স্বামীকে নিজের বশে আনতে প্রয়োগ করুন এই ৫টি শক্তিশালী টোটকা! ১৫ দিনের মধ্যেই অবাধ্য স্বামী হবে বাধ্য
স্বামীকে নিজের বশে আনতে
প্রয়োগ করুন
এই ৫টি শক্তিশালী টোটকা
কোথাও পাবেন না
এমন টোটকার খোঁজ
এগুলো প্রয়োগ করলেই
অবাধ্য স্বামী হবে সম্পূর্ণ বাধ্য
গড়গড়িয়ে শুনবে সমস্ত কথা
ইশারায় করবে ওঠবস
বাড়ি বসেই প্রয়োগ করুন
এই ৫ টোটকা
১৫ দিনেই হাতেনাতে পাবেন রেজাল্ট
বাংলায় একটি প্রবাদ বাক্য আছে, হাতের উপর হাত রাখা সোজা, কিন্তু সেই হাত ধরে আজীবন চলা সহজ নয়। কথাটি একেবারেই খাঁটি । বিবাহিতরা ইতিমধ্যেই বিষয়টি হারে হারে টের পাচ্ছেন। এই টের পাওয়ার মধ্যে একটি গুরুতর বিষয় হল স্বামী কথা শোনে না! স্বামী তার স্ত্রীকে গুরুত্ব দেয় না। ঘরে ঘরে আজকালকার বৌদের এই এক নালিশ! এই সমস্যার জেরেই লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে ডিভোর্স। তবে জানেন কি এই সমস্যাটি একেবারেই কোনও অস্বাভাবিক ব্যাপার নয়। বরং এটি খুবই স্বাভাবিক। বিয়ের পর স্বামী স্ত্রীর মধ্যে ঘনিষ্ঠতা বাড়ে, যার ফলে দুজনেই দুজনের বিষয়ে অনেক বেশি করে জানতে পারে । আর এই কারনেই উভয়েরই ভালো মন্দ মিলিয়ে, একটু আধটু টোকাটুকি, কথা কাটাকাটি হতেই পারে। মনে রাখবেন এইসব ক্ষেত্রে রাগ করে দূরত্ব না বাড়িয়ে, বুদ্ধি দিয়ে স্বামীকে বশে আনুন। এখন অনেকেই বলবেন, স্বামীকে বশ করা, এ আবার কেমন কথা! তাহলে শুনুন, স্বামীকে বশ করা কিংবা কন্ট্রোল করা একেবারেই নেতিবাচক চিন্তা ভাবনা নয়। এর মানে এটাও নয় যে, স্বামীর স্বাধীনতা কেড়ে নেওয়া। সংসারের মঙ্গলের জন্যই কখনও কখনও এমন ভাবনা ভাবতে হয়। আর পরিবারের ভালোর জন্য, দাম্পত্য টিকিয়ে রাখার জন্য এমন ভাবনা মোটেও ভুল নয়। তাই আপনি যদি আপনার স্বামীকে হারাতে না চান, তাহলে চলুন জেনে নেওয়া স্বামীকে নিয়ন্ত্রণে রাখার ৫ জাদুকরী শক্তিশালী টোটকা-
এক, স্বামীকে সময় দিনঃ অনেক স্ত্রীই আছেন যারা স্বামীকে সময় দেয় না। বিশেষ করে কর্মরত স্ত্রীরা। কাজের চাপে স্বামীর কাছেই আসতে পারেন না। তারা অবশ্যই এই অভ্যাসটি দূর করবেন। স্বামীকে যতটা সম্ভব সময় দিন। এতে স্বামীর হৃদয়ে সব সময় রানী হয়ে থাকতে পারবেন। এছাড়াও দুজনের মধ্যে বাড়তে থাকা দূরত্বও ঘুচে যাবে।
দুই, স্বামীর পছন্দের খাবার রান্না করুনঃ রান্না দিয়ে মন জয় করা যায়, এই কথাটি খুবই খাঁটি। তাই স্বামীকে মাঝে মাঝে তাঁর প্রিয় পদ রান্না করে পরিবেশন করুন। এতে স্বামী আপনার প্রতি নতুন করে প্রেমে পড়তে বাধ্য হবে। পারলে স্বামীকে মাঝে মাঝে অফিসে গিয়ে লাঞ্চ কিংবা ডিনারও দিয়ে আসুন। স্ত্রীর কাছ থেকে এই ধরনের কেয়ার যে কোনও স্বামীকেই সহজেই সন্তুষ্ট করতে পারে।
তিন, স্বামীর সাথে ভালো ব্যবহার করুনঃ অনেক স্ত্রীরাই স্বামীদের খারাপ আচরণ করে। কখনও কখনও স্বামীকে বিদ্রুপও করে। চেষ্টা করুন স্বামীর সাথে খারাপ আচরণ না করার। তার বদলে দুজন মিলে শান্তিপূর্ণ আলোচনা করুন।
চার, নিজের স্বামীকে অন্যের স্বামীর সাথে তুলনা করা বন্ধ করুনঃ এই স্বভাবটি অনেক স্ত্রী লোকের মধ্যেই দেখা যায়। অনেকেই এই কাজটি করে থাকেন। এতে করে স্বামীদের উপর মানসিক প্রেসার আসে। যার ফলে স্ত্রীদের তাদের ভরসা ও শ্রদ্ধা উঠে যায়। তাই স্বামীকে বশে রাখতে তুলনা করা বন্ধ করুন।
পাঁচ, যে কোনও বিষয়ে জোর জবরদস্তি বন্ধ করুনঃ অনেকে স্ত্রী স্বামীর পছন্দ অপছন্দকে গুরুত্ব দেয় না। স্বামী না চাইলেও একই বিষয়ে ঘ্যান ঘ্যান করে, জোর করে। যা যেকোনও দাম্পত্য জীবনের জন্যই ক্ষতিকারক। তাই আপনার স্বামী কোনও বিষয়ে অমত হলে, শান্ত ভাবে সেই বিষয়ে আলোচনা করুন। বোঝার চেষ্টা করুন আপনার হাজব্যান্ড কেন সেই বিষয়ে সম্মত নয়।
Leave a Reply