করমণ্ডল দুর্ঘটনায় জড়িত বাঙালী ইঞ্জিনিয়ার! সিবিআই ডাকতেই নিখোঁজ, বাংলার ২ জায়গায় শুরু চিরুনি তল্লাশি
করমণ্ডল দুর্ঘটনায়
জড়িত বাঙালী ইঞ্জিনিয়ার
আমির খান!
সিবিআই ডাকতেই নিখোঁজ!
বাড়িতে তালা ঝুলিয়ে চম্পট!
বাড়ি সিল করল সিবিআই
পলাতকের খোঁজে
বাংলার ২ জায়গায় চিরুনি তল্লাশি!
সিবিআই মাঠে নামতেই
আসল পর্দাফাঁস!
ঘটনায় চাঞ্চল্যকর মোড়
তবে কি নেপথ্যে
রয়েছে কোনও ষড়যন্ত্র?
নাকি কোনও প্রতিশোধ?
বিরাট আপডেট দিল
সিবিআই
করমণ্ডল দুর্ঘটনা নিয়ে সামনে এলো আরও বড় রহস্য। ধীরে ধীরে খুলে যাচ্ছে অনেক জট। বেরিয়ে আসছে নতুন নতুন প্রশ্ন ও কৌতূহল। করমণ্ডলের তদন্তের ভার সিবিআইয়ের হাতে আসার পর থেকেই এটাই সবচেয়ে বড় সাফল্য। এবার কেন্দ্রীয় তদন্ত আধিকারিকদের নজরে উঠে এলো বালেশ্বরের সোরো সেকশনের রেলের জুনিয়র ইঞ্জিনিয়ার। যাকে তন্ন তন্ন করে খুঁজছে সিবিআই। ইতিমধ্যেই বাড়ি ছেড়ে পালিয়েছে ওই যুবক। করমণ্ডল দুর্ঘটনার পর থেকেই এই যুবকের উপর বাড়তি চাপ দিয়েছিল তদন্ত কমিটি। এই যুবকের অন্তর্ঘাতের কারণেই কি এত বড় বিপর্যয় ঘটে গেল? এই প্রশ্নই তদন্ত কমিটিকে ভাবিয়ে তুলছে সবচেয়ে বেশি। এরই মধ্যে যুবকের বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যাওয়া, তদন্তকারিদের সেই সন্দেহকে বাড়িয়েছে আরও দ্বিগুণ। এবার ওই যুবকের বাড়ি সিল করে দিল সিবিআই।
করমণ্ডল দুর্ঘটনায় এই জুনিয়র ইঞ্জিনিয়ারকে সবচেয়ে বেশি নজরে রাখার একটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ রয়েছে। ইনিই ছিলেন খড়গপুর ডিভিশনের সিগন্যাল বিভাগের জুনিয়ার ইঞ্জিনিয়ার। মূলত তার দায়িত্বে পরিচালিত হত ওড়িশার সোরো, ধান্দপারা, বাহানাগা বাজার স্টেশনের সিগন্যাল রুম। এনার অনুমতি না পেলে বাহানাগা বাজার স্টেশনের সিগন্যাল রুমে কোনও স্টেপ নেওয়া হত না। ইনিই মূল মাথা।
আশ্চর্যের বিষয়, করমণ্ডলের ভয়াবহ দুর্ঘটনার পর থেকেই এই ব্যক্তি সম্পূর্ণ গায়েব। তখন থেকেই তিনি নিখোঁজ। হঠাৎ তার গায়েব হয়ে যাওয়ার পেছনে বড়সড় নাশকতার গন্ধ পাচ্ছে তদন্ত কমিটি। এই ইঞ্জিনিয়ারের নাম আমির খান। তার খোঁজে বাংলায় পাড়ি দিয়েছে সিবিআই। কারণ আমির পেশা সূত্রে ওড়িশায় থাকলেও, জন্মসূত্রে সে পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দা। তাকে খুঁজতে তল্লাশি চলছে হুগলির ডানকুনি এবং পূর্ব মেদিনীপুর এলাকায়। সিবিআই তার বাড়িতেও তল্লাশি চালনো হয়েছে। কিন্তু বাড়ি গিয়ে দেখা যায়, বড় বড় তালা ঝুলিয়ে পলাতক আমির খান। সিবিআই সম্পূর্ণ বাড়িটি সিল করেছে। একই সাথে বাড়িটির উপর আলাদা করে নজরদারিরি ব্যবস্থাও করা হয়েছে। অবশ্য এক সর্বভারতীয় গণমাধ্যমের দাবি এই ইঞ্জিনিয়ার নাকি পলাতক নন।
Leave a Reply