আপনিও যদি এইভাবে সিম কেনেন! খেতে হবে মামাবাড়ির ভাত!

Title: আপনিও যদি এইভাবে সিম কেনেন! খেতে হবে মামাবাড়ির ভাত! জরিমানা হিসেবে গুনতে হবে ২ লাখ টাকা!

Focus:

আপনিও যদি এইভাবে
সিম কেনেন!

খেতে হবে
মামাবাড়ির ভাত!

জরিমানা হিসেবে
গুনতে হবে ২ লাখ টাকা!

কি শুনে অবাক হচ্ছেন?
তাহলে বিষয়টি জেনে নিন ঝটপট

Body:

আজকাল প্রায় সকলের হাতে হাতে ঘুরছে স্মার্টফোন। একটা নয় কারোর তো আবার একসাথে ২-৩ টেও ফোন থাকে। আর যত স্মার্ট যুগ আসছে ততই স্মার্ট জলিয়াতিও বাড়ছে। যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে আমার আপনার মত সাধারণ মানুষদের। আর অনেকেই জালিয়াতি করার জন্য প্রায় সময় একাধিক সিম কিনে নেন। নতুন নতুন ফোন নাম্বারে ফোন করে, নিত্যনতুন ফন্দি এঁটে মানুষের গলা টিপে ধরাই প্রতারকদেকদের কাজ। এবার সেই কাজই বন্ধ করবে টেলিকম আইন। একাধিক সিম কেনা হাড়ে হাড়ে টের পাওয়াবে।

তথ্যসূত্রে জানা গিয়েছে, এবার টেলিকম সেক্টরে বিরাট পরিবর্তন আনা হয়েছে। চলতি মাসের ২৬ শে জুন থেকে এই পরিবর্তন আনা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। মূলত দেশজুড়ে টেলিকমিউনিকেশন অ্যাক্ট ২০২৩ চালু করা হয়েছে। সেই অ্যাক্ট অনুযায়ী, এখন থেকে ভারতের কোনো নাগরিকই লাইফটাইমে ৯টির বেশি সিমকার্ড তুলতে পারবে না। তুললেই কপালে শনি। নিয়ম অনুযায়ী, ৯টির বেশি সিমকার্ড ব্যবহার করলে ৫০ হাজার থেকে ২ লক্ষ টাকা পর্যন্ত জরিমানা দিতে হবে। এখানেই শেষ নয়, রয়েছে আরো বড় টুইস্ট। অনেকে আবার অন্যের আইডি থেকে সিম তোলার চেষ্টা করেন। সেই পথও বন্ধ। তথ্যসূত্রে জানা গিয়েছে, অন্য কারোর নামে জালিয়াতি করে সিম তুললে সেক্ষেত্রে ৫০ লাখ টাকা জরিমানা দিতে হতে পারে। আপনাদের জানিয়ে রাখি, গত বছর ডিসেম্বরে এই আইন সংসদে তোলা হয়। এবং সেই মাসেই পাশ হয়ে যায়। আর এবার ২০২৪ সালে সেই আইন কার্যকর করা হল। এখানে বলে রাখা ভালো, এই আইনটি দেশের ১৩৮ বছরের পুরনো। অর্থাৎ ভারতীয় টেলিগ্রাফ অ্যাক্ট এবং দ্য ইন্ডিয়ান ওয়্যারলেস টেলিগ্রাফ অ্যাক্ট ১৯৩৩-কে প্রতিস্থাপন করা হলো।

এখানেই শেষ নয়। তথ্যসূত্র জানা গিয়েছে,এই আইন অনুযায়ী কোনও জরুরি অবস্থায় প্রয়োজনে সরকার টেলিকম সার্ভিস কিংবা নেটওয়ার্ককে পর্যন্ত সাময়িক সাসপেন্ড করতে পারেন। এর পাশাপাশি যেকোনোও টেলিকম সার্ভিস বা নেটওয়ার্ক এবং ম্যানেজমেন্টকেও নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন। শুধু তাই নয়, স্প্যাম কল এবং মেসেজের ক্ষেত্রে কড়া নজরদারি রাখছেন সরকার। এর ফলে সাধারণ মানুষ জালিয়াতির হাত থেকে বেঁচে যাবে। তথ্যসূত্রে জানা গিয়েছে, সাধারণ মানুষকে মেসেজ পাঠাতে গেলে টেলিকম সংস্থাকে পর্যন্ত সম্মতি নিতে হবে। এছাড়াও গ্রাহকদের অভিযোগ শোনার জন্য মেকানিজম তৈরি করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যেখানে গ্রাহকেরা তাদের অভিযোগ তুলে ধরতে পারবেন।

এইভাবে মানুষকে সুরক্ষার দিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। এতে করে যেমন সহজে জালিয়াতি হবে না। আবার জালিয়াতি করলেও উল্টে নিজেই ফাঁদে পড়বে।


Posted

in

by

Tags:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *