এবার গোটা ইউরোপকে তুলে এনে ভারতে বসাচ্ছে মুকেশ আম্বানি! ৮০০০ একর জমিতে তৈরি হচ্ছে ২য় ইউরোপ
এবার গোটা ইউরোপকে তুলে এনে
ভারতে বসাচ্ছে মুকেশ আম্বানি
৮০০০ একর জমিতে তৈরি করছে,
অত্যাধুনিক,চোখ ধাঁধানো শহর!
ভারতের প্রথম স্মার্ট সিটি
একেই বলা হবে ২য় ইউরোপ
আসল ইউরোপকেও
১০ গোল দেবে এই শহর
যেখানে দেখা যাবে
কোটি কোটি টাকার খেলা
থাকবে বিশ্বমানের চোখ ধাঁধানো
সমস্ত সুযোগ-সুবিধা
বিমান বন্দর থেকে রেল পথ
লাক্সারিয়াস সমস্ত পরিষেবা
খরচ ৮৮০০ কোটি টাকা
কি নাম এই শহরটির?
কোথায় তৈরি হচ্ছে?
কাদের জন্য বানানো হচ্ছে এটি?
মুকেশ আম্বানি পারেন না এমন কাজ বোধ হয় ভূভারতে নেই। বারে বারে প্রমাণ করছেন টাকা থাকলেই সবই সম্ভব। এবারও টাকা দিয়েই নিজের ক্যালমা দেখাতে চলেছেন এই ভারতীয় ধনকুবের। গোটা দেশকে তাক লাগিয়ে ভারতের ভেতরেই তৈরি করতে চলেছেন আস্ত একটি শহর। যা হবে সম্পূর্ণ ইউরোপ মহাদেশের মতন। শুনতে অবাক লাগলেও এমটাই করে দেখাতে চলেছেন মুকেশ আম্বানি।
মুকেশ আম্বানির প্রকল্পটির নাম সাবসিডিয়ারি মডেল ইকনমিক টাউনশিপ লিমিটেড বা মেট সিটি। এই প্রকল্পের উদ্দেশ্যই হল দেশের মাটিতে বিশ্বমানের স্মার্ট সিটি তৈরি করা। এটি তৈরি হবে সম্পূর্ণ রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের আওতায়। হরিয়ানার ঝাজ্জারে প্রায় ৮ হাজার একর জমির উপর তৈরি হবে এই শহরটি। শহরটিতে পাওয়া যাবে সমস্ত ধরনের অত্যাধুনিক সুযোগ-সুবিধা। ইতিমধ্যেই শহরটি নির্মাণের জন্য ২২০ কেভি পাওয়ার স্টেশন, জলের সংযোগ এবং জলের ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট বসানো সম্পন্ন হয়েছে। পাশাপাশি সম্পন্ন হয়েছে এই অত্যাধুনিক শহরের রাস্তা তৈরির কাজ। মুকেশ আম্বানি এই শহরটিকে এমনভাবে তৈরি করতে চলেছেন, যাতে ভারতে আর কোনও শহর এই শহরটির ধারে কাছে না আসতে পারে। এখানে পরিষেবা দেওয়া হবে ইউরোপের মতন। শহরটি ইউরোপের জেরক্স কপি হতে চলেছে বলেও মন্তব্য করছেন অনেকেই। এই শহরটির আশেপাশে রয়েছে, দিল্লী, গুরুগ্রাম, নয়ডার মত শহরগুলি। শহরটির কাছেই অবস্থিত ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। ভবিষ্যতে এই শহরের পাশাপাশি রেলওয়ে সংযোগও গড়ে তোলা হবে। একই সাথে শহরটিতে উন্নত মানের সমস্ত পরিষেবাও উপলব্ধ করা হবে। স্কুল, কলেজ , বিশ্ববিদ্যালয় এখানেই সবই চোখ ধাঁধানো এই শহরটি নাগরিকদের কি কি সুবিধা দেবে সেগুলো এখনও প্রকাশ্যে আসেনি। তবে শোনা যাচ্ছে তালিকায় আছে বিশাল বড় চমক।
শহরটি নির্মাণের জন্য দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে জাপানের ৪টি বড় বড় সংস্থাকে। জাপানের কোহডেন, প্যানেসনিক, ডেনসো ও টি-সুজুকি সংস্থাকে এই দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এই চারটি সংস্থা ছাড়াও বিশ্বের আরও বড় বড় অনেক সংস্থাও এখানে বিনিয়োগ করতে এগিয়ে আসছে। এই প্রকল্পটির জন্য মোট বরাদ্দ হয়েছে ৮৮০০ কোটি টাকা।
Leave a Reply