বাঁচানো গেল না টাইটানিক দেখতে যাওয়া ৫ যাত্রীকে!প্রাণহীন ঘোষণা প্রত্যেককেই, ডুবে যাওয়ার শেষ মুহূর্তে ঠিক কী ঘটেছিল? প্রকাশ্যে চাঞ্চল্যকর তথ্য

বাঁচানো গেল না টাইটানিক দেখতে যাওয়া ৫ যাত্রীকে!প্রাণহীন ঘোষণা প্রত্যেককেই, ডুবে যাওয়ার শেষ মুহূর্তে ঠিক কী ঘটেছিল? প্রকাশ্যে চাঞ্চল্যকর তথ্য

বাঁচানো গেল না
টাইটানিক দেখতে যাওয়া
৫ যাত্রীকে!

প্রাণহীন ঘোষণা প্রত্যেককেই!
টাইটানিক দেখতে গিয়েই
টাইটানিকের মতই করুণ পরিণতি!

অত্যাধিক জলের চাপ!
মুহূর্তে সর্বনাশা বিস্ফোরণ!

টুকরো টুকরো,ছিন্ন বিচ্ছিন্ন
আস্ত ডুবোজাহাজ!
পাওয়া যায়নি ৫ যাত্রীর দেহ!

কীভাবে ঘটল এই দুর্ঘটনা?
ডুবে যাওয়ার শেষ মুহূর্তে ঠিক কী ঘটেছিল?
প্রকাশ্যে চাঞ্চল্যকর তথ্য!

ইতিহাস দেখতে গিয়েই শেষমেষ নিজেরাই ইতিহাস হয়ে গেলেন। গিয়েছিলেন টাইটানিকের ভগ্নাশেষ দেখতে। যাওয়ার সময় তো সকলেই সুস্থ, সবল, আনন্দেই গেলেন। কিন্তু কে জানত, পরিণতি হবে এত ভয়ংকর! গেলেন প্রাণ নিয়ে, কিন্তু সেই প্রাণ সমেত তো আর ফেরা হল না। টাইটানিকের ভাঙা চোরা অংশের মতই, জলের তলায় সমাধিস্থ হয়ে গেলেন। গত তিন ধরেই এই ঘটনাটিকে কেন্দ্র চোখের পাতা এক করতে পারেননি কোনও মানুষ। ঠিক কি ঘটেছে?

ঘটনার সূত্রপাত, ‘ওসেন গেট’ সংস্থার ডুবোজাবহাজ টাইটানের হাত ধরে। এই সংস্থার কাজই হল ১১১ বছর আগে ডুবে যাওয়া টাইটানিকের ভগ্নাংশ ঘুরিয়ে দেখানো। সেরকই একটি দিন। পাঁচ যাত্রীকে নিয়ে টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ দেখানোর উদ্দেশ্যে রওনা দেয় এই ডুবোজাহাজটি। কানাডার পূর্বে নিউ ফাউন্ডল্যান্ডের উপকূলে থেকে যাত্রা শুরু করে ডুবোজাহাজটি। কিন্তু যাত্রা শুরুর মাত্র দেড় ঘণ্টার মধ্যে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় ডুবোজাহাজটির সঙ্গে। নানা ভাবে চেষ্টা করেও মেলেনি কোনও উপায়। এরপর ঘড়ির কাঁটা ঘুরতেই থাকে, একে একে কেটে যায় কয়েকটি রাত। থেমে থাকেনি উদ্ধারকারি সংস্থা। সময়কে পাল্লা দিয়েই মহাসমুদ্রের বুকে তন্ন তন্ন করে খোঁজ চালায় তদন্তকারীরা। অবশেষে হাতে আসে ফলাফল। যা রীতিমত মর্মান্তিক। বাঁচানো গেল না ডুবোজাহাজটির কোনও যাত্রীকে। জাহাজটিতে ছিলেন মোট ৫ জন আরোহী। ৯৬ ঘণ্টার অক্সিজেনের রসদ নিয়ে সমুদ্রে নেমেছিল জাহাজটি। তবুও বেঁচে ফিরল না একটিও ব্যক্তি। কারোরই আর অস্তিত্ব নেই।

কী ভাবে ধ্বংস হল এই ডুবোজাহজটি?

তথ্য সূত্রে জানা যাচ্ছে, আটলান্টিকের তলদেশে ভয়ংকর বিস্ফোরণে ধবংস হয়েছে ডুবোজাহাজটি। অনুমান করা হচ্ছে, সমুদ্রের তলদেশে জলের চাপ সহ্য করতে না পেরেই এই বিস্ফোরণটি ঘটেছে। অভিশপ্ত টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ যেখানে পড়ে আছে, সেখানেই মিলেছে ডুবোজাহাজের ধ্বংসাবশেষ। একই সাথে আরও মনে করা হচ্ছে ডুবোজাহাজটির মধ্যে কোনও ছিদ্র থাকা বা ছিঁড় থেকেও এই বিস্ফোরক ঘটতে পারে। এই ডুবোজাহাজটি যে বিস্ফোরণে ধবংস হয়েছে সেই অনুমানকে জোরাল করছে, ডুবোজাহাজটির সঙ্গে যোগাযোগ রাখা মাদারশিপ জাহাজ। কারণ তারা জানাচ্ছেন ডুবোজাহাজটি বিচ্ছিন্ন হওয়ার সময় তারা একটি প্রকট শব্দ শুনতে পায়। তবে এখনও পর্যন্ত যাত্রীদের দেহ উদ্ধার সম্ভব হয়নি।


Posted

in

by

Tags:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *