জানেন মুসলিমদের মাজারের সামনে কেন থেমে যায় পুরীর রথের চাকা? পেছনে থাকা রহস্যটি গায়ে কাঁটা দেওয়ার মত
জানেন মুসলিমদের মাজারের সামনে
কেন থেমে যায় পুরীর রথের চাকা?
প্রত্যেক বছর কেন দাঁড়িয়ে যায়
আস্ত রথ?
হাজার চেষ্টাতেও যায় না সরানো
নিজের চোখে না দেখলে
অনেকে বিশ্বাসও করতে পারে না
এই ঘটনা
এর পেছনে থাকা রহস্যটি
গায়ে কাঁটা দেওয়ার মত
পুরীর জগন্নাথ মন্দিরে নানা ধরনের নিয়ম রয়েছে। তার মধ্যে একটি হল হিন্দু ছাড়া পুরীর মন্দিরে কোনও মুসলিম ঢুকতে পারে না। পুরীর মন্দির প্রতিষ্ঠার পর থেকেই কড়াকড়িভাবে পালন করা হচ্ছে এই । প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীও ঢুকতে পারেননি পুরীর মন্দিরে। কারণ তিনি পার্সিকে বিয়ে করেছিলেন। কিন্তু অবাক করা বিষয়, পুরীর মন্দিরে মুসলিমরা না গেলেও পুরীর রথ মুসলিমদের কাছে পৌঁছে যায়। প্রত্যেক বছরই জগন্নাথের রথ ইসলাম সম্প্রদায়ের এক ব্যক্তির সমাধিস্থলের কাছে গিয়ে দাঁড়ায়। কি অবাক হচ্ছেন! তাহলে শুনুন এর পেছনে থাকা এক আজব কাহিনী।
পুরাণ অনুযায়ী একবার সুভদ্রা, বলরাম, জগন্নাথ তিন ভাইবোন মিলে নগর পরিদর্শনে বেরিয়েছিলেন। নগর পরিদর্শন শেষে তারা গুন্ডিচায় নিজের মাসির বাড়ি যান। এরপর সেখানে ৭ দিন থাকেন তাঁরা। নগরযাত্রা পূর্ণ করেই পুরীর দিকে রওনা দেন জগন্নাথ, বলরাম ও সুভদ্রা। এই সময় জগন্নাথের রথ তাঁর এক ইসলাম সম্প্রদায়ের ভক্তের সমাধির সামনে এসে থেমে যায়। লোককথা অনুযায়ী জগন্নাথের ওই মুসলিম ভক্তের নাম সালবেগ। ইনি ছিলেন জগন্নাথের একনিষ্ঠ ভক্ত। জীবিত অবস্থায় প্রভু জগন্নাথের সাথে সাক্ষাৎ করার অনেক চেষ্টা করেন। কিন্তু সেই ইচ্ছে পূরণ হয়নি সালবেগের। যেহেতু সালবেগ ছিলেন ভগবান জগন্নাথের একজন খাঁটি ভক্ত, তাই তাঁর সমাধির কাছে এলেই আর গড়ায়না রথের চাকা। হাজার চেষ্টা করলেও রথ এগোয় না। রথের চাকা তখনই ঘোরে যখন সালবেগের আত্মার শান্তি কামনা করা হয়। লোক শ্রুতি অনুযায়ী, জগন্নাথের রথের চাকাও নাকি তখনই গড়িয়েছিলে যখন তিনি সালবেগের আত্মার শান্তি কামনা করেন। এখান থেকে নাকি রথ যাত্রার সূচনা হয়।
এখনও প্রতি বছর, সালবেগের সমাধির প্রতীকীতে এসে দাঁড়ায় পুরীর রথের চাকা। এরপর প্রার্থনা করলে গড়াতে শুরু করে জগন্নাথের রথের। প্রভু জগন্নাথের কথা মাথায় রেখে আজও এই নিয়ম পালিত হয়ে আসছে। যেহেতু আর কদিন পরেই রথ, ইতিমধ্যেই উৎসবের আমেজ পুরীতে। চারিদিক থেকেই ভক্তরা এসে জমায়েত হচ্ছে পুরীধামে। নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখেই বাড়ানো হয়েছে পুলিশি তৎপরতা।
Leave a Reply