মেয়েরা সাবধান! ভয়ঙ্করভাবে তলপেটে ছড়াচ্ছে ক্যান্সার!

Title: মেয়েরা সাবধান! ভয়ঙ্করভাবে তলপেটে ছড়াচ্ছে ক্যান্সার! কেনো এত ভয়ঙ্কর এই রোগ?

Focus:
মেয়েরা সাবধান!

ভয়ঙ্করভাবে তলপেটে
ছড়াচ্ছে ক্যান্সার!

কেনো এত ভয়ঙ্কর এই রোগ?
ঠিক কি কারণে হয় এই মারনব্যাধি?

বুঝবেনই বা কিভাবে আপনি
তলপেটের ক্যান্সারে আক্রান্ত?

জানতে হলে
দেখুন বিস্তারিত

Body:

মেয়েদের জন্য দুঃসংবাদ! হঠাৎ করে মেয়েদের তলপেটে ক্যান্সার থাবা বসাতে শুরু করেছে। আর এই ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে দিনের পর দিন মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন মা বোনেরা। আর জানেন? গবেষণায় দেখা যাচ্ছে ভারতীয় মহিলারাই এই রোগে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত। আপনাদের জানিয়ে রাখি বিশ্বের প্রতি ২ মিনিট অন্তর ১জন নারী এই ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর মুখে ঢলে পড়ছেন। এমনকি সমীক্ষায় দেখা গেছে প্রতি বছর ৫০ লক্ষ নারী নতুন করে এই মারণ ব্যাধিতে আক্রান্ত হয়ে থাকেন। আপনিও যদি এই ক্যান্সারে আক্রান্ত হন বাড়তে পারে মৃত্যু ঝুঁকি। তার কারণ বেশিরভাগ মহিলারাই এই ক্যান্সার সম্পর্কে অবগত নন। এমনকি কেউ কেউ জানলে লোক লজ্জার ভয় সেই বিষয়টি খুলে বলতে পারেন না। তাই লোকলজ্জা ভুলে আগে এই বিষয়টি সম্পর্কে জেনে নিন। এই রোগের কারণগুলি কি কি এবং লক্ষণগুলি সম্বন্ধে অবগত হন।

সবার আগে জেনে নিই এই তলপেটের ক্যান্সার আসলে কি?

ক্যান্সার বিভিন্ন রকমের হয়ে থাকে………… তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে এই ক্যান্সার। মেয়েরা যেখানে সন্তান ধারণ করে অর্থাৎ গর্ভে কিংবা তলপেটে এই ক্যান্সার হয়ে থাকে। একে গর্ভের ক্যান্সার এবং ইংরেজিতে সার্ভিক্যাল ক্যান্সারও বলা হয়ে থাকে। আসলে যখন মেয়েদের গর্ভে প্যাপিলোমা ভাইরাস আক্রমণ করে। তখন শরীরে প্রতিরোধ ক্ষমতা ধ্বংস হয়ে যায়। বিশেষ করে ওই স্থানে থাকা ইস্ট্রোজেন নামক হরমোনকে কাবু করে ফেলে এই ভাইরাস। এর ফলে কোষগুলি অনিয়ন্ত্রিত হয়ে পড়ে। এরপর ক্যান্সার সৃষ্টি হয়।

এরপর জেনে নিন এই ক্যান্সার কেন হয়?

এক, অস্বাভাবিক মেলামেশা:

এই ক্যান্সারের মূল কারণ হচ্ছে অস্বাভাবিক মেলামেশা। মেয়েরা বিয়ের পর স্বামীদের কাছাকাছি আসে এবং গভীরভাবে মেলামেশা করে। গবেষকদের মতে, যে কোন মেয়ের শারীরিকভাবে মেলামেশা করার নির্দিষ্ট সীমা থাকে। তবে সেই সীমা লঙ্ঘন করে, যদি ঘন ঘন মেলামেশা করে। তাদের হরমোন মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বিশেষ করে উল্লেখিত প্যাপিলোমা ভাইরাস মেয়েদের লজ্জা স্থানটিকে ক্ষতবিক্ষত করে ফেলে। ফলত সেখানে ধীরে ধীরে ক্যান্সার সৃষ্টি হয়।

দুই, অনেকের সাথে সম্পর্ক:

মেয়েরা মনে রাখবেন অনেকের সাথে গভীরভাবে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়াও কিন্তু ,,,,,,এই ক্যান্সারের অন্যতম কারণ। আপনাদের জানিয়ে রাখি, এক একজনের শরীর এক একরকমের ভাইরাস বহন করে। অনেকের সাথে মেলামেশার ফলে সেই ভাইরাস গুলি মেয়েদের শরীরে প্রবেশ করে। একই সঙ্গে একটি শরীর এই ভাইরাসগুলি প্রতিরোধ করতে পারে না। যারফলে সৃষ্টি হয় এই মারন রোগ।

তিন, পিছিয়ে পড়া মহিলা:

এখনো অনেক মহিলারা রয়েছেন যারা আর্থ সামাজিকভাবে অনেকটাই পিছিয়ে। এর ফলে তারা ঋতুস্রাব বিষয়টিকে খুব একটা গুরুত্ব দেন না। এই সময় যে জিনিস ব্যবহার করা উচিত সে জিনিস ব্যবহার না করে কাপড়ের ব্যবহার করে থাকেন। গবেষকদের মতে, দীর্ঘদিন ধরে ওই একই কাপড় ব্যবহার করার ফলে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার অভাব দেখা দেয়। এমনকি ওই সমস্ত কাপড়ে বিভিন্ন ধরনের ব্যাকটেরিয়া সৃষ্টি হয়। যা মেয়েদের লজ্জাস্থানের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর।

চার অল্প বয়সে বিয়ে:

আমাদের দেশে এখনো অনেক অল্প বয়সে বিয়ে করে ফেলেন। বলা যায় পরিণত হওয়ার আগেই বিয়ে করেন। এমনকি পরিণত হওয়ার আগেই তারা স্বামীর সাথে গভীরভাবে মেলামেশা শুরু করেন। চিকিৎসা বিজ্ঞানীদের মতে, যে কোন মেয়ের বিয়ের পাশাপাশি পুরুষের সঙ্গে মেলামেশার একটি নির্দিষ্ট বয়স রয়েছে। সেই নির্দিষ্ট বয়সের আগে যদি তারা মেলামেশা করতে থাকে। তা শরীরের উপর খারাপ প্রভাব ফেলে। কম বয়সে মেলামেশা বাচ্চা হওয়া এই পুরো চক্রাকারটি মেয়েদের জীবনে ক্যান্সারের কারণ হয়ে ওঠে।

এছাড়াও অস্বাস্থ্যকর খাবার, এমনকি ধূমপানও এই রোগের কারণ হয়ে উঠতে পারে।

এই রোগ হলে বুঝবেন কি করে?

এই রোগ হলেই আপনার ঋতুস্রাবে অনিয়ম শুরু হবে।

দুই, প্রস্রাব করার সময় তলপেটে ব্যথা দেখা দেবে।

তিন, মেয়েদের শরীর থেকে বিশেষ একটি উপাদান নির্গত হয়। উপাদানটি যদি অতিরিক্ত পরিমাণে নির্গত হতে থাকে তাহলে এটি ক্যান্সারের পূর্ব লক্ষণ।

চার, প্রস্রাব করার সময় রক্তপাত হওয়া। ইত্যাদি রোগের মূল লক্ষণ।

এবার জানিয়ে রাখি এই রোগে কারা সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হয়?

গবেষকদের মতে এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি রয়েছে ১৫ থেকে ৩০ বছরের মহিলাদের মধ্যে। বিশেষ করে গ্রামীন এলাকার মা-বোনেদের মধ্যে এই রোগের ঝুঁকি অনেকটাই বেশি। এছাড়াও যে সমস্ত মহিলারা একের অধিক সন্তান জন্ম দিয়েছেন তাদেরও এই মারণরোগ হওয়ার প্রবণতা রয়েছে। তাই উল্লেখিত লক্ষণ গুলি দেখা দেওয়া মাত্রই ডাক্তারের শরণাপন্ন হন।


Posted

in

by

Tags:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *