রাজীব সিনহার পদাত্যাগ! নির্বাচন কমিশনকে উচিত শিক্ষা দিল কলকাতা হাইকোর্ট,সামনে এলো চাঞ্চল্যকর রিপোর্ট
রাজীব সিনহাকে
উচিত শিক্ষা দিল
কলকাতা হাইকোর্ট!
চরমতম শাস্তির দিকে
নির্বাচন কমিশনার!
শুনতে হল তীব্র ভর্ৎসনা!
রাজীবের জয়েনিং রিপোর্ট
ফেরত পাঠাল রাজ্যপাল
এবার কি পদত্যাগের পথে
রাজ্যের নির্বাচন কমিশনার?
কে হবেন তাঁর উত্তরসূরী?
সামনে এলো চাঞ্চল্যকর
রিপোর্ট
পঞ্চায়েত নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ধুন্ধুমার পরিস্থিতি রাজ্যজুড়ে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে, জল গড়িয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট পর্যন্ত। পঞ্চায়েত নির্বাচনের শুরু থকেই রাজ্য জুড়ে ঘটে চলেছে বিশৃঙ্খলা, অশান্তি, প্রাণহানি, গোষ্ঠী দ্বন্দ। এই পরিপ্রেক্ষিতে মামলা ওঠে কলকাতা হাইকোর্টে। সমস্ত দিক খতিয়ে দেখেই কলকাতা হাইকোর্ট রায় দেয় রাজ্যের পঞ্চায়েত নির্বাচনে কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোট করাতে হবে। গোটা রাজ্যের সমস্ত বুথেই কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন বাধ্যতামূলক। এখানেই ঘটনার সূত্রপাত! কলকাতা হাইকোর্টের রায় মানতে নারাজ রাজ্যের নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহা। রাজীব সিনহার আচরণে রীতিমত ক্ষুব্দ কলকাতা হাইকোর্টের হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম। রাজীব সিনহার একাধিক কাজের উপর ক্ষেপে যান তিনি। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল, ভোটের আগে রাজ্যে কটি স্পর্শকাতর বুথ রয়েছে তার হিসেব দিতে না পারা, মনোনয়ন পত্র জমা দেওয়া সময় যে কটি প্রাণহানি হয়েছে সে বিষয়ে অবগত না থাকা- এই বিষয়গুলোর জেরেই আদালতের ভৎসনার মুখে পড়েন রাজীব সিনহা। রাজীবের উদ্দেশে প্রধান বিচারপতি বলেন-
‘যদি চাপ সামলাতে না পারেন তাহলে ছেড়ে দিন। রাজ্যপাল বিকল্প নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ করে নেবেন।’
একই সাথে কলকাতা হাইকোর্টের রায় অবমাননার অভিযোগ ওঠে রাজীব সিনহার বিরুদ্ধে। কারণ রাজ্যের পঞ্চায়েত ভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়োগ করার রায় দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে যান রাজ্যের নির্বাচন কমিশনের প্রধান রাজীব সিনহা। অবশ্য রাজীব সিনহার সেই চ্যালেঞ্জ বাতিল করে কলকাতা হাইকোর্টের রায়কে স্বাগত জানিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।
এদিন সেই রাজীব সিনহাকেই কার্যত পদত্যাগ করার কথা বলে ভর্ৎসনা করল আদালত। শুনানিতে প্রধান বিচারপতি বলেন, হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে রাজ্য সরকার সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছিল। কিন্তু শীর্ষ আদালতও হাইকোর্টের রায় বহাল রেখে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করে রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোট করানোর নির্দেশ দিয়েছে। কিন্তু তারপরেও রাজ্য নির্বাচন কমিশন তার যথাযথ দায়িত্ব পালন করছে না। বরং দেখে মনে হচ্ছে, এমন ভাবে আদালতের নির্দেশ বলবৎ করছে যাতে প্রকৃত উদ্দেশ্য সিদ্ধ না হয়। রাজীব সিনহার এহেন আচরণে ক্ষেপে যান কলকাতা হাইকোর্টের বিচাপতি। তিনি সরাসরি নির্বাচন কমিশনের নিরপেক্ষতা ও প্রভুত্ব রয়েছে কিনা সেই প্রশ্নও তুলেছেন বার বার। শুধু আদালতই নয়, রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহার আচরণে অসন্তুষ্ট রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। তিনি রাজীব সিনহার জয়েনিং রিপোর্ট প্রত্যাখ্যান করেছেন বলে শোনা যাচ্ছে। তবে কি রাজীব সিনহা পদত্যাগ করছেন? তিনি কি আর বাংলার নির্বাচন পরিচালনার দায়িত্বে থাকছেন না। এই প্রশ্নই এখন ঘুরপাক খাচ্ছে রাজ্য রাজনীতির অন্দর মহলে! এই বিষয়ে অবশ্য জবাব দিয়েছেন রাজীব সিনহা। তিনি জানিয়েছেন, পদত্যাগ করার কোনও প্রশ্নই উঠছে না। এছাড়াও রাজ্যপাল জয়েনিং রিপোর্ট প্রত্যাখ্যান করেছেন এমন তথ্যও নাকি তিনি পাননি বলেই জানান।
Leave a Reply