ছিঃ ছিঃ! শেষে কিনা সাংবাদিকদের সাথে এমন আচরণ!

Title: ছিঃ ছিঃ! শেষে কিনা সাংবাদিকদের সাথে এমন আচরণ! সাংবাদিকদের এত ভয় ওড়িশার প্রাক্তণ মন্ত্রীর! শেষপর্যন্ত কিনা কুকুর ছাড়তে হলো!

Focus:

ছিঃ ছিঃ!

শেষে কিনা সাংবাদিকদের
সাথে এমন অভব্য আচরণ!

সাংবাদিকদের এত ভয়!

ওড়িশার প্রাক্তণ মন্ত্রী নিজেকে
বাঁচাতে কুকুর ছেড়ে দিল!

তাও আবার সাংবাদিকদের গায়ে!

যার লাইভ টেলিকাস্ট
দেখল গোটা দেশ!

কিসের এত ভয়?
কেনো ইন্টারভিউতে আপত্তি?
কেনো করলেন এমন কাজ?

দেখুন

Body:

সাংবাদিক! এই শব্দটা শুনলে সকলে ভয়ে তটস্থ হয়ে যায়। কারণ সত্যের মুখোশ খুলে দেওয়া এই সাংবাদিকদের কাজ। আর যার জেরে পড়তে হয় একের পর এক সমস্যার মুখে। নানারকমের কটাক্ষ, দূর্ব্যবহার, গালিগালাজ কি না শুনতে হয়। এদিকে আয়লা, কখনো আম্ফান! কখনো যুদ্ধ, তো আবার কখনো ৫০° গরম। কোনো কিছুই পরোয়া করেন না তারা। খবর পৌঁছে দিতে হবে এই ভেবেই দিনরাত ছুটে বেড়ান। তারপরও সেই অসম্মান, অপদস্ত সহ্য করতে হয়। আর এবার সাংবাদিকদের সাথে যা ব্যবহার করা হয়েছে। তা সত্যিই কল্পনার বাইরে। ইন্টারভিউ নিতে গিয়ে শেষপর্যন্ত গায়ে কুকুর ছেড়ে দেওয়া হয়। তাও আবার এক মহিলা সাংবাদিকের গায়ে! করেছেন কে? আমাদের দেশেরই এক প্রাক্তন মন্ত্রী!

আসলে ঘটনাটি ঘটেছে পড়শি রাজ্য ওড়িশায়। যেখানে নবীন পটনায়কের দল BJD-র পালা চুকে গেছে। এমনকি নবীন বাবুর ছড়ি ঘোরানোও বন্ধ হয়েছে। কিন্তু ক্ষমতাশূন্য হলে কি হবে। রোয়াব বিন্দুমাত্র কমেনি। সেইসাথে দাদাগিরিও বেশ চলছে। তথ্যসূত্রে জানা গিয়েছে, ওড়িশার প্রথমসারির একটি নামি সংবাদ সংস্থার মহিলা সাংবাদিক,,,,,,,,,,, BJD-র প্রাক্তন মন্ত্রী রঘুনন্দন দাসের ইন্টারভিউ নিতে যান। মূলত ঐদলের হেভিওয়েট নেতা প্রণব প্রকাশের আমলে তৈরি সরকারি আবাসন বেআইনি নির্মাণের অভিযোগ নিয়ে সাক্ষাৎকার নেওয়ার কথা ছিল। সময়মত সেই মহিলা সাংবাদিক রঘুনন্দন দাসের সরকারী কোয়ার্টারে পৌঁছে যান। সাথে ক্যামেরা পার্সনও ছিল। প্রথমে আলাপচারিতার মধ্যে সব ঠিকঠাকই চলছিল। কিন্তু যেই ব্যাগ থেকে ক্যামেরা আর বুম বার হলো ব্যাস সঙ্গে সঙ্গে ভোল বদলে গেলো রঘুনন্দন বাবুর। তিনি ইন্টারভিউ দিতে নারাজ। চিত্র সাংবাদিক লাইভ কভারেজ নেওয়ার জন্য সবেমাত্র ক্যামেরা ফিট করেছেন। এদিকে মন্ত্রীবাবু রেগে লাল! রীতিমত উত্তেজিত হয়ে পড়েন। তবে মহিলা সাংবাদিক অনেক অনুরোধ করতে থাকেন তাকে দুয়েকটা কথা বলার জন্য। কিন্তু তিনি উল্টে তার বাড়ি থেকে বেরিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেন। ওইদিকে সাংবাদিক ম্যাডামও নিজের কর্তব্য থেকে একপাও নড়বেন না। এতদূর থেকে যখন এসেছেন তখন কিছু তো করবেন। তাই আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যান মন্ত্রীকে বোঝানোর। কিন্তু তার পরিণতি যে এত ভয়ঙ্কর হবে তা কেউ ভাবেনি।

তথ্যসূত্রে জানা যায়, বিজেডির প্রাক্তন মন্ত্রী রেগে তাঁর
বাড়ির পরিচালককে কড়া নির্দেশ দেন। বলেন পোষা বিদেশি কুকুরদের চেন খুলে দিতে। তার কথামত চেন খুলে দেওয়ায় সঙ্গে সঙ্গে কুকুর গুলি ছুটে বেরিয়ে আসে। অচেনা লোক দেখায়, কুকুরগুলিও দুই সাংবাদিককে ধাওয়া করতে থাকে। কুকুরের হাত থেকে বাঁচার জন্য দুজনেই এদিক ওদিক ছোটা শুরু করেন। আর এইদিকে যে ক্যামেরা ফিট করা ছিল তা কখন অন হয়ে গিয়েছে তা কেউ জানতো না। গোটা ব্যাপারটি তখন লাইভ টেলিকাস্ট চলছে। শুধু উড়িষ্যার বাসিন্দারাই নয়, গোটা দেশ এই লাইভ টেলিকাস্ট দেখেছে। মন্ত্রীর এহেন আচরণ দেখে সকলেই স্তব্ধ।

কোনমতে নিজের প্রাণ বাঁচিয়ে ফিরে আসেন দুই সংবাদকর্মী। সেখান থেকে বেরিয়ে সোজা যান থানায়। সেখানে গিয়ে বিজেডির প্রাক্তন মন্ত্রী রঘুনন্দন দাসের বিরূদ্ধে FIR করেন। পুলিশকে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশও দেওয়া হয়। সেই প্রাক্তন মন্ত্রীর এমন অভব্য আচরণ দেখে রীতিমতো ছিঃ ছিৎকার শুরু করেছে। অনেকেই তাঁর তীব্র বিরোধিতা করছেন।


Posted

in

by

Tags:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *