না থেকেও বীরভূমে আছেন অনুব্রত, হাজারেরও বেশি আসনে পঞ্চায়েতে ভোটে জয়ী তৃণমূল
জেলবন্দি অনুব্রত!
তবুও কমেনি একটুও দাপট!
না থেকেও আছেন
বীরভূমের বেতাজ বাদশা!
অনুব্রতহীন বীরভূমেই
হাজারেরও বেশি আসনে
পঞ্চায়েতে ভোটে জয়ী তৃণমূল
কীভাবে দেখালেন
এমন ক্যালমা?
কোন জাদুবলে পেলেন
এত বড় সাফল্য?
সশরীরে নেই বীরভূমের বাঘ! বাঘ এখন জেল বন্দি। গরু পাচার মামলায় তিহাড় জেলেই দিন কাটাচ্ছেন বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। তার গড় এখন শূন্য। তবে বেতাজ বাদশা না থাকলে কি হবে? তার প্রভাব ও আধিপত্য এখনও বিরাজমান। সেই ছবিই ধরা পড়ছে প্রতি পদে। কারণ, পঞ্চায়েতে মনোনয়ন পর্ব মিটে যাওয়ার পর ফলাফলে দেখা গেছে,হাজারেরও বেশি আসনে একেবারয়ে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী তৃণমূল কংগ্রেস। বলা যায় ফাঁকা মাঠে গোল দিয়েই ট্রফি জিতেছে ঘাসফুল শিবির। তবে গত বছর অনুব্রত থাকাকালীন যে পরিমাণ উচ্ছাস ও জয়ের ধারা বহাল ছিল, এই বছর কিছুটা হলেও যেন ভাটা পড়েছে। এই বছর আসনসংখ্যা কিছুটা কমেছে।
২০১৮ সালে বীরভূম জেলা পরিষদে তৃণমূলের আসন ছিল ৪২ট। সেবার প্রত্যেকটি আসনেই সম্পূর্ণ বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায় জয় লাভ করে তৃণমূল। সেই বছরই বীরভূমের পঞ্চায়েত সমিতির প্রায় সব আসনই দখল করে নেয় শাসকদল। হিসেব অনুযায়ী গত বারের পঞ্চায়েত নির্বাচনে বীরভূমের প্রায় ৯৩ শতাংশ আসনে বিনা লড়াইয়ে জয় লাভ করে তৃণমূল। চলতি বছর পঞ্চায়েত নির্বাচনের দামামা বাজার আগে থেকেই সুষ্ঠু নির্বাচনের নিধান দিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। নবজোয়ার কর্মসূচী থেকেও একই বার্তা দিয়েছেন অভিষেক ব্যানার্জি। তবুও পঞ্চায়েত নির্বাচনের মনোনয়ন পর্ব থেকেই রাজ্যের বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ, প্রাণহানি, বিশৃঙ্খলার মত ঘটনা ঘটেছে। শুধু তাই নয় পরিস্থিতি এতটাই নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে, শেষমেষ হাইকোর্টকে হস্তক্ষেপ করতে হয়েছে। হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছে রাজ্যের প্রত্যেকটি পঞ্চায়েত নির্বাচন বুথে, কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোট করাতে হবে। এই নিয়ে অবশ্য, রাজ্য সরকার ও হাইকোর্টের মধ্যেও মতভেদ চরমে পৌঁছেছে।
সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন বাংলা হান্টের ওয়েভসাইটে। আমরা দায়বদ্ধ মানুষের কাছে,দায়িত্বশীল আপনার প্রয়োজনীয় খবর পৌঁছে দিতে। বাংলার সব থেকে বড় ডিজিটাল নিউজ নেটওয়ার্ক বাংলাহান্ট , বাংলা খবর মানে বাংলাহান্ট।
Leave a Reply