তেড়েফুঁড়ে আসছে প্রবল শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় ‘বিপর্যয়’!একতলা বাড়ির সমান ঢেউ, ৮ রাজ্যে জারি কড়া সতর্কতা

তেড়েফুঁড়ে আসছে প্রবল শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় ‘বিপর্যয়’!একতলা বাড়ির সমান ঢেউ, ৮ রাজ্যে জারি কড়া সতর্কতা

তেড়েফুঁড়ে আসছে
প্রবল শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়
‘বিপর্যয়’

কয়েকঘণ্টার মধ্যেই
ভয়ানক তাণ্ডবের আশঙ্কা

একতলা বাড়ির সমান ঢেউ!
আরব সাগরে তৈরি হওয়া
দীর্ঘতম একটি সাইক্লোন

৮ রাজ্যে জারি কড়া সতর্কতা
সরানো হল ৭৪ হাজার মানুষ

আশঙ্কায় গুজরাট উপকূল
তছনছ হতে পারে পাকিস্তানও

প্রবল শক্তি নিয়ে
কোথায় আছড়ে পড়বে বিপর্যয়?
কতটা প্রভাবিত হবে পশ্চিমবঙ্গ?

আর মাত্র কিছুক্ষণ। এরপরেই চোখ রাঙাতে চলেছে ঘূর্ণিঝড় বিপর্যয়। বড়সড় আপডেট দিয়েছে আবাহাওয়া অফিস। চলতি বছরের ভয়ংকর ঘূর্ণিঝড়গুলোর মধ্যে একটি হতে চলেছে বিপর্যয়। মোকা, আম্ফানের মতই শক্তিশালী এই ঘূর্ণিঝড়টি। আরব সাগরে তৈরি হওয়া দীর্ঘতম একটি সাইক্লোন। অতি প্রবল ভয়াবহ এই ঘূর্ণিঝড়টি আছড়ে পড়তে চলেছে গুজরাটের পশ্চিম উপকূলবর্তী এলাকায়। মৌসম ভবন সূত্রে খবর, বিকেল চারটা থেকে সন্ধ্যা আটটার মধ্যে ফুলে ফেঁপে তাণ্ডব চালাতে চলেছে ঘূর্ণিঝড়টি। বিপর্যয়ের প্রভাব শুধুমাত্র গুজরাটেই নয়, পাকিস্তানেও হানা দিতে চলেছে এই ঘূর্ণিঝড়টি। হাওয়া অফিস সূত্রে বিপর্যয়ের সর্বশেষ আপডেট গতকাল রাত পর্যন্ত ঘূর্ণিঝড়টির অবস্থান ছিল গুজরাট থেকে ২০০ কিলোমিটার পশ্চিম এবং দক্ষিণ-পশ্চিমে। সময়ের সাথে সাথেই ক্রমশ এগিয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড়টি। আগের থেকে আরও বেশি শক্তি সঞ্চয় করে ফেলেছে বিপর্যয়।

ইতিমধ্যেই ফুলে ফেঁপে উত্তাল হয়ে উঠেছে সমুদ্র গর্ভ। শুরু হয়ে গেছে ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব। গুজরাটে শুরু হয়ে গেছে মাঝারি মাপের বৃষ্টিপাত। একই সাথে বিপর্যয়ের প্রভাবে বৃষ্টি শুরু হয়ে গেছে রাজস্থান পাঞ্জাব নয়া দিল্লি এবং উত্তর প্রদেশ রাজ্যে। হাওয়া অফিস সূত্রে খবর, আগামী ৪ দিন এমনটাই চলবে। একই সাথে জানানো হয়েছে এই সময় গুজরাট এবং পাকিস্তানের মধ্যবর্তী উপকূল এলাকায় ঘন্টায় হাওয়ার গতিবেগ থাকবে ১৫০ কিলোমিটার। গুজরাটের সাথে সাথে সতর্ক বার্তা পেয়েছে গুজরাটের কচ্ছ এবং সৌরাস্ট্র। এখানেও জারি হয়েছে লাল সতর্কতা। বিপর্যয় আছড়ে পড়ার আগেই আগাম সতর্কতা অবলম্বন করেছে গুজরাট সরকার। তৈরি করে ফেলা হয়েছে সেফটি শেলটার। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে যেসব ঘরবাড়ি বিপদের সম্মুখীন হতে পারে, সেগুলোকে চিহ্নিত করে, সেখানকার বাসিন্দাদের সরিয়ে আনা হয়েছে। পাঁচটি বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর পাশাপাশি নামানো হয়েছে, ১৫ টি জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। গুজরাট উপকূলবর্তী এলাকা থেকে সরিয়ে আনা হয়েছে ৫০ হাজার মানুষ।

গুজরাট প্রশাসনের তরফ থেকেই বার বার সতর্কতা জারি করা হচ্ছে। মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতেও নিষেধ করা হয়েছে। তবে ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব বাংলায় কতটা পড়বে সেই নিয়ে এখনই কিছু বলা যাচ্ছে। পুরোপুরী প্রভাবিত না হলেও, সামান্য আঁচ বাংলাতেও পড়তে পারে বলেও জানিয়েছে আবাহাওয়া অফিস।


Posted

in

by

Tags:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *