এবার হানা দেবে করোনার চেয়েও ভয়ংকর ভাইরাস ‘ডিজিজ এক্স’! মিলবে না কোনও ভ্যাক্সিন, বিপদের মুখে গোটা বিশ্ব
এবার হানা দেবে
করোনার চেয়েও ভয়ংকর
ভাইরাস ‘ডিজিজ এক্স’
হাজার গুণ শক্তিশালী
এই প্রাণঘাতী জীবাণু
চোখের নিমেষে তৈরি হবে
মারাত্মক মহামারী
বিপদের সম্মুখে গোটা বিশ্ব
পাওয়া যাবে না
কোনও প্রকার ভ্যাক্সিন
আতঙ্কে ঘুম উড়েছে বিজ্ঞানীদের
চরম সতর্কবার্তা দিয়েছে ‘হু’
কী এই ‘Disease X’?
ঠিক কি কারণে
করোনার থেকেও ভয়ঙ্কর
এই মহামারী?
ভ্যাক্সিন ছাড়া কীভাবে রক্ষা পাবেন
এই ভাইরাসটির হাত থেকে?
মনে পড়ে ২০১৯ থেকে ২০২১ সাল? তিন তিনটি বছর বিশ্বজুড়ে করোনার আতঙ্ক, চারিদিকে প্রাণহানির মিছিল, স্বজনহারাদের হাহাকার, টানা লকডাউন, সারি সারি দেহ! এই দৃশ্যগুলো এত সহজে ভোলার নয়। মানুষের জীবন যাপনের ধারা পাল্টে দিয়েছে মহামারী করোনা। অবশ্যই এই সমস্ত বিপর্যয়কে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়েই ধীরে ধীরে আবারও স্বাভাবিক থেকে সাবলীল হয়ে উঠেছি আমরা সবাই। এমনকি চলতি মাসেই বেশ স্বস্তিজনক একটি সংবাদও শোনায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা “হু”। জানিয়েছে, কোভিড অতিমারী এখন আর ‘আপৎকালীন স্বাস্থ্য বিপর্যয়’ বা ‘গ্লোবাল হেলথ এমার্জেন্সি’ নয়। এই খবর শুনে মানুষ সবে যেন একটু স্বস্তি ও শান্তি পেল। কিন্তু এই স্বস্তি বেশিক্ষণ স্থায়ী হল না। সম্প্রতি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা “হু” এর তরফে জানানো হল সবচেয়ে বড় দুঃসংবাদটি। যা শুনলে রীতিমত শিউরে উঠবেন আপনারাও। এবার করোনার থেকে বড়সড় বিপর্যয় আসতে চলেছে। করোনার থেকে বড় ভাইরাসের জন্ম হবে। যার কাছে পাত্তাই পাবে করোনা। সাড়া বিশ্বজুড়ে দাপট চালাবে এই রোগ। রোগটির নাম, ‘ডিজিজ এক্স’ (Disease X)। এই মুহূর্তে ‘ডিজিজ এক্স’কে নিয়ে আতঙ্কে গোটা বিশ্বের স্বাস্থ্য গবেষণা মহল। কারণ করোনার ভ্যাক্সিন আবিষ্কার সম্ভব হলেও ‘ডিজিজ এক্স’ (Disease X) এর কোনও প্রকার ভ্যাক্সিন তৈরি হবে না। এই রোগ থেকে তারাই রেহাই পাবে যাদের ইমুইনিটি সিস্টেম প্রচণ্ড শক্তিশালী।
এই রোগটির জীবাণু এতটাই শক্তিশালী হবে যে, রোগটির থেকে মুক্তি পাওয়া হবে সবচেয়ে কঠিন ও দুঃসাধ্য । বিজ্ঞানীরা জানিয়েছে, রোগটির ভয়াবহতা হবে করোনার থেকেও ১০০০ গুণ বেশি। এই রোগের ভাইরাস সাড়া বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কাও প্রবল। এখন প্রশ্ন উঠছে, এই ‘ডিজিজ এক্স’ আসলে কী?
হু এর গবেষকরা জানিয়েছেন, এটি হবে ছোঁয়াছে একটি রোগ। রোগটির ধর্ম হবে করোনার মতই। কোনও এক প্য়াথোজেনের ফলেই এই রোগটির সৃষ্টি হতে পারে। হু এর বিজ্ঞানীরাই এই রোগটির নাম নির্ধারণ করেছেনে।’ডিজিজ এক্স’ এর কথা বিজ্ঞানীরা অনেক আগেই জানিয়েছেন। হু তাদের একটি তালিকায় ‘ডিজিজ এক্স’ এর কথা উল্লেখ করে। তালিকাটি ছিলে, করোনার পর আর কোন কোন মহামারী বিশ্বজুড়ে ছড়াতে পারে সেই সংক্রান্ত। সেখানেই উঠে আসে বিভিন্ন রোগের নাম- ইবোলা, মারবার্গ ভাইরাস, লাসা ফিভার, সারস, নিপা, জিকা ভাইরাস ও ডিজিজ এক্স।
এই সমস্ত তথ্যের পাশাপাশি হু এর আধিকারিকেরা জানিয়েছেন, ডিজিজ এক্স’কে নিয়ে একদিকে আতঙ্ক যেমন রয়েছে, তেমনি এই রোগ থেকে বাঁচার আশাও রয়েছে। তাদের মতে এই রোগ থেকে বাঁচার জন্য এখন থেকেই শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে বাড়িয়ে তুলতে হবে। কারণ কখন কোন ভাইরাস হানা দেবে সেটা কারো পক্ষেই বলা সম্ভব নয়। তাই বিশ্ববাসীকে সচেতনতা বাড়ানোর ও শরীরের এণ্টিবডিকে প্রস্তুত রাখার উপদেশ দেওয়া হয়েছে।
Leave a Reply