Title: মহাদেবের বাড়িকে ঘিরে রয়েছে বিভিন্ন রহস্য! কৈলাশের এই ৫ টি রহস্য শুনলে আপনি চমকে যাবেন!
Focus:
মহাদেবের বাড়িকে ঘিরে
রয়েছে বিভিন্ন রহস্য!
কৈলাশের এই ৫ টি রহস্য
শুনলে আপনি চমকে যাবেন!
ঠিক এই ৫ কারণেই আজও
কেউ পৌঁছতে পারেনি কৈলাশে!
দেখে নিন সেই
অজানা ৫ কাহিনী!
Body:
কৈলাশ পর্বতের নাম শুনলেই মুখ থেকে বেরিয়ে আসে হর হর মহাদেব! প্রাচীন পুরান অনুসারে, এটি হচ্ছে পার্বতীর শ্বশুরবাড়ি অর্থাৎ মহাদেবের বাড়ির ঠিকানা। চার ধামের মধ্যে কৈলাশ হচ্ছে অন্যতম একটি ধাম। কিন্তু আজ পর্যন্ত কেউই এই কৈলাশে পৌঁছানোর সাহস কুলিয়ে ওঠেননি। বলা ভালো এখানে ওঠা বারণ। মাউন্ট এভারেস্ট জয় করে আসলেও! কেউ কৈলাশ জয় করে আসতে পারেননি। স্বয়ং শিবের বাড়ি বলে কথা! যে সে তো আর এখানে পৌঁছাতে পারে না। সেসব নাই বা বাদ দিলাম। কিন্তু জানেন এই কৈলাশকে ঘিরে রয়েছে ৫ টি অজানা রহস্য। যার উত্তর দিতে ব্যর্থ বিজ্ঞানীরাও। কি সেই ৫ টি রহস্য দেখুন –
এক, রহস্যময় হ্রদ:
কৈলাশ পর্বতের পাদদেশে অবস্থিত দুটি হ্রদ। হ্রদ দুটির বৈচিত্র্য অন্যান্য হ্রদের তুলনায় একেবারেই আলাদা। দুটি হ্রদকে দেখতে একেবারে স্বস্তিক চিহ্নের মত। হ্রদ দুটির নাম হচ্ছে একটি মানস সরোবর এবং একটি রাক্ষস তাল। এই হ্রদ দুটির উৎপত্তি সম্পর্কে এখনো বিজ্ঞানীরা অনুমান করতে পারেননি। শুধু তাই নয়, এই হ্রদের মধ্যে মানস সরোবর সদা শান্ত। আর রাক্ষস তাল সর্বদা অশান্ত এবং উত্তাল প্রকৃতির। এছাড়াও মানস সরোবরের জল মিষ্টি এবং রাক্ষস তালের জল নোনতা। একই জায়গায় ভিন্ন প্রকৃতির হ্রদ। যা স্বাভাবিকভাবেই আশ্চর্যজনক।
দুই, সুপারন্যাচারাল শক্তি:
শোনা যায় কৈলাস পর্বতে নাকি সুপারন্যাচারাল শক্তি কাজ করে। যারাই নাকি এই পর্বতে আরোহন করার চেষ্টা করেছে তাদের সাথে কোনো না কোনো অতিপ্রাকৃত ঘটনা ঘটেছে। যেমন শরীর কাজ করা বন্ধ করে দেওয়া, আরো বিভিন্ন ধরনের ঘটনা সম্মুখীন হয়েছেন আরোহনকারীরা। আবার অনেকে বলেন এখানে নাকি স্বয়ং শিব এবং দুর্গা বাস করেন। তবে ঠিক কি কারণে এখনো পর্যন্ত এই পর্বতে যাওয়া নিষেধ তার সঠিক ব্যাখ্যা পাওয়া যায়নি।
তিন, বার্ধক্য বাড়তে থাকে:
সবথেকে আশ্চর্যের বিষয় হচ্ছে কৈলাস পর্বতে যাত্রা করলে, নাকি দ্রুত বার্ধক্যর দিকে উপনীত হতে হয়। তাছাড়াও প্রয়োজনের তুলনা অতিরিক্ত চুল এবং নখ বৃদ্ধি পেতে থাকে। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে? শুধুমাত্র কৈলাসে গেলেই কেন এমনটা হয়। আর কোনো অন্য পর্বতে নয় কেন। এর উত্তর কারোর কাছে নেই।
চার, শিবের ডুমরুর আওয়াজ:
শোনা যায়, রাতের অন্ধকারে কৈলাস পর্বত থেকে কিছু অস্বাভাবিক আওয়াজ ভেসে আসে। আওয়াজটা শুনতেই খানিকটা ডুমরুর মত লাগে। এছাড়াও সারাক্ষণ ওম শব্দ প্রতিধ্বনিত হতে থাকে। তবে এই আওয়াজ সত্যি সত্যি ডুমরুর কিনা তা অনেকবার জানার চেষ্টা করেছেন বিজ্ঞানীরা। কিন্তু সেই বারবার ব্যর্থ। অনেকে বলেন এই আওয়াজ গুলি মূলত বরফ গলে যাওয়ার কারণে সৃষ্টি হয়। কিন্তু আদৌতেও তাই কিনা সেটা নিয়ে আজও প্রশ্নবোধক চিহ্ন রয়ে গেছে।
পাঁচ, সাতরঙা আলোর বিচ্ছুরণ:
কৈলাস পর্বত বেড়াতে গিয়ে অনেকে এই সাতরঙা আলোর দৃশ্য নাকি উপভোগ করেছেন। তাদের দাবি ঠিক রাতের বেলা এখানে উজ্জ্বল ৭ টি আলো স্পষ্ট ফুটে ওঠে। বিজ্ঞানীরা জানান, এই সাতটি রংয়ের উৎস হচ্ছে চৌম্বকীয় শক্তি। তবে এমনটাই যে হচ্ছে তা কিন্তু তারা পুরোপুরি স্পষ্ট করে জানাননি।
Leave a Reply