বড়সড় মাস্টারস্ট্রোক দিতে আমেরিকা গেলেন মোদী! খেলবেন মারাত্মক কূটনৈতিক গেম, এক একটি চালে ঘুম উড়বে চিন-পাকিস্তানের

বড়সড় মাস্টারস্ট্রোক দিতে আমেরিকা গেলেন মোদী! খেলবেন মারাত্মক কূটনৈতিক গেম, এক একটি চালে ঘুম উড়বে চিন-পাকিস্তানের

বড়সড় মাস্টারস্ট্রোক দিতে
আমেরিকা গেলেন মোদী!

খেলবেন মারাত্মক
কূটনৈতিক গেম

মোদির এক একটি মোক্ষম চালে
ঘুম উড়বে চিন-পাকিস্তানের

রাতারাতি কমবে দু দেশের শক্তি
এক ধাক্কায় পালাবে সমস্ত দাপট

ঠিক কোন কোন পরিকল্পনা নিয়ে
মার্কিন সফরে গেলেন মোদী?

জো বাইডেনের আমন্ত্রণে মার্কিন সফরে গেলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তবে এই সফর একেবারেই সাধারণ কোনও সফর নয়। এর নেপথ্যে রয়েছে বড়সড় কূটনৈতিক প্রেক্ষাপট। আপাত দৃষ্টিতে এমনটাই জানাচ্ছেন রাজনীতি বিশেষজ্ঞরা। তাদের মতে এই সবের মূলে দু দেশের সম্পর্ক মজবুত করাটাই শুধুমাত্র মূল লক্ষ্য নয়। মোদীর সমস্ত খরচ বহন করে আমেরিকায় নিয়ে যাওয়া, বিলাসবহুল আদর আপ্যায়নের ব্যবস্থা করা, একই সাথে বাইডেন দম্পতিকে মোদীর বহুমূল্যবান উপহার দেওয়া- এগুলোর পেছনে আরও বড় গভীর পরিকল্পনার আভাস পাচ্ছে আন্তর্জাতিক মহল। কি কি জল্পনা কল্পনা উঠে আসছে দেখুন এক নজরে-

এক, নরেন্দ্র মোদী কোনও স্বার্থ ছাড়া দেশ ছেড়ে বাইরে যাবেন না। এই কথা একেবারেই খাঁটি। আমেরিকায় গিয়ে নিজের মূল্যবান সময় দেওয়ার পেছনে আমেরিকার সাথে ভারতের সুসম্পর্ক স্থাপনের একটা প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন মোদী। এমনিতেও ভারতের সাথে আমেরিকার সম্পর্ক ভালো। তবে এই সম্পর্ক আরও ভালো করতে মরিয়া নরেন্দ্র মোদী।

দুই, বাইডেনের ডাকে আমেরিকা গিয়ে, নিজের চাহিদা ও গ্রহণযোগ্যতা প্রমাণেরও প্রচেষ্টা করছেন মোদী। আমেরিকা গিয়ে অন্যান্য বিশিষ্ট ব্যক্তিত্বদের সাথেও নানা ধরনের চুক্তি স্বাক্ষরের পথ প্রসারিত করে রাখছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। যেমনটা দেখা গেছে, ইলন মাস্কের ক্ষেত্রে। ইলন মাস্কের সাথে বৈঠক করেই ভারতে ইলনকে আমন্ত্রণ জানান মোদী। একই সাথে ভবিষ্যতে একসাথে পথ চলার অঙ্গীকারও করিয়ে নেন তিনি।

তিন, দু দেশের সাক্ষাৎকারের আরও একটি উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, চিন। ভারত ও আমেরিকার শত্রু দেশ চিন। নানাভাবে দু দেশের সাথে অন্তর্ঘাত লাগিয়ে আসছে চিন। বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে ভারত ও আমেরিকার সাথে রেষারেষিতে জড়িয়ে পড়ে ড্রাগনের দেশ। আশা করা হচ্ছে চিনকে চাপে রাখার কোনও কৌশলও বেরোতে পারে এই বৈঠক থেকে।

চার, এই বৈঠকের মধ্যে দিয়ে, ভারতের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে আরও বেশি মজবুত করতে আমেরিকাকে কাজে লাগাবে নয়াদিল্লী। আপাতত এই বিষয়গুলো নিয়েই জলঘোলা হচ্ছে রাজ্য রাজনীতির অন্দরে।


Posted

in

by

Tags:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *