“চোর” “চোর” ধবনিতে কান ফাটল অভিষেকের! ধুন্ধুমার মতুয়াগড়
“চোর” “চোর” ধবনিতে
কান ফাটল অভিষেকের
কয়লা চোর!
গরু চোর!
তোলপাড় অভিষেকের
মতুয়াগড় নবজোয়ার কর্মসূচী
উত্তপ্ত ঠাকুরবাড়ি!
দরজা আটকালেন শান্তনু ঠাকুর
১০ হাজার পুলিশ এনেও
ঢুকতে পারলেন না অভিষেক
সেখানেও দাদাগিরি
ভেঙে দিলেন মন্দিরের তোরণ
শান্তনুকে দিলেন কড়া হুঁশিয়ারি
ঠিক কি ঘটেছে?
কিসের এত হৈ হট্টগোল মতুয়াগড়ে?
রাজ্যজুড়ে শুরু হয়েছে পঞ্চায়েত ভোটের আমেজ। দিকে দিকে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সভা সমাবেশে মুখরিত গোটা বাংলা। ভোটের ময়দানে কে কাকে টেক্কা দেবে সেই নিয়েই চলছে লড়াই। এরই মাঝে একটু বেশিই দৃষ্টি আকর্ষণ করছে তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক ব্যানার্জি। কারণ এক মাসেরও বেশি সময় ধরে রাজ্যজুড়ে জোরকদমে চলছে অভিষেকের নবজোয়ার কর্মসূচী। ইতিমধ্যেই বিভিন্ন জেলায় নবজোয়ার কর্মসূচী সেরেছে অভিষেক। তবে বিপত্তি বাঁধল বনগাঁয় । সেখানে সাংঘাতিক অভিজ্ঞতার মুখোমুখী হয়েছেন অভিষেক ব্যানার্জি। সম্প্রতি বনগাঁয় নবজোয়ার কর্মসূচী রাখে অভিষেক ব্যানার্জি। সেখানে গিয়েই চরম অপদস্ত ও অপমানিত হয়েছেন তৃণমূলের যুবনেতা।
ঠিক কি ঘটেছে?
তথ্য সূত্রে খবর, নবজোয়ার কর্মসূচী উপলক্ষ্যে বনগাঁয় গিয়ে, ঠাকুরনগরে মতুয়াদের পীঠস্থান ঠাকুরবাড়িতে পূজো দিতে যান অভিষেক ব্যানার্জি। অভিষেকের ইচ্ছে ছিল মতুয়াদের সাথে কথা বার্তা বলার। কিন্তু অভিষেকের সেই পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হওয়া তো দূর, উল্টে, অভিষেক সেখানে পা রাখতে না রাখতেই অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে গোটা এলাকা। এরপরেই বাঁধে বড়সড় বিপত্তি। মতুয়া সম্প্রদায়ের মানুষেরা ঠাকুরবাড়ির মূল গেটে বড় বড় তালা ঝুলিয়ে দেয়। অভিষেক ব্যানার্জি যাতে মন্দিরে ঢুকতে না পারে সেই লক্ষ্যে মতুয়া সম্প্রদায়ের মানুষেরা সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে পড়ে। পাশাপাশি হাতাহাতি, ধস্তা ধস্তি শুরু হয়ে যায় তৃণমূল কর্মী ও মতুয়া সম্প্রদায়ের মানুষের মধ্যে। পরিস্থিতি এতটাই ভয়ানক হয়ে পড়ে, অভিষেক ব্যানার্জির সাথে থাকা ১০ হাজার পুলিশও কিছুই করতে পারেনি। এখানেই শেষ নয়, মতুয়াদের ক্ষোভের মাত্রা এতটাই ছিল, অভিষেক ব্যানার্জির কোনও প্রতিক্রিয়াই মূলত কাজে আসেনি। মন্দিরে ঢুকতে না পেরেই মুখ ঘুরিয়েই ফিরে যান অভিষেক। পাশের মন্দিরে পুজো দিয়েই ফিরে আসেন তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক। সেই সময়, বিক্ষোভকারীদের মধ্যে থেকেই উচ্চস্বরে শোনা যায়-
“অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় চোর।” “কয়লা চোর, গরু চোর।”
বিক্ষোভকারীদের এমন স্লোগান শুনে রীতিমত শোরগোল পড়ে যায় এলাকা জুড়ে। এদিন মতুয়াদের এই সম্পূর্ণ বিক্ষোভটি পরিচালিত হয় শান্তনু ঠাকুরের নেতৃত্বে। শান্তনু ঠাকুর যিনি, কেন্দ্রীয় জাহাজ প্রতিমন্ত্রী তথা মতুয়া মহাসঙ্ঘের নেতা। তিনি সংবাদ মাধ্যমের সামনে বলেন-
( লেখায় দেখাবে )
“অভিষেক কে? কোন মন্ত্রী ও ? বাংলার মন্ত্রী না কেন্দ্রের? এত সাজগোজ হচ্ছে, মন্ত্রী এলেও হয় না, প্রধানমন্ত্রী যখন এসেছিলেন, তখনও হয়নি। ও কে? সাধারণ সাংসদ। ওর লোকসভায় এসব হোক। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় না থাকলে, সাংসদ হিসেবে অভিষেক কে ? সূর্যের আলোয় চাঁদ যেমন আলোকিত হয়, ও তাই হয়েছে। ব্যক্তিগতভাবে ও যেমন সাংসদ, আমিও সাংসদ। ভোটের আগে ঠাকুরবাড়িতে এই মুহূর্তে কী আছে ?”
এদিকে শান্তনু ঠাকুরকে পাল্টা চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেন অভিষেক। রীতিমত গর্জে শাসিয়ে বলেন-
( লেখায় দেখাবে )
” চাইলে ৫ মিনিটেই ঢুকে যেতে পারতাম। মতুয়া মন্দির কারও পৈতৃক সম্পত্তি নয়। সকাল থেকে বিজেপির লোকেরা মন্দির ঘিরে রেখেছে। মতুয়া-মাটিকে কালিমালিপ্ত করা হচ্ছে। ধর্মকে সামনে রেখে রাজনীতি করছেন শান্তনু ঠাকুর, জবাব দেবে মানুষ। তিন মাস পর আবার আসব ঠাকুরবাড়িতে, পারলে ঠেকাবেন।”
এদিকে তৃণমূল ও মতুয়াদের রেষারেষির আঁচ পৌঁছায় হাসপাতালেও। তৃণমূলের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে, তৃণমূল কর্মীদের হাতে ঘুরতর ভাবে আহত হয়েছে মতুয়াদের একাংশ। অন্যদিকে পাল্টা তৃণমূল কর্মীদের মারধরের অভিযোগ ওঠে শান্তনু ঠাকুরের অনুগামীদের বিরুদ্ধে।
Leave a Reply