বাংলাজুড়ে ঘন ঘন লোড শেডিংয়ের রহস্য ফাঁস করলেন শুভেন্দু অধিকারী, নথি দেখাতেই পালিয়ে গেলেন আধিকারিক

বাংলাজুড়ে ঘন ঘন লোড শেডিংয়ের রহস্য ফাঁস করলেন শুভেন্দু অধিকারী, নথি দেখাতেই পালিয়ে গেলেন আধিকারিক

বাংলাজুড়ে ঘন ঘন লোড শেডিংয়ের রহস্য
ফাঁস করলেন শুভেন্দু অধিকারী

আচমকা হানা দিলেন
বিদ্যুৎ দফতরে

চাঞ্চল্যকর নথি দেখাতেই
পালালেন বিদ্যুৎ আধিকারিক
খিল আটলেন শৌচালয়ে

মমতাকে বললেন
লোডশেডিংয়ের সরকার

বাংলাকে অন্ধাকারে রাখছে
স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী
অভিযোগ বিরোধী দলনেতার

দীর্ঘদিন ধরেই তীব্র গরমের দাপটে নাজেহাল অবস্থা রাজ্যবাসীর। দেখা নেই সামান্য স্বস্তিদায়ক বৃষ্টির। তারই উপর দোসর হল ঘন ঘন লোড শেডিং। ইদানিং রাজ্যজুড়ে লোড শেডিং এর প্রকোপ মারাত্মকভাবে বেড়েছে। গ্রাম হোক বা শহর দু তিন ঘণ্টা করে কারেন্ট থাকছে না। এমনকি দিনের বেলাতেও দীর্ঘদিন সময় ধরেই গায়েব কারেন্ট। গরমের মধ্যে এই পরিস্থিতি হাঁসফাঁস বাড়াচ্ছে রাজ্যবাসীর। এবার এই লোড শেডিং এর বিষয়টিকে সামনে রেখেই সরাসরি মমতা ব্যানার্জিকে কটাক্ষ করলেন শুভেন্দু অধিকারী। শুধু কটাক্ষই নন, সরাসরি পৌঁছে যান রাজ্যের বিদ্যুৎ দফতরে। সেখানে গিয়েই তুলে ধরেন বিস্তর অভিযোগ। এমনকি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে লোড শেডিং এর সরকার বলেও তোপ দাগেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এদিন শুভেন্দু অধিকারীর মুখে শোনা যায়-

‘‘লোডশেডিংয়ের সরকার, আর নেই দরকার।’’

অবশ্য বিদ্যুৎ দফতরে শুভেন্দু অধিকারী একাই যাননি, সঙ্গে নিয়ে যান সংবাদ কর্মীদেরও। তাদের সামনেই তুলে ধরেন গরমের মধ্যে রাজ্যজুড়ে লাগাতার বিদ্যুৎ বিভ্রাট এর কথা। শুভেন্দু অধিকারী জানান, বিদ্যুৎ বিভ্রাট নিয়ে রাজ্যবাসীর অভিযোগ দীর্ঘদিনের। আরও বলেন, এত অভিযোগ আর চাহিদা থাকা স্বত্বেও রাজ্যের মানুষকে বিদ্যুতের জোগান দিতে ব্যর্থ বাংলার সরকার। তিনি সরাসরি বলেন, রাজ্যের বিদ্যুৎ বিভ্রাটের জন্য দায়ী একমাত্র মমতা সরকার। শুধুমাত্র অভিযোগই নন, একই সাথে রাজ্য সরকারের ব্যর্থতা তুলে ধরতেও রাজ্যের এক দফতর থেকে অন্য দফতরে ছোটেন শুভেন্দু। প্রথমে যান বিদ্যুৎ ভবনে যান। সেখান থেকে শুভেন্দুকে পরামর্শ দেওয়া হয়। ‘উৎপাদন’ বিভাগে যাওয়ার। সেই মতোই রাজ্য বিদ্যুৎ উন্নয়ন নিগমের দফতরে যান শুভেন্দু। সেখান থেকে বেরিয়ে সংবাদামাধ্যমের কাছে বিস্ফোরক অভিযোগ করেন-

( লেখায় দেখাবে )

‘‘লোডশেডিং বন্ধ করতে সমাধান চেয়ে কথা বলতে এসেছিলাম। কিন্তু কথা বলতে চাননি কেউ। সিএমডি বাথরুমে ঢুকে গিয়েছেন। এর থেকে লজ্জার কিছু হয় না।’’

‘‘আগামী দিনে জনগণ এবং বিদ্যুৎ গ্রাহকরা রাস্তায় নামবেন।’’

এদিক সংবাদ মাধ্যমের সামনে মমতা ব্যানার্জিকে রীতিমত নিশানা করেই বলেন-

( লেখায় দেখাবে )

‘‘পশ্চিমবঙ্গ জুড়ে সারা দিনে ৩ থেকে ৪-৫ ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকছে না। বিদ্যুৎ দফতরের ইঞ্জিনিয়াররা তথ্য দিয়েছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একটাও তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র তৈরি করতে পারেননি। উল্টে কোলাঘাট, ব্যান্ডেলে বন্ধ করেছেন।’’

পাশাপাশি, রাজ্যজুড়ে দীর্ঘদিন ধরে যে পরিমাণ বিদ্যুতের ঘাটতি হয়ে আসছে সেই পরিসংখ্যান তুলে ধরে শুভেন্দু বলেন-

‘‘এই ঘাটতি মেটাতে লোডশেডিং করে বাংলার মানুষকে গরমে কষ্টে রেখেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ক্ষমার অযোগ্য অপরাধ করেছেন।’’

এদিকে শুভেন্দু অধিকারীর বক্তব্যের পাল্টা প্রতিক্রিয়া দিয়েছে তৃণমূল। তৃণমূলের একাংশের দাবি,পঞ্চায়েত ভোটের আগে তৃণমূল সুপ্রিমোকে কালিমালিপ্ত করতেই সংবাদ মাধ্যমকে ডেকে এই ধরনের কারবার শুরু করেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।


Posted

in

by

Tags:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *