ছেলেরা সাবধান! মেয়েদের মতো ছেলেদের বুকে থাবা বসাচ্ছে ক্যান্সারের মারণ বিষ!

Title: ছেলেরা সাবধান! মেয়েদের মতো ছেলেদের বুকে থাবা বসাচ্ছে ক্যান্সারের মারণ বিষ! কিভাবে বাঁচবেন এর হাত থেকে?

Focus:

ছেলেরা সাবধান!

মেয়েদের মতো ছেলেদের
বুকে থাবা বসাচ্ছে ক্যান্সারের মারণ বিষ!

এই ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে
প্রাণ হারাচ্ছে অধিকাংশ পুরুষ!

কিভাবে বুঝবেন এই ক্যান্সার
আপনার শরীরে বাসা বেঁধেছে!

এর লক্ষণগুলোই বা কি কি?

গবেষণায় যা বেরিয়ে এলো
তা শুনলে শিউড়ে উঠবেন,

Body:

ইদানিং হুড়মুড়িয়ে বাড়ছে ছেলেদের বুকের ক্যান্সার।
এতদিন মহিলাদের বুকের ক্যান্সারের কথা শুনে আসছেন। কিন্তু ছেলেরাও যে এই ক্যান্সারে আক্রান্ত হতে পারে,,,,,,,,,একথা কেউ ভেবে দেখেননি। বর্তমানে এই ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে বিশ্বের সিংহভাগ পুরুষ মৃত্যুর মুখে ঢলে পড়ছেন। প্রতিদিন ৪০০ জন ক্যান্সার আক্রান্ত পুরুষদের মধ্যে ১ জন পুরুষ এই ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে থাকেন। ক্যান্সার বিশেষজ্ঞদের মতে, এই মারণ রোগে আক্রান্ত হলে মৃত্যু ঝুঁকি বেড়ে যায় কয়েকগুন। আর তার কারণ হচ্ছে সঠিক সময় সঠিক চিকিৎসা না করানো। বেশিরভাগ পুরুষেরাই এই ক্যান্সার সম্পর্কে অবগত নন। আবার কেউ কেউ জানলে লোক লজ্জাভয় তা প্রকাশ করতে পারেন না।

আমাদের আজকের প্রতিবেদনে জানাবো এই বুকের ক্যান্সার আসলে কি? এমনকি এর লক্ষণ গুলিই বা কি কি?

সবার আগে জেনে নিই পুরুষদের বুকের ক্যানসার আসলে কি?

ক্যান্সার বিভিন্ন রকমের হয়ে থাকে। তার মধ্য অন্যতম হচ্ছে এই ক্যান্সার। তবে ভুলেও এটাকে ফুসফুসের ক্যান্সার ভেবে বসবেন না। এই ক্যান্সার দেখা যায় মেয়েদের মত ছেলেদের বক্ষ বিভাজিকা স্থলে অর্থাৎ উপরের লজ্জাস্থানে। বিজ্ঞানীদের মতে, ছেলেদের উপরের লজ্জাস্থানে হঠাৎ করেই মাংসপিন্ড সৃষ্টি হয়। আসলে এখানে কিছু বিশেষ কোষ থাকে,,,,,,,,,, সেই কোষগুলি দ্রুত বিভাজিত হতে থাকে। এরফলে কোষগুলি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়,,,,,,এরপর প্রথমে টিউমার তৈরি হয়। এবং পরে তা ক্যান্সারের রূপ ধারণ করে।

কিভাবে বুঝবেন এই মারণ ব্যাধি আপনার শরীরে বাসা বেঁধেছে?

এক, বুকের পরিবর্তন:

এই রোগের মূল লক্ষনই হচ্ছে লজ্জাস্থান ফুলে যাওয়া। ছেলেরা লক্ষ্য করবেন, এই ক্যান্সার হানা দিলে বুকের আকার পরিবর্তন হয়। চিকিৎসা বিজ্ঞানীদের মতে, ছেলেদের বুকে থাকা কোষগুলি নিয়ন্ত্রনের বাইরে চলে যায়। ফলে সেই স্থানটি ফুলে ওঠে। আর এই লক্ষনই বুঝিয়ে দেবে আপনি ক্যান্সারে আক্রান্ত কি না।

দুই, মাংসপিণ্ড তৈরি হওয়া:

বেশিরভাগ সময়, ছেলেদের উপরের লজ্জাস্থানে এই ক্যান্সার সৃষ্টি হলে মাংসপিণ্ডের মত সৃষ্টি হয়। স্পর্শ করলেই গোল চাকতির মাংসপিণ্ড বোঝা যায়। ক্যান্সার বিশেষজ্ঞদের মতে, এটি হচ্ছে পূর্ব লক্ষণ। এই মাংসপিণ্ড প্রথমে টিউমারের আকার ধারণ করে। দীর্ঘদিন চিকিৎসা না করালে তা ক্যান্সারে পরিণত হয়। মনে রাখবেন টিউমার হচ্ছে ক্যান্সারের প্রাথমিক পর্যায়।

তিন, বুকে ব্যথা:

চিকিৎসা বিজ্ঞানীদের মতে, বুকের ক্যান্সার হলেই ব্যথা দেখা দেবে। অস্বাভাবিক যন্ত্রনা হতে থাকে। যে যন্ত্রণার তেজ সহ্য করা যায় না। তবে সব সময় যে ব্যথা হবে তা কিন্তু নাও হতে পারে। অনেকসময় ব্যথা ছাড়াও ক্যান্সার তৈরী হয়।

চার, রং পরিবর্তন:

এছাড়াও কোন কোন সময় ত্বকের রং পরিবর্তন হয়ে যায়। অনেকসময় ওই স্থানের আশেপাশে কমলালেবুর খোসার মতো স্তর তৈরি হয়। তা ধীরে ধীরে কালচে বর্ণ কিংবা অন্য রং ধারণ করতে পারে।

পাঁচ, রক্তক্ষরণ:

এই ক্যান্সারের অন্যতম লক্ষন হচ্ছে রক্তক্ষরণ হওয়া। এই ক্যান্সারের ফলে অনেকসময় চুলকানির মত সমস্যা সৃষ্টি হয়। এই চুলকানি এমন পর্যায়ে চলে যায়। একসময় বুকের মুখ থেকে রক্তপাত হতে শুরু করে। তাই এটা স্বাভাবিক বলে হাওয়ায় উড়িয়ে দেওয়ার ভুল করবেন না।

এছাড়াও ওজন পরিবর্তন, বুকের মুখ থেকে তরল নির্গত হওয়া, জ্বালা জ্বালা ভাব এগুলিও প্রাথমিক লক্ষণ।

এই কর্কট রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা কাদের সবচেয়ে বেশি?

ক্যান্সার বিশেষজ্ঞদের মতে , মূলত ৫০ থেকে ৬০ বছরের পুরুষদের মধ্যে এই রোগ হওয়ার প্রবনতা সবচেয়ে বেশি। অর্থাৎ যত বয়স বাড়তে থাকে এই রোগের ঝুঁকি ততই বাড়তে থাকে। এছাড়াও যেসমস্ত পরিবারের বংশগত ক্যান্সারের ইতিহাস রয়েছে তাদের এই রোগ হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে ৯৯%


Posted

in

by

Tags:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *