ফিস না দেওয়ায় ওষুধের নাম কাটলেন চিকিৎসক! ফেসবুকে পোস্ট করতেই কোটি টাকার মানহানির মামলা
হায় ঈশ্বর!
একেই বলে চূড়ান্ত অমানবিকতা
ফিস দিতে না পারায়
ওষুধের নাম কাটলেন চিকিৎসক
ফেসবুকে পোস্ট করতেই
কোটি টাকার মানহানির মামলা
ঘটনায় ভেঙে পড়লেন
অসুস্থ রোগী
ঠিক কি ঘটেছে?
কেন ঘটল এমন কাণ্ড?
ডাক্তার মানেই ভগবান। কথায় বলে সৃষ্টিকর্তার পরেই যিনি আসেন তিনিই হলেন ডাক্তার। কিন্তু এই ধারণা যে সবক্ষেত্রেই সত্য নয়, এই কথাই প্রমাণ করেন দিলেন এই এক চিকিৎসক। যাকে ভগবান বলাও ভুল। বরং কসাই বলাই উপযুক্ত। যিনি রোগীর সঙ্গে এমন আচরণ করেছেন যা দেখে রীতিমত শিউরে উঠছে আমজনতা।
তথ্য সূত্রে খবর, দীর্ঘদিন ধরেই কোমর যন্ত্রণায় ভুগছিলেন বিষ্ণুপুর নিবাসী সমীর হালদার। হাজার ডাক্তার দেখিয়েও লাভ হয়নি কিছুই। শেষমেশ পরিচিতদের কাছে খোঁজ নিয়ে শরণাপন্ন হন চিকিৎসক সুরজিৎ মণ্ডলের কাছে। সুরজিৎ মণ্ডল কোমরের চিকিৎসক। অনেক আশা ভরসা নিয়েই তাঁর কাছে যান সমীর হালদার। কিন্তু চিকিৎসা করাতে গিয়েই যে অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হয়েছেন অসুস্থ সমীর হালদার তা শুনলে নিন্দায় গা জ্বলবে আপনারও। গোটা বিষয়টি চিকিৎসক মহলের জন্যও খুবই লজ্জাজনক। সমীর হালদার জানান, কোমরের চিকিৎসা জন্য চিকিৎসক সুরজিৎ মণ্ডলের কাছে গেলে, তিনি এমআরআই করতে বলেন। কথামত, এমআরআই করানোর পর সেই রিপোর্ট নিয়ে আবারও যান চিকিৎসকের কাছে। রিপোর্ট দেখাতে গিয়েই বাঁধে গণ্ডগোল।
সমীর বাবু জানান ডাক্তারবাবু রিপোর্ট দেখেই প্রেসক্রিপশনে বেশকিছু ঔষধ ও ব্যায়ামের নাম লেখেন। প্রেসক্রিপশন দেখেই চেম্বারের বাইরে থাকা কম্পাউন্ডার বলেন এর জন্য ৩০০ টাকা ফিস লাগবে। উত্তরে সমীর বাবু জানান, রিপোর্ট দেখাতে টাকার প্রয়োজন হয়, তিনি জানতেন না। তাই টাকা নিয়ে যাননি। এই কথা বলতেই পাল্টে যায় সম্পূর্ণ ঘটনা। চেম্বার থেকে ডাক্তারবাবুও বেরিয়ে আসেন। বেরিয়ে এসেই সটান, সমীর বাবুর প্রেসক্রিপশন নিয়ে কেটে দেন সমস্ত ঔষধের নাম। এরপর তিনি জানান- “আপনাকে মেডিসিন গুলো খেতে হবে না শুধু ব্যায়ামেই সেরে যাবে।”
এখানেই শেষ নয়,ডাক্তারবাবু ঔষধের নাম কেটে দেওয়ার কারণ জানতে চাইলে, চিকিৎসক সুরজিৎ মণ্ডল বলেন-
‘আমার সাথে চালাকি করবেন না আপনি আমার সাথে চালাকি করলেন তাই আমিও আপনার সাথে চালাকি করলাম।’
ঘটনায় ভেঙে পড়েন সমীর হালদার। সম্পূর্ণ বিষয়টি সামাজিক মাধ্যমে শেয়ার করেন তিনি। পোস্ট করেন সেই প্রেসক্রিপশনটির ছবি। ইতিমধ্যেই ঘটনাটির জল গড়িয়েছে বহু দূর। সমীর বাবুর বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করেন ওই চিকিৎসক। সমীর বাবুকে নোটিশ পাঠিয়ে বলেন, আগামী সাত দিনের মধ্যে জরিমানা হিসেবে তাকে দেড় কোটি টাকা দিতে হবে। এই খণ্ড চিত্রে থেকে প্রমাণ মেলে আজও সমাজজুড়ে মানবিকতার কতটা অভাব। প্রশ্ন উঠছে মানুষ কতটা নীচে নামতে পারলে এতটা ঘৃণ্য কাজ করতে পারে। এই ঘটনা কেবল চিকিৎসা ব্যবস্থা নয়, গোটা মনুষ্য সমাজের কলঙ্ক।
Leave a Reply