ভেজাল দুধ খেয়ে বাড়িয়ে ফেলছেন ক্যান্সার, হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি, ৫ সেকেন্ডে ধরে ফেলুন দুধ নকল নাকি খাঁটি
ভেজাল দুধ খেয়ে
বাড়িয়ে ফেলছেন না তো
ক্যান্সার, হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি?
কীভাবে বুঝবেন
যে দুধ পান করছেন
সেটি নকল নাকি খাঁটি?
দুধে ক্যামিক্যাল আছে কি না
ধরে ফেলুন মাত্র ৫ সেকেন্ডে
ঘরে বসেই প্রয়োগ করুন
৪টি সহজ টোটকা
সুষম খাদ্য হিসেবে দুধের জুড়ি মেলা ভার। কথায় বলে মাছ, মাংস, ডিম কম খেলেও, দুধ কিন্তু পাতে রাখা চাই। কারণ দুধে সমস্ত প্রকার পুষ্টিগুণ বিদ্যমান। এমন কোনও ভিটামিন নেই যা দুধে পাওয়া যায় না। কিন্তু আজকাল সুষম খাদ্যের তালিকা থেকে ক্রমশ ছিটকে যাচ্ছে দুধ। অসাধু ব্যবসায়ীদের কারণে পুষ্টিগুণ হারাচ্ছে দুধের মত গুরুত্বপূর্ণ খাদ্য। আজকাল দুধে মেশানো হচ্ছে জল। শুধুই কি জল? জলের সাথে সাথেই দুধের ঘনত্ব ও রং উজ্জ্বল করতেও ব্যবহার করা হচ্ছে নানা ধরনের ক্যামিক্যাল। এই কেমিক্যালগুলোর মধ্যে রয়েছে ইউরিয়া, স্টার্চসহ নানা ধরনের ভয়ংকর সব উপাদান। এগুলো শরীরে প্রবেশ করলে ক্যান্সার থেকে হার্ট এটাক পর্যন্ত হতে পারে। এদিকে সাধারণ মানুষ সহজেই দুধের ভেজাল ধরতে পারেন না, ফলে ভেজাল দুধ খেয়ে বিপদ আরও বেড়ে যায়। পরিসংখ্যান থেকে জানা যাচ্ছে, ভেজাল দুধ খেয়ে অনেকেই অসুস্থ হয়ে প্রাণও হারায়। তাই সাধারণ মানুষের কথা ভেবেই ভেজাল দুধ কীভাবে শনাক্ত করার উপায়গুলো জানিয়ে দিল ফুড সেফটি অ্যান্ড স্ট্যান্ডার্ড অথরিটি অফ ইন্ডিয়া। দেখে নিন কীভাবে আপনিও ঘরে বসেই ভেজাল দুধ শনাক্ত করতে পারবেন-
এক, দুধে জল আছে কি না যাচাই করার পদ্ধতিঃ কেনা দুধ হোক বা গোয়ালর দুধ, সব দুধেই জল মেশানো হয়। কারণ দেশের কোটি কোটি মানুষের দুধের জোগান দেওয়ার মত সেই পরিমাণ গরু দেশে নেই। যার ফলে অসাধুরা দুধে জল মিশিয়েই ব্যবসা করে। কিন্তু সাধারণ মানুষ বিষয়টি ধরতে পারে না। দুধে জল আছে কি না সহজেই বুঝতে পারবেন এই পদ্ধতি অনুসরণ করলে। এক্ষেত্রে প্রথমে একটি ঢালু পাত্রে এক ফোঁটা দুধ ঢালুন। লক্ষ্য করুন, দুধের ফোঁটা যদি ধীরে ধীরে নীচের দিকে নেমে আসে,তাহলে সেই দুধ খাঁটি। অন্যদিকে যদি দ্রুত নেমে আসে তাহলে সেই দুধে জল আছে।
দুই, দুধে স্টার্চ আছে কিনা ধরে ফেলুন এইভাবেঃ এক্ষেত্রে দুধে এক ফোঁটা আয়োডিন দিন, যদি দুধের রঙ নীল হয়ে বুঝে নেবেন দুধে স্টার্চ যুক্ত রয়েছে।
তিন, দুধে ইউরিয়া মেশানো থাকলে এইভাবে জানা যাবেঃ একটি ছোট্ট পাত্রে অল্প করে দুধ নিন। এবার তাতে এক চা চামচ মটর গুঁড়ো এবং সরাবিন যোগ করুন। এরপর ভালো করে মিশিয়ে ৫ মিনিট রেখে দিন। এরপর তাতে একটি লাল লিটমাস পেপার ডুবিয়ে রাখুন। যদি কাগজটি নীল হয়ে যায় সেক্ষেত্রে বুঝবেন দুধে ইউরিয়া মেশানো রয়েছে।
চার, দুধে বনস্পতি মেশানো আছে কিনা এইভাবে যাচাই ক্রুনঃ একটি পাত্রে অল্প দুধ নিন। এরপর হাইড্রোক্লোরিক অ্যাসিড মিশিয়ে নিন। এরপর একটু চিনি যোগ করুন। এরপর দুধ লাল হয়ে গেলে বুঝে নেবেন দুধে বন্সপতি মেশানো আছে।
Leave a Reply