Title: গরমকালে তো বেশ গপগপিয়ে কাঁঠাল খাচ্ছেন! কিন্তু বাজারে কিনতে গিয়েই ঠকছেন! তাহলে দেখুন আজকের প্রতিবেদন
Focus:
গরমকালে তো বেশ
গপগপিয়ে কাঁঠাল খাচ্ছেন!
কিন্তু বাজারে কিনতে
গিয়েই ঠকছেন!
পচা, কাঁচা কাঁঠাল হাতে
তুলে দিচ্ছেন বিক্রেতা!
তাহলে কেনার আগে
দেখে নিন এই প্রতিবেদনটি
সাথে থাকবে
কাঁঠালের উপকারিতা
মিস করবেন না
একটিও পয়েন্ট!
Body:
গরমকালে মানেই শুধু আম আর লিচু নয়। সাথে বড় বড় কাঁঠালও। প্রায় প্রতিটি ব্যক্তি কম বেশি কাঁঠাল খেতে ভালবাসেন। কিন্তু কিনতে কেউ পারেন না। বাজারে যতবারই কিনতে যান সেই ঠকে চলে আসেন। মিষ্টির বদলে পানসা, পাকার বদলে কাঁচা তুলে আনেন। আর এমন কাঁঠাল দেখে গিন্নি রেগে লাল, সাথে জোটে গিন্নির গালাগাল। তবে কাঁঠাল কেনা আজ থেকে আপনারও কম্ম হয়ে উঠবে। কাঁঠাল ভালো না খারাপ তা বোঝার কয়েকটি উপায় রয়েছে। এগুলি মেনে চললেই রসালো, সুস্বাদু, টসটসে কাঁঠাল কেনা সেকেন্ডের কাজ। কি সেই উপায়গুলি দেখুন –
এক, কাঁঠালের রং:
কাঁঠালটি মিষ্টি কিনা তা বোঝা যায় তার রঙ দেখে। সাথে কাঁচা কিনা সেটাও সহজে বোঝা যায়। যদি দেখেন কাঁঠালটি এখনো সবুজ তাহলে বুঝতে হবে এই কাঁঠালটি এখনো কাঁচা। আর কাঁচা কাঁঠাল স্বাভাবিকভাবে মিষ্টি হয় না। কাঁঠালের রং যদি হলুদ হয় তাহলে বুঝবেন সেটি পাকা। হলুদ কাঁঠাল সর্বদা পাকা এবং দারুন মিষ্টি প্রকৃতির হয়ে থাকে। তাই বাজারে গিয়ে সবার আগে রং পরীক্ষা করুন।
দুই, গন্ধ পরীক্ষা:
কাঁঠাল চেনার সবথেকে দুর্দান্ত ট্রিকস হলো কাঁঠালের গন্ধ পরীক্ষা করা। এই ফলের গন্ধ এমনিতেই মিষ্টি,,,,,, সাথে তীব্র। তাই কাঁঠালটি হাতে নেওয়া মাত্রই যদি মিষ্টি গন্ধ আসে। তাহলে বুঝবেন ওই কাঁঠালটি অবশ্যই ভালো সাথে মিষ্টিও। আর যদি দেখেন কোন গন্ধ আসছে না। সেক্ষেত্রে বুঝবেন সেটি এখনো পরিপক্ক হয়নি।
তিন, টিপে দেখুন:
কাঁঠাল ভালো কিনা তা চেনার অন্যতম উপায় হচ্ছে কাঁঠালটিকে টিপে দেখা। তবে জোরে চাপ দেবেন না হালকা করে চাপ দিয়ে দেখুন। যদি দেখেন সেটি অল্পস্বল্প নরম। তাহলে চোখ বন্ধ করে সেটি কিনে নিন। আর যদি দেখেন এখনো শক্ত রয়েছে তাহলে ভুলেও কিনবেন না। এমনকি অতিরিক্ত নরম হলেও সেই কাঁঠাল বাড়িতে আনার ভুল করবেন না। হালকা নরম হলেই কিনবেন।
দাঁড়ান এখানেই কিন্তু প্রতিবেদন শেষ হয়নি। এরপরে আরো বিশেষ কিছু জিনিস জানাবো। কাঁঠাল তো কিনেও আনলেন সাথে খেয়েও নিলেন। কিন্তু কি জানেন এর উপকারিতা কি? কাঁঠালের বীজ খেলে কি হয়? জানেন না নিশ্চয়ই তাহলে জেনে নিন। আম কিংবা লিচু আপেল বীজে এত উপকারিতা নেই যা কাঁঠালের বীজে রয়েছে।
১) কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে:
গবেষকদের মতে কাঁঠালের বীজে রয়েছে অধিক পরিমাণের ফাইবার। এই ফাইবার দেহে কোষ্ঠকাঠিন্য জমা হতে দেয় না। সেই সাথে ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি উপাদান এই ফাইবার সমৃদ্ধ কাঁঠালের বীজ।
২) ক্যান্সার তাড়ানোর যম:
কাঁঠালের বীজ অ্যান্টি অক্সিডেন্টের উৎস। শুধু তাই নয় অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের পাশাপাশি ফ্ল্যাভোনয়েড, স্যাপোনিন এবং ফেনোলিক্স সমৃদ্ধ। এই উপাদান গুলি শরীরে ক্যান্সারের কোষ উৎপাদন করতে বাধা সৃষ্টি করে।
৩) হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বাড়ায়:
এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ আয়রন। যা আমাদের শরীরে হিমোগ্লোবিনের উৎপাদন বৃদ্ধি করে। ফলে রক্তহীনতা, অ্যানিমিয়ার মত সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় না।
৪) হার্ট সুস্থ রাখে:
শুধু বীজ নয় কাঁঠালেও রয়েছে অধিক মাত্রায় পটাশিয়াম, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। এই উপাদানগুলি হৃদয় দপ্তরের হাল ধরে রাখতে সাহায্য করে। সাথে হৃদরোগের ঝুঁকিও অনেকটাই কমে যায়।
এছাড়াও কাঁঠালে থাকা বিটা ক্যারোটিন চোখের জন্য অত্যন্ত উপকারী। অতিরিক্ত ওজন বৃদ্ধিতে লাগাম টানে, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে, দেহের হাড় থেকে শুরু করে পেশী সমস্ত কিছু শক্ত সবল করে তোলে।
Leave a Reply