মুকেশ আম্বানির রাঁধুনির বেতন কত জানেন?

Title: মুকেশ আম্বানির রাঁধুনির বেতন কত জানেন? বেতনের কাছে পাত্তা পাবেন বলিউডের সেলিব্রেটিরাও!

Focus:

মুকেশ আম্বানির রাঁধুনির
বেতন কত জানেন?

এই বেতনের কাছে পাত্তা
পাবেন না বলিউডের সেলিব্রেটিরাও!

শুধু হেঁসেল ঠেলেই মাস গুনে
কামাচ্ছেন এত এত টাকা!

সাথে রয়েছে লাক্সারিয়াস বাড়ি,
থেকে শুরু করে মার্সিডিজ, ল্যাম্বারগিনী!

তাদের বেতনের অঙ্ক জানলে
পায়ের মাটি কেঁপে উঠবে!

Body:

রান্না! এটা সবার কম্মের নয়! এর জন্য প্রয়োজন ট্যালেন্টের। আজকাল আবার রান্না করার জন্য বড় বড় ডিগ্রী নিতে হয়। বড় বড় প্রতিষ্ঠানে গিয়ে সেখানে গাদাগুচ্ছের টাকা খরচ করে। রান্নার প্রশিক্ষণ নিয়ে বড় মাপের সেফ হওয়া যায়। বড় বড় রেস্টুরেন্টে রান্না করে যেমন মানুষের স্বাদের তৃপ্তি দেওয়া যায়। সেইসাথে মাসে মাসে মন মত পয়সাও কামানো যায়। তবে আপনাকে যদি আমি জিজ্ঞেস করি একজন রাঁধুনির বেতন কত হতে পারে? উত্তর কি হবে বড়জোর ২০ হাজার, কি ৩০ হাজার। আচ্ছা মেনে নিলাম ৫০ হাজার। কিন্তু যদি আপনাকে বলি একজন রাঁধুনির মাইনে সিনেমার সেলিব্রেটিদের থেকে কম কিছু নয়। তাহলে কি বলবেন? না একদম মিথ্যে নয়। মিথ্যে তখনই হতো যদি না মুকেশ আম্বানির রাঁধুনির বেতন সম্পর্কে না জানা যেত।

মুকেশ বাবু! যার একনামে রীতিমত গোটা বিজনেস ইন্ডাস্ট্রি কাঁপতে থাকে। যার জুতোর চমকে মুখ দেখা যায়। যিনি স্নান করেন সোনার জলে। সেই বাড়ির রাঁধুনি কি আর ৫০০-১০০০ এ কাজ করবে। কখনোই নয়। আর না থোড়াই তিনি ঘন্ট কিংবা মূলোর চচ্চড়ি রান্না করবেন। আরে মুকেশ আম্বানির পোষা রাঁধুনি আছে বস! শুধু রাঁধলে হবে খরচাও আছে।

বিশিষ্ট সূত্র মারফত জানা গিয়েছে , মুকেশ আম্বানির স্পেশাল সেই রাঁধুনি মাসেই ইনকাম করেন ২ লক্ষ টাকা। শুধুমাত্র খুন্তি নেড়েই মাস গুনে পেয়ে যান গুণে গুণে ২ লাখ টাকা। কিন্তু এটা ভেবে ভুল করবেন না! এই রান্না যে কেউ করে দিতে পারবে। অবশ্যই মুকেশ আম্বানির রাঁধুনির রান্নার দিকে থেকে পারদর্শী, অভিজ্ঞ এবং এই বিষয় নিয়ে পড়াশুনা করেছে সেই যোগ্যতা থাকতে হবে। শুধু দেশী খাবার নয় একইসাথে বিদেশী খাবার বানাতে জানতে হবে! জানা বলা ভুল এক্সপার্ট হতে হবে। চাইনিজ, ইটালিয়ান, কোরিয়ান সমস্ত রকমের খাবার তুড়ি মেরে বানিয়ে ফেলতে পারবে এমন যোগ্যতা থাকা চাই।

তবে আপনাকে জানিয়ে রাখি মুকেশ বাবু কিন্তু তেল, ঝাল খাওয়া বিন্দুমাত্র পছন্দ করেন না। পছন্দ করেন স্বাস্থ্যকর খাবার খেতে। তিনি সর্বদা সাধারণ জীবন যাপন করতে ভালোবাসেন। তাই খাবারও খান অতি সাধারন! আমিষ তো খানই না। খাবারের মধ্যে রয়েছে ডাল, রুটি,ভাত এইসব খাবার। এছাড়াও ব্রেকফাস্টে তিনি ইডলি, ধোসা খেতে পছন্দ করেন। সাধারণ খেলেও কি হবে! তাঁর খাবারের স্বাদ হতে হবে একেবারে টু গুড! তাই অত্যন্ত বিচক্ষণতার সাথে রান্না করতে হয় সেই রাঁধুনিকে। খাবারে বেশি ঝাল, বেশি নুন হলেই সর্বনাশ। এছাড়াও বাড়ির এক একটি সদস্য এক একরকম খাবার খেতে পছন্দ করেন। সেসমস্ত কিছুর দিকে খেয়াল রাখতে হয় তাকে। দিনরাত রান্নাঘরে থেকে নিজের হাতে আম্বানি পরিবারের প্রতিটি সদস্যদের মুখে খাবার তুলে দিচ্ছেন সময়মতো। এটা কি চাট্টিখানি কথা। আর সেই কাজের পরিপ্রেক্ষিতে মাস গেলে রাঁধুনির হাতে ওঠে আসে ২ লাখ টাকা। অর্থাৎ বছরেই তিনি আয় করেন ২৪ লাখ টাকা। সাথে রয়েছে বোনাস। মালিক খাবার দিয়ে খুশি করলে হামেশাই বোনাস পেয়ে থাকেন।

একজন ইঞ্জিনিয়ার , ডাক্তারেরও চেয়েও বেশি টাকা ইনকাম করেন তিনি। মাস গেলে যেখানে ১০ হাজার টাকা রোজগার করতে গেলেই দম ফুরিয়ে যায়। সেখানে ২ লাখ আমাদের মত মধ্যবিত্তদের কাছে স্বপ্নের মতো।


Posted

in

by

Tags:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *