কালী ঘাটের কাকু পেলেন ৬ কোটি টাকার বিলাসবহুল বাংলো! দিয়েছেন বেহালার এক কাকু, প্রকাশ্যে চাঞ্চল্যকর তথ্য

কালী ঘাটের কাকুর কপালে জুটেছে ৬ কোটির বিলাসবহুল বাংলো! দিয়েছেন আরেক কাকু! প্রকাশ্যে চাঞ্চল্যকর তথ্য

কালী ঘাটের কাকুর কপালে জুটেছে
৬ কোটি টাকার
বিলাসবহুল বাংলো

পেয়েছেন সম্পূর্ণ ফ্রীতেই
দিয়েছেন বেহালার এক কাকু

মুকেশ আম্বানির আবাসনের কাছেও
চুনোপুঁটি এই বাংলো

কে এই বেহালার কাকু?
সম্পূর্ণ বিনামূল্যে কেন দিয়েছেন
এই বাংলোটি?

প্রকাশ্যে এলো আরও এক
চাঞ্চল্যকর তথ্য

রাজ্যজুড়ে আলাপ আলোচনার মুখ্য বিষয় এখন একটাই – “কালী ঘাটের কাকু” ওরফে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র। এই মুহূর্তের সবচেয়ে হট টপিক। বাংলার দুর্নীতিতে নবতম সংযোজন এই ব্যক্তি। পার্থ, কুন্তল, মানিক, তাপসের পর এখন ইনিই কাঁপাচ্ছেন নিয়োগ দুর্নীতির বাজার। এই মুহূর্তে রয়েছেন ইডির হেফাজতে। আর সেখানেই বেরিয়ে আসছে একের পর এক চাঞ্চল্যকর বয়ান। কখন উঠে আসছে লিপস এন্ড বাউন্স এর নাম, তো কখন উঠে আসছে কোটি কোটি টাকার অবৈধ লেনদেনের হদিশ। ইডির সাড়াশি চাপে একে একে বেরিয়ে আসছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। এবার ইডির চাপে আরও বড় মারাত্মক তথ্য সামনে আনলেন কালীঘাটের কাকু। এবার এমন তথ্য সামনে নিয়ে এলো যা শুনে রীতিমত শিউরে উঠছেন ইডি আধিকারিকেরা।

এবার সামনে এলো কালীঘাটের কাকুকে দেওয়া ৬ কোটি মূল্যের উপহারের হদিশ। ইডি সূত্রে যেমনটা জানা যাচ্ছে, কোনও এক ব্যক্তি ৬ কোটি টাকার বাংলো উপহার দিয়েছেন কালীঘাটের কাকুকে। সামনে এলো সেই ৬ কোটি মূল্যের বাংলো। বেহালার এক বাসিন্দাই নাকি উপহার দিয়েছেন এই বাংলোটি। ইডি মারফত খবর, সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের ট্রাস্টের নামেই দেওয়া হয় বাংলোটি। ট্রাস্টটির নাম ‘বাংলার বন্ধু’। এই ট্রাস্টকেই উপহার দেওয়া হয় একেবারে মোটা অঙ্কের ৬ কোটি টাকার বাংলোটি। ট্রাস্টির সম্পূর্ণ দায়িত্ব ও নিয়ন্ত্রণ রাখতেন নিয়োগ দুর্নীতিতে অভিযুক্ত খোদ সুজয় কৃষ্ণ। তিনিই এই ট্রাস্টটি পরিচালন করতেন। এই মুহূর্তে ইডির নজরে বেহালার সেই ব্যক্তি! কে সেই ব্যক্তি! কি কারণে এত টাকার বাংলো উপহার দিলেন কালীঘাটের কাকুকে। কি এমন করেছেন কালী ঘাটের কাকু। যে কারণে এত টাকার বাংলো উপহার পেলেন। ইডির তরফে জানানো হচ্ছে, এদিকে এমন কিছুই তিনি ঘটাননি যে এত বড় উপহার পাবেন। এই নিয়েই ঘোলা হচ্ছে জল। ইডির দাবি, বেহালার সেই ব্যক্তিকে হাতে নাতে ধরতে পারলে আরও অনেক চাঞ্চল্যকর তথ্য বেরিয়ে আসতে পারে। ইতিমধ্যেই অবশ্য সেই ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করা হয়েছে। তবে এদিন এই তথ্যটি ছাড়াও আরও বেশকিছু চাঞ্চল্যকর তথ্য বেরিয়ে আসে। জানা গেছে, সুজয় কৃষ্ণ পরিচালিত ‘বাংলার বন্ধু’ ট্রাস্টে টাকা বিনিয়োগ করতেন আরও অনেকেই। তাও আবার অল্প স্বল্প নয়। একবারে মোটা অঙ্কের টাকা বিনিময় করতেন করেছেন অনেকেই। সেই সমস্ত বিনিয়োগের হিসেবেও বেজায় গড়মিল পাওয়া যাচ্ছে। তাদেরও তলব করার জন্য ইতিমধ্যেই মাঠে নেমেছে গোয়েন্দা আধিকারিকেরা।

এদিকে ধীরে ধীরে নিস্তেজ হয়ে পড়ছেন সুজয় কৃষ্ণ ভদ্র। ইডির হেফাজতে কাটিয়ে ফেলছেন ১২ দিনেরও বেশি। সম্প্রতি মেডিক্যাল টেস্ট করাতে এসে সাংবাদিকদের মুখোমুখী হয়েছেন তিনি। সেখানেই মন্তব্য করেন-

( লেখায় দেখাবেন )

“অভিষেককে ডাকাডাকি করে কোনও লাভ হবে না।”

একই সাথে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করেন, ৬টি কোম্পানিতে ২০-২২ কোটি টাকা কেন বিনিয়োগ করলেন, প্রশ্ন শুনেই ফুঁসে ওঠেন কাকু। জবাবে বলেন-

( লেখায় দেখাবেন )

“তাতে আপনার কী?

‘২০০৮ সাল থেকে আমি কাজ করছি। সব হিসাব আমি ইডিকে দিয়েছি। সব কাগজ দিয়েছি।’

পাশপাশি, সুজয় কৃষ্ণের এত এত টাকার আসল উৎস কি? সাংবাদিকদের এই প্রশ্নের জবাবে, ‘কাকু’ বলেন,

( লেখায় দেখাবেন )

‘তাতে আপনার কী আর ইডির কী? আদানি, আম্বানিদের কত টাকা আছে?’

এখান থেকেই স্পষ্ট হচ্ছে, সময় যত এগোচ্ছে ততই যেন মেজাজ হারাচ্ছেন সুজয় কৃষ্ণ ভদ্র। এদিকে ঘন ঘন মেজাজ হারানো ফলে গাঢ় হচ্ছে ইডি আধিকারিকদের সন্দেহ। প্রশ্ন উঠছে কেন হঠাৎ এত তেঁতে উঠছেন কাকু! কিসের এত ভয় পাচ্ছেন! এই সমস্ত প্রশ্নের উত্তর এখন সময়ের অপেক্ষা মাত্র। এমনটাই জানিয়েছেন ইডি আধিকারিকেরা।


Posted

in

by

Tags:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *