শাপে বর ঘূর্ণিঝড় ‘বিপর্যয়’! এবার খুলে যাবে বাংলার কপাল, বড়সড় সুখবর জানাল হাওয়া অফিস
শাপে বর
ঘূর্ণিঝড় ‘বিপর্যয়’
শেষমেষ ঘূর্ণিঝড়ের হাত ধরেই
খুলে যাবে বাংলার কপাল
জুটবে আশীর্বাদ
আর করতে হবে না
গরমের হাঁ হুতাশ
বড়সড় সুখবর জানিয়ে দিল
হাওয়া অফিস
ঠিক কি জানিয়েছে?
একেই বলে যে মারে, সেই রাখে! কথা হচ্ছে ঘূর্ণিঝড় বিপর্যয়কে নিয়ে। ঘূর্ণিঝড় ‘ বিপর্যয় ‘ কে কেন্দ্র করে এবার আশার আলো দেখছে হাওয়া অফিস। বিপর্যয়ের কারণে মৌসুমি বায়ু প্রবেশ করতে পারেনি পশ্চিমবঙ্গে। যে কারণে চলতি বছর রাজ্যে বর্ষা ঢুকতে এত বিলম্ব। আবার সেই বিপর্যয়ের হাত ধরেই রাজ্যে বর্ষা আগমনের ইঙ্গিত পাচ্ছে আবাহাওয়া দপ্তর। অর্থাৎ যার কারণেই এত দেরীতে বর্ষা, এবার তার কারণেই এগিয়ে আসতে পারে বর্ষা। এই নিয়ে বড়সড় আপডেট দিয়েছে হাওয়া অফিস।
হাওয়া অফিসের প্রাথমিক ইঙ্গিতে জানা গেছে, ঘূর্ণিঝড় বিপর্যয় ধীরে ধীরে শক্তি হারিয়ে, গুজরাত-রাজস্থান, মধ্য ভারত পেরিয়ে পূর্ব ভারতে ঢুকতে পারে। আর এতেই কপাল খুলতে পারে বঙ্গবাসীর। কারণ বিপর্যয়ের অবশিষ্টাংশের হাত ধরেই বদলে যেতে পারে দক্ষিণবঙ্গের হাওয়া। বিপর্যয়ের শেষ মুহূর্তের টানিং পয়েন্টের কারণেই বাংলায় ঢুকতে পারে বর্ষা। এক্ষেত্রে কীভাবে শাপে বর হয়ে উঠবে বিপর্যয়? মৌসম ভবন সূত্রে জানানো হয়েছে- বিপর্যয় সৃষ্টি হয়েছে আরব সাগরে। যার ফলে সমস্ত জলীয় বাষ্প গিয়ে মিশেছে আরব সাগরে। এদিকে দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টি হতে গেলে বঙ্গোপসাগরে জলীয় বাষ্পের প্রয়োজন। তাই এই মুহূর্তে ধীরে ধীরে বিপর্যয়ের শক্তি হ্রাস পেলে, বঙ্গোপসাগরে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ বাড়তে পারে। ফলস্বরূপ বাংলায় বর্ষা ঢুকতে আর কোনও বাঁধা থাকবে না। তবে সম্পূর্ণ বিষয়টি এখন অনুমানের উপরেই রয়েছে বলে জানিয়েছেন মৌসম ভবনের আধিকারিকেরা।
নিঃসন্দেহে এই খবরে আনন্দে আত্মহারা বঙ্গবাসী। দীর্ঘদিনের ভ্যাপসা গরম থেকে রেহাই মেলার আশায় কিছুটা হলেও যেন স্বস্তি পাচ্ছে আমজনতা। ইতিমধ্যেই রাজ্য জুড়ে বইছে হট টেম্পার। সূর্যের তেজে জ্বলে পুড়ে ছাই বঙ্গবাসী। বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, বীরভূমে পারদ এতটাই বেড়েছে মনে হচ্ছে যেন লু বইছে। এখন এই যন্ত্রণা থেকে কবে পরিত্রাণ পাবে সেই আশায় দিন গুনছে রাজ্যবাসী।
Leave a Reply