এবার শুক্রাণু, ডিম্বাণু ছাড়াই তৈরি হবে মানব শিশু! না লাগবে মা, না লাগবে বাবা, কীভাবে তৈরি হবে এই শিশু?

এবার শুক্রাণু, ডিম্বাণু ছাড়াই তৈরি হবে মানব শিশু! না লাগবে মা, না লাগবে বাবা, কীভাবে তৈরি হবে এই শিশু?

এবার শুক্রাণু, ডিম্বাণু ছাড়াই
পরীক্ষাগারে তৈরি হবে
জীবন্ত মানব শিশু!

না লাগবে মা
না লাগবে বাবা

স্বামী স্ত্রীর মিলন ছাড়াই
ভূমিষ্ঠ হবে ফুটফুটে সন্তান

বড়সড় অসাধ্য সাধন
করলেন বিজ্ঞানীরা

কোন দেশে আবিষ্কার হল
এই যুগান্তরকারী পদ্ধতি?
কীভাবে তৈরি হবে এই শিশু?

শুক্রাণু ডিম্বাণুর মিলনে তৈরি হয় মানবশিশু। এই ফর্মুলা জেনেই তো আমরা বড় হয়েছি। এবার এই ধারণাকেই সম্পূর্ণ বদলে দিতে চলেছে বিজ্ঞান। একদমই তাই। এবার থেকে নতুন প্রাণের বিকাশে আর লাগবে না শুক্রাণু ও ডিম্বাণু। প্রয়োজন পড়বে না বাবা মায়ের। বাবা মায়ের মিলন ছাড়াই তৈরি হবে ফুটফুটে মানবশিশু। অবাক লাগলেও এই অসম্ভবকেই সম্ভব করেছেন একদল বিজ্ঞানী। শুক্রাণু ডিম্বাণু ছাড়াই তৈরি করেছেন মানব ভ্রূণ। যা দেখে রীতিমত অবাক গোটা বিশ্ব।

এই সাফল্য়টি অর্জন করেছেন আমেরিকা এবং ব্রিটেনের এক দল বিজ্ঞানী। তারাই সম্প্রতি গবেষণা চালায় কীভাবে শুক্রাণু ও ডিম্বাণু ছাড়া মানব ভ্রূণ তৈরি করা যায় এই বিষয়টির উপর। গবেষণায় সাফল্যও অর্জন করে দলটি। তাদের দাবি, কোনও প্রকার শুক্রাণু ডিম্বাণু ছাড়াই মানব ভ্রূণ তৈরি করতে সফল হয়েছেন তাড়া। তবে এই গবেষণাটি এখনও পর্যন্ত পরীক্ষামূলক পর্যায়ে রয়েছে। যে ভ্রূণটি বিজ্ঞানীরা তৈরি করেছেন ভ্রূণটির মধ্যে এখনও হৃদস্পন্দন বা ব্রেনের মতো গুরুত্বপূর্ণ উপাদানগুলো নেই। এই উপাদানগুলো যুক্ত করতে এখনও অনেক সময় ও গবেষণার প্রয়োজন। এটি মূলত একটি সিন্থেটিক ভ্রূণ। এটি তৈরি করার পেছনে বিজ্ঞানীদের মূল উদ্দেশ্যে বিভিন্ন ধরনের অরগ্যান তৈরি করা। বিশেষ করে হাত, পা, কিডনি ইত্যাদি। বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, এই মুহূর্তে বিশ্বজুড়ে অরগ্যানের অনেক ঘাটতি। শুধুমাত্র অরগ্যানের অভাবেই বহু মানুষ প্রাণ হারাচ্ছেন। তাই এই সিনথেটিক ভ্রূণ নিয়ে কাজ করছে গবেষণা দলটি। তাদের মতে, এই গবেষণার মধ্যে দিয়েই বিভিন্ন জিনগত রোগ এবং গর্ভপাতের বহু কারণ সম্পর্কেও জানা যাবে।

এদিকে এই গোটা বিষয়টিকে কেন্দ্র করে আশঙ্কার কালো মেঘ দেখা দেখছেন বিজ্ঞানীদের একাংশ। তাদের মতে এই গোটা প্রক্রিয়াটির কোনও আইনি বৈধতা নেই। যার ফলে এটি মানবজাতিকে হুমকির মুখে ফেলতে পারে। এই গবেষণাটির সাফল্যের হার নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত এটিকে স্থগিত রাখার পরামর্শ বেশ কিছু গবেষক।


Posted

in

by

Tags:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *