জানেন কতদিন চলার পর বাতিল করা হয় ভারতীয় ট্রেন? দুইভাবে বাঁচানো হয় নষ্ট হওয়া ট্রেনগুলো

জানেন কতদিন চলার পর বাতিল করা হয় ভারতীয় ট্রেন? দুইভাবে বাঁচানো হয় নষ্ট হওয়া ট্রেনগুলো

জানেন কতদিন চলার পর
বাতিল করা হয় ভারতীয় ট্রেন?

নষ্ট হওয়ার পর
বড় বড় ট্রেনগুলোকে
কাজে লাগানো হয় এইভাবেই

ফেলেও দেওয়া হয় না
ভেঙ্গেও ফেলা হয় না
বাঁচানো হয় এই দুই পদ্ধতিতে

কি সেই পদ্ধটিগুলো?
যা আজও জানেন
অধিকাংশ ভারতীয়

করমণ্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনার পর থেকেই রেল সম্পর্কে অনেকেই কিছুটা হলেও ভয় পেয়ে গেছেন। বেশির ভাগ রেল যাত্রীদের মনেই প্রশ্ন উঠছে, কেন এই রকম দুর্ঘটনা ঘটে গেল! তবে কি বড়সড় কোনও গাফিলতি ছিল! আবার একটি বিষয় এই মুহূর্তে সবচেয়ে বেশি শোনা যাচ্ছে, কেউ কেউ বলছেন করমণ্ডলের কামরাগুলো কি তাহলে পুরনো ছিল। তাই কি এত বড় ধকল সইতে পারেনি। কৌতূহলীদের এই ধারণা সম্পর্কেই জানাব বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য।

আসলে অনেকের মনেই এই প্রশ্নটি আসে, ভারতে এত এত ট্রেন আছে, মেয়াদ শেষ হলে এই ট্রেনগুলো সাথে ঠিক কি ঘটে? কি করা হয় এই ট্রেনগুলোর সাথে? বাতিল হওয়ার এই ট্রেনগুলো কোথা চলে যায়? এই প্রশ্ন কম বেশি সবার মনেই আসে। তাহলে শুনুন, ভারতীয় রেলে মূলত দু ধরনের কোচ ব্যবহার করা হয়ে থাকে। প্রথমটি হল আইসিএফ কোচ, অপরটি হল লিংক হফম্যান বুশ কোচ।। এই কোচগুলোর মেয়াদকাল ২৫ থেকে ৩০ বছর। এরপর এই কোচগুলোকে বাতিল করে দেওয়া হয়। তবে ২৫ থেকে ৩০ বছরের পরিষেবা দেওয়া কালীন ১০ বছর অন্তর অন্তর এই ধরনের কামরাগুলো মেরামত করা হয়। এর পরেই কোটা শেষ হলে এই কামরাগুলো আর কখনও যাত্রী পরিবহনের কাজে লাগানো হয় না।

এরপর এগুলোকে ভারতীয় রেল অন্য কাজে লাগায়। এগুলোকে অটো ক্যারিয়ারে রূপান্তরিত করা হয়। সহজ ভাবে বললে, এই কোচগুলো দিয়ে তখন মালামাল বহন করানো হয়। অটো ক্যারিয়ারে রূপান্তরিত করে নেওয়ার পরেই এই কোচগুলোকে আবার NMG কোচে রূপান্তরিত করা হয়। মনে রাখবেন তখন এই কোচ কিন্তু সম্পূর্ণ মাল পরিবহনের জন্য। যাত্রী পরিবহনের জন্য এগুলো আর ব্যবহার করা হয় না। মাল পরিবহনের ক্ষেত্রেও বেঁধে দেওয়া হয় এদের মেয়াদকাল। ৫ থেকে ১০ বছর পর্যন্ত এই কোচগুলো মাল পরিবহণ করতে পারবে।

এই সময় কোচগুলো থেকে সমস্ত সিটগুলো খুলে নেওয়া হয়। সেই কামরায় থাকা লাইট ফ্যান ও অন্যান্য সামগ্রীগুলোও খুলে নেওয়া হয়। কোচগুলো পণ্য পরিবহনের উপযোগী করে তোলা হয়। দরজ, জানলা সমস্ত কিছু একেবারে সিল করে দেওয়া হয়। এইভাবেও যেমন বাতিল হওয়া কোচগুলোকে ব্যবহার করা হয়, পাশপাশি আজকাল এই বাতিল হওয়া কোচগুলো দিয়েই রেস্তোরা তৈরি করছে ভারতীয় রেল। এখান থেকেও ভারতীয় রেলের মোটা অঙ্কের ইনকাম হয়।


Posted

in

by

Tags:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *