সোনার কুঠার দিয়ে কাটা হয় পুরীর রথ তৈরির কাঠ! কারিগরদের মানতে হয় কঠিনতম নিয়ম! পুরীর রথ নির্মাণের মাহাত্ম্য গায়ে কাটা দেবে আপনারও
সোনার কুঠার দিয়ে কাটা হয়
পুরীর রথ তৈরির কাঠ
বিশেষ গাছের কাঠ দিয়ে
গড়ে ওঠে পুরীর নজরকাড়া রথ
কারিগরদের মানতে হয়
কঠিন থেকে কঠিনতম নিয়ম
না মানলেই সর্বনাশ
পুরীর রথ নির্মাণের নেপথ্যে রয়েছে
কিছু অবাক করা তথ্য
যা অবিশ্বাস্য হলেও সত্যি
নিজের চোখে না দেখলে
অনেকে বিশ্বাসও করতে পারে না এগুলি
পুরীর রথ নির্মাণের মাহাত্ম্য
শুনলে গায়ে কাটা দেবে আপনারও
জগন্নাথ দেবের রথযাত্রা মানেই সবার প্রথমেই আসে পুরীর কথা। ভগবান শ্রী কৃষ্ণের লীলাভূমি পুরীর রথযাত্রা সম্পর্কে নানান কিংবদন্তি প্রচলিত রয়েছে। বহু ভক্তবৃন্দের মনে কৌতূহল কীভাবে নির্মিত হয়েছিল পুরীর রথ! পুরীর রথ নির্মাণ এর নেপথ্যে রয়েছে অনেক অলৌকিক কাহিনী রয়েছে।
এক, পুরীর রথ নির্মাণের পূর্বে, প্রথমে ২২টি সিঁড়ি বেয়ে জগন্নাথ, বলরাম ও সুভদ্রাকে নামিয়ে আনা হয়। একে বলা হয় ‘বৈশি পঁহচা’। পুরীর মন্দিরের সিংহদুয়ার থেকে কুর্মবেড়া পর্যন্ত এই ‘বৈশি পঁহচা’র প্রত্যেকটি ধাপ খোন্ডালাইট পাথর দিয়ে তৈরি। ভক্তদের কাছে এটি অত্যন্ত পবিত্র।
দুই, প্রভু জগন্নাথের রথের নাম ‘নন্দীঘোষ’। এই রথটিকে ভগবান শ্রী কৃষ্ণের রথ বলে মানা হয়। এই রথে একজন সারথি থাকে, তার নাম দারুক। রথে মোট ১৬টি চাকা থাকে। চাকার পরিধি ৬ ফুট ৬ ইঞ্চি। শোনা যায়, এই রথটির নাম দেন স্বয়ং ইন্দ্র। জগন্নাথ দেবের রথ তৈরিতে সময় লাগে দু মাস। যে সে কাঠ দিয়ে জগন্নাথের রথ নির্মাণ করা যায় না। প্রভু জগন্নাথের রথ নির্মাণ করা হয় সোজা গাছের কাঠ দিয়ে। জগন্নাথের রথ তৈরিতে ব্যবহার করা হয় নিম ও হাঁসি গাছের কাঠ।
তিন, রথযাত্রায় জগন্নাথ, বলভদ্র এবং বোন সুভদ্রা প্রত্যেকেরই রথ তৈরি করা হয়। মোট ৩টি রথ তৈরি হয়। সুভদ্রার রথের নাম দেবদলন বা পদ্মধ্বজ। বলরামের রথের নাম তালধ্বজ। তিনটি রথ নির্মাণের জন্য ব্যবহৃত হয় ৮৮৪ টি গাছের ১২ ফুটের কাণ্ড ব্যবহার করা হয়।
চার, যারা রথ নির্মাণে যুক্ত থাকেন তাদের টানা দুমাস রথ নির্মাণের জন্য সেখানেই থাকতে হয়। এছাড়াও জগন্নাথের রথ সবাই নির্মাণ করতে পারেন না। যে সব রথ নির্মাণ শিল্পীর পরিবারের সাথে কোনও খারাপ কাজের যোগসূত্র নেই কেবলমাত্র তারাই প্রভু জগন্নাথের রথ নির্মাণে অংশগ্রহণ করতে পারেন। এছাড়াও রথ নির্মাণকারীদের টানা দু মাস নিরামিষ ও ব্রহ্মচর্য পালন করতে হয়।
পাঁচ, অক্ষয় তৃতীয়ার দিন প্রভু জগন্নাথের রথ নির্মাণ শুরু হয়। রথ তৈরির জন্য যে গাছগুলো ব্যবহৃত হয়, সেগুলো সোনার কুঠার দিয়ে কাটা হয়। কুঠারটি সবার প্রথমে ভগবান ছোঁয়ানো হয় প্রভু জগন্নাথের মূর্তির পায়ে।
Leave a Reply