title: এবার বাংলাদেশের পোশাক খাতেও রাজত্ব ভারতের!
Thumb: পোশাক খাতে বাংলাদেশকে টক্কর দিচ্ছে ভারত
Focus:
বাংলাদেশের সর্বনাশ
শুরু হয়ে গিয়েছে,
সব দিক থেকেই পদ্মা পারকে
কব্জা করে ফেলেছে ভারত!
পোশাক খাতেও বাংলাদেশকে ছাপিয়ে
ফুলে ফেঁপে উঠেছে ভারত,
কি হবে এবার?
কিভাবে অর্থনীতি ভিত
মজবুত করবে ইউনূস সরকার?
Body:
বর্তমানে বাংলাদেশ সব দিক থেকেই মুখ থুবড়ে পড়ছে। ওদেশে রীতিমতো সব বাজারেই মন্দা দেখা দিয়েছে। খাদ্যক্ষেত্রে সঙ্কট তো ছিলই তার উপর দিনের পর দিন অর্থনীতি, রাজনীতি সবেতেই সঙ্কট আরো জেঁকে বসছে। উল্টোদিক ভারতে লেগেছে কুবের যোগ। বাংলাদেশে অস্থিতিশীলতার জেরে ফুলে ফেঁপে উঠেছে ভারতের পোশাক ভান্ডার। এদিকে বাংলাদেশ পোশাক শিল্পতে ইতি ঘটলো বলে। এমনই চিত্র স্পষ্ট ধরা পড়েছে।
আসলে সাম্প্রতিক বাংলাদেশে বিভিন্ন রকমের ঘটনা ঘটে যায়। ছাত্র আন্দোলনের জেরে এক প্রকার অরাজকতা তৈরি হয় পদ্মার পারে। শুধু তাই নয়, সরকারের পদত্যাগ, নতুন সরকার গঠন সবমিলিয়ে বাংলাদেশের পরিস্থিতি অত্যন্ত দূর্বিষহ। আর এই পরিস্থিতিকে কাজে লাগিয়েছে ভারত। কারণ আপনারা সকলেই জানেন গোটা বিশ্বের মধ্যে বস্ত্র শিল্পের জন্য বিখ্যাত বাংলাদেশ। কিন্তু এই সমস্যার কারণে ওদেশের আর্থিক খাতের পাশাপাশি বস্ত্র শিল্পেও বিপুল লোকসান হতে শুরু করে। উল্টোদিকে এরফলেই ভারতের টেক্সটাইল ইন্ডাস্ট্রি ধীরে ধীরে আরো মাথা উঁচু করে দাঁড়ানোর সুযোগ পেয়েছে। জানা যাচ্ছে, এই মুহূর্তে আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ডগুলো বাংলাদেশের তরফ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। আর রপ্তানির জন্য ভরসা করছে ভারতের উপর। অর্থাৎ বোঝাই যাচ্ছে বাংলাদেশের রপ্তানির অংশীদারিত্ব ভারতের হাতের মুঠোয়।
সম্প্রতি একটি বিশিষ্ট প্রতিবেদনে এ বিষয়ে উল্লেখ করা হয়, যে ভারতে এমন সময় বস্ত্রশিল্পে প্রবৃদ্ধি ঘটেছে, যখন বেশিরভাগ রপ্তানি কারক দেশগুলি মন্দার সাথে লড়াই করছে। মুদ্রাস্ফীতি, সরবরাহ চেইনের মত বিভিন্ন বৈশ্বিক সংকট থাকা সত্ত্বেও ভারতের এই অগ্রগতিতে বাংলাদেশের রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতাই মূল কারণ। তথ্যসূত্রে জানা গিয়েছে, বাংলাদেশের এরকম রাজনৈতিক বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির জন্য আজ সেখানে বহু কারখানা সাময়িকভাবে বন্ধ হয়ে গিয়েছে। এমনকি শোনা যাচ্ছে অনেক বিদেশি বস্ত্র প্রতিষ্ঠান এই কারণে বাংলাদেশ থেকে ভারতে এসে ব্যবসা করার সিদ্ধান্তও নিয়েছেন।
বিশেষজ্ঞদের মতে, ওপার বাংলায় দীর্ঘদিন এমন অবস্থা চলতে থাকলে রপ্তানিতে ভাটা দেখা দিতে পারে। ফলত ভারত প্রতিমাসে আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রগুলি থেকে ২০০-২৫০ মিলিয়ন ডলার কিংবা তার চেয়েও বেশি অর্ডার পেতে পারে। সাম্প্রতিক ভারতের বস্ত্র শিল্পের রপ্তানির উপর একটি সমীক্ষা করা হয়েছে। তাতে দেখা যায়, ২০২৩ সালে সেপ্টেম্বরের তুলনায় ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরে বস্ত্রশিল্পে রপ্তানির পরিমাণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৭.৩ শতাংশ। যা ভারতীয় বস্ত্র ব্যবসায়ীদের কাছে অত্যন্ত সুসংবাদ।
এই বিষয়ে ভারতের অ্যাপারেল এক্সপোর্ট প্রমোশন কাউন্সিলের চেয়ারম্যান সুধীর সেখরি বলেন, “বিশ্বজুড়ে নানা সংকটের মধ্যেও ভারতীয় পোশাক রপ্তানি দ্বিগুণ হারে বৃদ্ধি পেয়েছে, যেখানে অন্য দেশগুলো মন্দার মুখে পড়েছে।” তবে আপনাদের জানিয়ে রাখি ভারত শুধু পোশাক নয় বর্তমানে সামরিক হোক কিংবা অর্থনীতি, শিক্ষাক্ষেত্র সবদিক থেকেই আজ এগিয়ে।
কিন্তু এখন প্রশ্ন বস্ত্রশিল্পের এই উন্নতি কে কিভাবে কাজা লাগাবে ভারত?
এ বিষয়ে জানা গিয়েছে, বর্তমান পরিস্থিতি ভারতকে বৈশ্বিক বাজারে ক্ষমতা দেখানোর সুযোগ এনে দিয়েছে। সেইসাথে বস্ত্র শিল্পকেও প্রসারিত করার পথ দেখিয়েছে। তাই এই সুযোগকে কাজে লাগাতে ভারতীয় ব্যবসায়ীরা পরিকল্পনা করছেন বিভিন্ন আন্তর্জাতিক মেলায় অংশগ্রহণ এবং আয়োজনের। এতে করে ব্যবসায়ীরা নিজেদের কর্মদক্ষতা আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে ফুটিয়ে তোলার সুযোগ পাবেন। সেই সাথে অন্যান্য দেশে রপ্তানি করার সুবিধা ছিনিয়ে আনতে পারবেন। অর্থাৎ বোঝাই যাচ্ছে ভারত বস্ত্র শিল্পকে অন্য মাত্রায় নিয়ে যাওয়ার জন্য হাতে ধুয়ে পড়েছে।
কিন্তু উল্টোদিকে সমস্যায় বাংলাদেশী বস্ত্র ব্যবসায়ীরা। একে তো এমন মন্দার বাজার তার উপর এইভাবে একের পর এক কোম্পানি হাতছাড়া হতে থাকলে দিনশেষে বস্ত্র শিল্প অবস্থা অত্যন্ত শোচনীয় হয়ে উঠবে। যতদিন না ওপার বাংলায় রাজনীতি অস্থিতিশীলতা স্থিতিশীল না হচ্ছে, ততদিন হয়তো এমনি অবস্থা থাকবে বাংলাদেশের পোশাক খাতে। ফলে ক্রমশ এগিয়ে যাবে ভারত।
প্রতিবেদনটি লিখেছে সুনন্দা মান্না, কন্ঠে রিয়া সরকার, এবং গ্রাফিক্স করেছে শুভঙ্কর সরকার। বাংলা হান্টের আরো নিত্য নতুন প্রতিবেদন দেখতে নজর রাখুন আমাদের পেজে।
Leave a Reply