Title: উঠোন থেকে ১২ বছরের নাবালিকাকে টেনে নিয়ে গেলো চিতাবাঘ! ঘটনায় চাঞ্চল্য জলপাইগুড়িতে
Jalpaiguri’s 12 year child lost her life for Leopard attack sm
Jalpaiguri, Leopard, 12 year child, Incident, District, West Bengal, India, Attack, Girl, Police Force, Bangla, Bengali, Bengali News, Bangla Khobor, Bengali Khobor
Body:
নিত্যদিন খবরের পাতায় কোনো না কোনো খবর উঠেই আসে। কখনো সাপের কামড়ে, আবার কখনো বন্য জন্তুর আঘাতে হামেশাই কেউ না কেউ প্রাণ হারিয়ে থাকেন। আর এবার চিতা বাঘের থাবায় ১২ বছরের নাবালিকা প্রাণ হারালো। বাড়ির উঠোন থেকেই ওই নাবালিকাকে তুলে নিয়ে যায় চিতাবাঘ। পরে উদ্ধার হয় তার রক্তাক্ত দেহ।
মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার রাতে জলপাইগুড়ির মালবাজার মহকুমার নাগরাকাটা ব্লকের আংরাভাসা এক নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত খেরকাটা গ্রামে। মৃতা ওই নাবালিকা হচ্ছেন বছর ১২ এর সুশীলা গোয়ালা। এলাকায় সকলে লীলাবতী নামে পরিচিত। তথ্যসূত্রে জানা যায়, ওই নাবালিকা ওখানকার কলাবাড়ি-খেরকাটা বিএফপি স্কুলে চতুর্থ শ্রেণিতে পড়তো। তথ্যসূত্রে জানা যায়, এদিন বছর ১২-এর ওই নাবালিকা বাড়ির উঠোনে বসেছিল ওই কিশোরী।
সেইসময় আচমকাই একটি চিতা বাঘ চলে আসে। কিন্তু চিতাবাঘ দেখা মাত্রই তৎক্ষণাৎ ভয়ে পিছিয়ে যায় ওই নাবালিকা। এরপর ওই কিশোরীকে টেনে হিঁচড়ে নিয়ে যায় জঙ্গলে। কিশোরীকে খুঁজে না পাওয়ায় পরিবারসহ গ্রামের লোকেরা খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। এরপর মৃত অবস্থায় সেই কিশোরীর দেহ খুঁজে পাওয়া যায় বলেই সূত্রের খবর। এমন ঘটনা ঘটার পর থেকেই এলাকা জুড়ে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। খবর পেয়ে এলাকায় পৌঁছায় খুনিয়া রেঞ্জের আধিকারিক এবং ডায়না রেঞ্জের বন আধিকারিক। এছাড়াও নাগরাকাটা থানার পুলিশ অফিসাররা ঘটনাস্থলে আসেন।
বন দপ্তরের কর্মীরা সেখানে উপস্থিত হলে তাদের ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন গ্রামের বাসিন্দারা। এই বিষয়ে বন দফতরের গরুমারা বন্যপ্রাণ বিভাগের আধিকারিক রাজীব দে বলেন, “অত্যন্ত দুঃখজনক ঘটনা। নাবালিকার পরিবারকে ক্ষতিপূরণের বন্দোবস্ত করা হবে। সেখানে খাঁচা পাতার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। বন কর্মীরা এলাকায় রয়েছেন।”
এই বিষয়ে স্থানীয়রা জানান, বাড়ির কাছে অবস্থিত শনি মন্দিরে গিয়েছিল নাবালিকা। এরপর সেখান থেকে ফিরে এসে কলে হাত পা ধুয়ে ঘরে ঢুকছিল সুশীলা। কিন্তু অনেক আগেই সেখানে ঘাঁটি গেড়ে বসেছিল একটি চিতাবাঘ। নাবালিকা আসা মাত্রই তাকে পেছন থেকে হামলা চালায় পশুটি। গলায় কামড় দিয়ে টেনে নিয়ে যায় পাশের ডায়নার জঙ্গলে। কিন্তু দুঃখের বিষয় হচ্ছে, ঘটনাটি যখন ঘটে সেই সময় নাবালিকার বাড়িতে বাবা- মা কেউ উপস্থিত ছিল না। কিন্তু এই বিষয় স্থানীয়রা টের পেতেই খোজ লাগাতে শুরু করেন এবং রক্তের দাগ দেখে নাবালিকাকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করেন। এমন ঘটনা ঘটার পর থেকেই সেখানে ভয় আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে গ্রামবাসীদের মধ্যে।
Leave a Reply