জিও, এয়ারটেলের মাথায় বাজ! চালু হলো টেলিকমের নতুন আইন!

Title: জিও, এয়ারটেলের মাথায় বাজ! চালু হলো টেলিকমের নতুন আইন!

Focus:

জিও, এয়ারটেলের
মাথায় বাজ!

চালু হলো টেলিকমের
নতুন আইন!

সরকার যখন ইচ্ছে চাইলে
নিয়ন্ত্রণ করবে জিও, এয়ারটেলকে!

একই সাথে কমবে স্প্যাম,
জালিয়াতির মত সমস্যা!

কি নিয়ম চালু করা হলো?
দেখুন

Body:

সদ্যই দেশ জুড়ে হইচই পড়ে গিয়েছে টেলিকমের নয়া ব্যবস্থা নিয়ে। বিশেষ করে চিন্তার খাঁজ স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে বেসরকারি নেটওয়ার্ক সংস্থাগুলিতে। আমাদের দেশে চারটি নেটওয়ার্ক ব্যবস্থা চালু রয়েছে। সেকথা সবাই জানেন। কিন্তু তার মধ্যে জিও, এয়ারটেল, ভোডাফোন তিনটেই বেসরকারি। এবং একমাত্র বিএসএনএল সরকারি। প্রায় সময় শোনা যায় বেসরকারি সংস্থাগুলি বিএসএনএলকে ক্রমশ অকেজো করে দিচ্ছে। তার কারণ এই তিন সংস্থা একের পর এক সুবিধা দিতেই আছে। এরফলে বিএসএনএলের দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে। তবে এবার বেসরকারি সংস্থাগুলোর রোয়াব বন্ধ করে দিচ্ছে সরকার। সেই সাথে দিনের পর দিন করা ডিজিটাল জালিয়াতির কারবারে তালা মারবে নয়া টেলিকম ব্যবস্থা।

আপনাদের জানিয়ে রাখি, টেলিকম সেক্টরে এবার বিরাট পরিবর্তন আনা হয়েছে। সূত্রের খবর, চলতি মাসের ২৬ শে জুন থেকে দেশজুড়ে টেলিকমিউনিকেশন অ্যাক্ট ২০২৩ লাগু করা হয়েছে। সেই সাথে ইন্ডিয়ান টেলিগ্রাফ আইন এবং ইন্ডিয়ান ওয়ারলেস টেলিগ্রাফ আইন প্রতিস্থাপন করা হয়েছে।
২৬ শে জুন এই আইনে ১,২,১০ থেকে ৩০,৪২-৪৪, ৪৭, ৫০, ৫৮, ৬১ ও ৬২ নম্বর ধারা একের পর এক কার্যকর করা হয়েছে। এখন প্রশ্ন হচ্ছে? এই নয়া আইনে কেন্দ্রীয় বিজ্ঞপ্তি কি জারি করেছে! এই নয়া অ্যাক্ট অনুযায়ী, এখন থেকে ভারতের কোনো নাগরিক ৯টির বেশি সিমকার্ড তুলতে পারবে না। কারণ তা আইন বিরুদ্ধ। জম্মু-কাশ্মীরের ক্ষেত্রে যদিও এই সংখ্যাটা ৬ করা হয়েছে। আর কেউ যদি আইনের বিরুদ্ধে গিয়ে ৯টির বেশি সিম কার্ড তোলেন। তাহলে তাকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা দিতে হবে। একবারের চেয়ে বেশি সেই কাজ করলে থেকে ২ লক্ষ টাকা পর্যন্ত জরিমানা দিতে হতে পারে।

দাঁড়ান এখানেই শেষ নয়, অন্যের পরিচয় পত্র ব্যবহার করে থেকে সিম তোলার পথও কিন্তু বন্ধ। টেলিকমের নয়া নিয়ম অনুযায়ী, এই কাজ করলে ৫০ লাখ টাকা জরিমানা দিতে হতে পারে। সেই সাথে তিন বছরের জেল হেফাজতও হতে পারে।

এতো গেলো সিমের নিয়ম, এরপর আসি আসল নিয়মে। লাগু হওয়া নতুন নিয়ম অনুযায়ী সরকার জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে যে কোন টেলিকম পরিষেবা যোগাযোগ এবং নেটওয়ার্ক নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে। এখন থেকে চাইলে এয়ারটেল, আম্বানিদের জিও ভোডাফোন যেকোন নেটওয়ার্ক সংস্থাই কেন্দ্র সরকারের হাতের মুঠোয়। এমনকি জাতীয় নিরাপত্তা স্বার্থে যে কোন টেলিকম পরিষেবা ব্লক করা, মেসেজ ও কলেরও নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে সরকার। একমাত্র অনুমোদন প্রাপ্ত সাংবাদিকরা এবিষয় থেকে ছাড় পাবেন। কিন্তু ভুলেও কোনো সাংবাদিক যদি জাতীয় নিরাপত্তার বিরুদ্ধে প্রতিবেদন প্রকাশ করে সে ক্ষেত্রে কিন্তু সরকার মেসেজ এবং কলের উপর নজরদারি চালাবেন। সেইসাথে সরকার চাইলে কারোর ব্যক্তিগত সম্পত্তিতে মোবাইল টাওয়ার বা টেলিকম কেবল বসাতে পারে। এই টাওয়ারের প্রয়োজন পড়লে, জমির মালিকের বিরোধিতাও মানবে না প্রশাসন।

শুধু তাই নয়, এর পাশাপাশি স্ক্যাম থেকেও রেহাই পাবে উপভোক্তারা। কোন ব্যবহারকারীকে তার সম্মতি ছাড়া বাণিজ্যিক বার্তা পাঠানো যাবে না। এককথায় বলা যায়, জালিয়াতি, স্ক্যাম, বড় বড় অপরাধমূলক ঘটনা বন্ধ করতে এমন আইন তৈরি করেছে সরকার।


Posted

in

by

Tags:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *