গোটা বাংলায় কবে ঢুকবে বর্ষা? কেন এত দেরী? অবশেষে ফাইনাল তারিখ জানাল হাওয়া অফিস
গোটা বাংলায়
কবে ঢুকবে বর্ষা?
কখন শেষ হবে
গরমের চোখ রাঙ্গানি?
সময় পেরিয়ে গেলেও
এখনও কেন ঢুকছে না বর্ষা?
কিসের এত দেরী?
আর কতদিন পোড়া রোদে
সেদ্ধ হবে বঙ্গবাসী?
কবে কমবে
রাতের অসহ্য গরমের অত্যাচার?
অবশেষে ফাইনাল তারিখ
জানাল হাওয়া অফিস
গরম, খুব গরম! রাজ্য জুড়ে চলছে এই তিন শব্দের হাঁ হুতাশ। সময় যত এগোচ্ছে ততই লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে গরমের দাপট। এসি, ফ্যান, কুলার সব চালিয়েও মিলছে না শান্তি। গরমকে বশে আনার সমস্ত হতিয়ারই এই মুহূর্তে অকেজো। গরমের মাত্রা এতটাই ভয়ংকর হয়ে উঠেছে, দিনে একবারের জায়গায় ৫ বার করে স্নান করছেন বেশিরভাগ মানুষ। তবুও জুড়োচ্ছে না প্রাণ। এই সময় বেড়ে যাচ্ছে হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি। শুধুমাত্র মাত্রারিক্ত গরমেই প্রাণ হারাচ্ছেন অনেকেই। এদিকে বর্ষা ঢোকার সময় পেরিয়ে গেছে বহু আগেই। এখনও বিন্দুমাত্র দেখা মেলেনি বর্ষার। উল্টে কিছুদিন ধরেই দক্ষিণবঙ্গে ভয়ানকভাবে চোখ রাঙ্গাচ্ছে গনগনে সূর্যের তেজ। এই পরিস্থিতিতে বঙ্গবাসীর একটাই প্রশ্ন, কবে মিলবে একটু শান্তির বৃষ্টি? বাংলায় পুরোপুরিভাবে বর্ষা কবে ঢুকবে?
হাওয়া অফিস সূত্রে আগেই জানানো হয়েছে চলতি বছর জুন মাসের ৭ তারিখে কেরলে ঢুকবে বর্ষা। কেরলেই সবার প্রথমে বর্ষা ঢোকে। এরপর ধীরে ধীরে সারা দেশের বিভিন্ন রাজ্যে বর্ষার প্রবেশ। তবে চলতি বছর হাওয়া অফিসের পূর্বাভাসের চেয়েও অনেকটাই দেরীতে ঢুকছে বর্ষা। তার প্রধান কারণ, দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী বায়ু প্রবেশে বাঁধা। বর্ষার মূল উপাদানই হল দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী বায়ু। চলতি বছর রাজ্যে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী বায়ু ঢোকার পথে বেশ কিছু প্রতিবন্ধকতা তৈরি হয়েছে। যার ফলে বর্ষা আসতে বিলম্ব ঘটছে। এই পরিস্থিতি কবে কাটবে, সেটাও জানিয়ে দিয়েছে আলিপুর হাওয়া অফিস। জানা গেছে, ১৮ জুন থেকে ২১ জুনের মধ্যে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী বায়ু ঢোকার সমস্ত প্রতিবন্ধকতা কেটে যাবে। ফলে আগামী সপ্তাহেই ঝমঝমিয়ে নামবে বর্ষা। গরমের হাঁ হুতাশ থেকেও রক্ষা পাবে দক্ষিণ বঙ্গের মানুষেরা।
তবে এরই মধ্যে ভয়ংকর তাপপ্রবাহের সম্ভাবনা রয়েছে পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, বীরভূম। এই সব অঞ্চলে কড়া সতর্কতা জারি করেছে হাওয়া অফি।
Leave a Reply