শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগের আগে এই ৫টি উপদেশ দিয়েছিলেন রাবণ, জানলে জীবন বদলে যাবে
জানেন রাবণের দেওয়া
শেষ ৫টি উপদেশ কোনগুলো?
এগুলো মানলেই
আপনিও হয়ে উঠবেন মহামানব
পাল্টে যাবে গোটা জীবন
সারা বছর পাবেন
রাবণের মতন শক্তি
পদে পদে লাভ করবেন জয়
প্রাণ ত্যাগের আগেই
দিয়েিছলেন এই উপদেশগুলো
শ্রী রামচন্দ্রও দেননি
এত বড় বড় উপদেশ
যা দিয়েছেন স্বয়ং লঙ্কেশপতি
সকলেরই জানা উচিত
অনেকেরই বিশ্বাস হয় না
এগুলো রাবণের দেওয়া উপদেশ
এই ৫টি উপদেশ কি কি?
ভারতের অন্যতম প্রাচীন ধর্মীয় কাহিনী ‘রামায়ণ’। এই কাহিনীর আসল নায়ক মানা হয় রামকে। আর খল নায়ক হিসেবে দেখা হয় রাবণকে। তবে ‘রামায়ণের’ গল্পে রাম সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব পেলেও, রাবণও কিন্তু পিছিয়ে নেই। যতই তিনি মা সীতাকে হরণ করে পাপের ভাগীদার হন না কেন, মানবজীবনে রাবণের ভুমিকাও অনেক। কারণ জীবন পাল্টে দেওয়ার মত ৫টি উল্লেখযোগ্য উপদেশ আমরা রাবণের কাছ থেকেই পাই। যেগুলো খোদ রাবণ দিয়ে গেছেন। এগুলো জীবনে প্রয়োগ করলেই জীবন হবে আরও বেশি সুখময় ও উজ্জ্বল। রাবণে দেওয়া শেষ পাঁচটি উপদেশগুলো এক নজরে দেখে নিন-
এক, শুভ কাজে দেরী না করাঃ রাবণ ব্যক্তিগত জীবনেও যথেষ্ট পরিশ্রমি একজন মানুষ ছিলেন। তিনি বলে গেছেন জীবনে শুভ কাজে কখনও দেরী করতে নেই। যা কিছু মঙ্গল ও শুভ তা দ্রুত সেরে ফেলা। আজকের কাজ কালকে, কালকের কাজ পরশু এই চিন্তা দূর করারও উপদেশ দিয়েছেন লঙ্কেশপতি।
দুই, অহংকার পরিত্যাগ করাঃ গোটা রামায়ণে রাবণের পতনের মূল কারণ অহংকার। তাই তিনি নিজের অভিজ্ঞতা থেকেই জানান, জীবনে ক্ষমতার অহংকার না করতে। অহংকারকেই তিনি সর্বনাশের মূল কারণ বলে উল্লেখ করেছেন।
তিন, জীবনে সঠিক বন্ধু নির্বাচনঃ রামায়ণ রাবণকে বধ করা সহজ হত না, যদি না রাবণের নিজের ভাই বিভীষণ রামকে রাবণ বধের গোপন টোটকাটি না বলতেন। তাই রাবণের উপদেশ, জীবনে বন্ধু বা কাছের মানুষ বানানোর আগে ভেবে চিনতে পদক্ষেপ নিতে।
চার, গোপন সত্য গোপন রাখাঃ রাবণের দেওয়া গুরুত্বপূর্ণ উপদেশ, জীবনের কালো সত্য সর্বদা গোপন রাখা। ভুলে নিজের গোপন কথা কাউকে বলতে বারণ করেছেন খোদ রাবণ। প্রিয় মানুষকে নিজের কথা যত কম বলবেন বিপদ তত কম আসবে।
পাঁচ, নারীদের অবজ্ঞা না করাঃ নারীদের দেবীরুপে দেখার কথা বলেছেন। রাবণের মতে, নারী মানেই ঈশ্বরের স্বরূপ। এদের অবজ্ঞা করলেই বিপদ। একটি নারীর ক্ষমতা রয়েছে একটি জাতিকে নাশ করে দেওয়ার।
Leave a Reply