনোনয়নে বেনিয়মের জেরে ওই তৃণমূল প্রার্থীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে কলকাতা হাইকোর্টে।
অভিযুক্ত তৃণমূল প্রার্থীর নাম মোহারুদ্দিন গাজি ৷ তিনি মিনখাঁর কুমারজোলের শাসকদলের প্রার্থী। মিনাখাঁর কুমারজোল গ্রাম থেকে শাসক দলের হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন তিনি৷ কিন্তু বিদেশে বসে কীভাবে এমন কাণ্ড ঘটালেন তিনি? সন্দেহ করা হচ্ছে ব্লক উন্নয়ন আধিকারিক ও পঞ্চায়েতের রিটার্নিং অফিসারের হাত না থাকলে এইভাবে প্রার্থীর অনুপস্থিতিতে মনোনয়ন পত্র জমা দেওয়া অসম্ভব। ফলস্বরূপ মনোনয়ন পত্র জমা দেওয়ার পরিপ্রেক্ষিতেও স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। একই সাথে আরও একটি বিষয় ভাবিয়ে তুলছে, সেটি হল মিনাখাঁর কুমারজোল গ্রামের অনেকেই মনোনয়ন পত্র জমা দিতে পারেননি। অথচ সেই জায়গায় দাঁড়িয়েছে মোহারুদ্দিন গাজি বিদেশে বসে মনোনয়ন জমা দিয়ে দিলেন, যা এককথায় অনৈতিক ও অবৈধ। এই সমস্ত বিষয়ের উপর ভিত্তি করেই কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করল সিপিএম। মামলাকারীদের বক্তব্য- যেদিন পঞ্চায়েত নির্বাচনের বিজ্ঞপ্তি জারি হয়, সেদিনই দেশ ছাড়েন মিনাখাঁর কুমারজোল গ্রামের শাসক মোহারুদ্দিন গাজি। তিনি হজের উদ্দেশ্যে সৌদি আরবে রওনা দেন। গত ৪ জুন তিনি সৌদি আরবে পৌঁছান। ১৬ জুলাই রাজ্যে ফেরার কথা। এরই মধ্যে তার হয়ে এত কাজ হয়ে গেল! কীভাবে? কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহার এজলাসে এই মামলা তুলেছেন মামলাকারীরা। হাই কোর্টে মামলাকারীদের আবেদন বিষয়টি যেন খতিয়ে দেখা হয়। বিচারপতি অমৃতা সিনহার বেঞ্চ থেকে ২৮ জুনের মধ্যে ঘটনাটির তদন্ত করে রিপোর্ট জমা দেওয়া নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশনকে।
Leave a Reply