জানেন পশ্চিমবঙ্গের দুঃখ বলা হয় কাকে? উত্তর শুনলে আপনার মাথা ঘুরে যাবে
জানেন পশ্চিমবঙ্গের
দুঃখ বলা হয় কাকে?
এই দুঃখের জন্যই
যত কষ্ট ভোগ করে
আমাদের রাজ্য
ঘরছাড়া হয়ে পথে নামে
বহু মানুষ
সর্বস্ব হারিয়ে
হয়ে যায় গরীব
এই দুঃখের আসল পরিচয় শুনলে
হাঁ হয়ে যাবেন আপনিও
মানুষের দুঃখ হয়, কারণ মানুষের অনুভূতি আছে। কিন্তু আপনারা কি জানেন পশ্চিমবঙ্গেরও দুঃখ আছে। পশ্চিমবঙ্গেরও রাগ আছে। শুনতে অবাক লাগলেও সত্যি। নাহ পশ্চিমবঙ্গের দুঃখ অবশ্য কোনও ব্যক্তি নয়। আমাদের রাজ্যের দুঃখ একটাই, সেটা হল দামোদর নদী। হ্যাঁ একদমই ঠিক শুনেছেন। দামোদর নদীকে নিয়েই পশ্চিমবঙ্গের যত কষ্ট। এই নদী পশ্চিমবঙ্গের কোনও কথাই শোনে না। তাই দামোদরের উপর দীর্ঘদিনের অভিমান এই বাংলার। অনেকগুলো কারণেই দামোদর নদীকে দুঃখ হিসেবে ডাকা হয়। দামোদর নদীর উৎপত্তি পালামৌ জেলার খামারপাত পাহাড় থেকে। সেখানে জন্মেই বেড়ে ওঠার পথে, শাখা প্রশাখা ছাড়িয়ে, দাপাদাপি করে করে ঝাড়খণ্ড ও পশ্চিমবঙ্গ ঢোকে। এরপর প্রায় ৫৪১ কিমি পথ অতিক্রম করে কলকাতার হুগলি নদীতে মিশে যায়। এই দুরন্ত নদীর উচ্চ অববাহিকায় মিশেছে আরও অনেক ছোট ছোট উপনদী। বরাকর , কোনার , বোকারো , ও জামুনিয়া আরও অনেক। এই বন্ধু নদীগুলোকে সঙ্গী করে আরও প্রখর হয়ে উঠেছে দামোদর নদী। এক অবাধ্য নদী। যার জল বাঁধ মানানো কঠিন।
বর্ষাকালে এই নদীর রুপ দেখলে ভয় পেয়ে যাবেন। অতিরিক্ত বৃষ্টি হলেই পশ্চিমবঙ্গের হাল খারাপ করে দেয় এই নদী।
জলোচ্ছ্বাস ও জলধারার প্রবলবেগে ভয়ংকর বন্যার সৃষ্টি করে এই নদী। শুধু বন্যাই নয়, রীতিমত ক্ষয় ক্ষতির পরিমাণও বাড়িয়ে দেয়। বর্ধমান , বাঁকুড়া , হাওড়া , হুগলি জেলায় হাজার হাজার মানুষের জীবন ও ধন সম্পত্তির মারাত্মক ক্ষতি করে এই নদী। বহু মানুষ ঘরছাড়া হয়ে যায়। ঠিক এই কারণেই দামোদরকে বলা হয় পশ্চিমবঙ্গের দুঃখ।
Leave a Reply