Title: সারেগামাপার মঞ্চ কাঁপানো গায়িকা অদিতি, আর বর তৃনমূলের দাপুটে নেতা! আলাদা হয়েও কিভাবে হলো দুজনের বিয়ে?
Focus:
সারেগামাপার মঞ্চ
কাঁপানো গায়িকা অদিতি!
আর বর তৃনমূলের
দাপুটে নেতা!
বিন্দু মাত্র মিল নেই
একে অপরের সাথে!
একজন অগোছালো তো
আরেকজন পরিপাটি!
তা সত্বেও দুজনকে
যেন লাগে হরগৌরী!
বরকে চোখে হারান গায়িকা!
আলাদা হয়েও কিভাবে
হলো দুজনের বিয়ে?
দেখুন
আজকের প্রতিবেদনে
Body:
বাংলায় কীর্তন গায়িকার নাম উঠলেই সবার আগে নাম আসে অদিতি মুন্সির। জি বাংলায় গানের রিয়েলিটি শো সারেগামাপার মঞ্চ ধরেই অদিতির জনসম্মুখে অভিষেক। লক্ষ্মী প্রতিমার মতো মুখ, ছোটখাটো চেহারা, মিষ্টি হাসি আর সুরেলা গলা দিয়েই বাংলার মানুষের মন জয় করেছেন তিনি। এই মুহূর্তে খবরের শিরোনামে রয়েছে অদিতি মুন্সির প্রাণনাথ দেবরাজ চক্রবর্তী। প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ফের সিবিআইয়ের অফিসে ডাক পড়েছে দেবরাজের। আর যার জেরে নানা ধরনের বিতর্ক তৈরি হয়েছে। আর এই বিতর্কের মাঝেই দেবরাজ আর অদিতিকে নিয়েও বেশ কিছু প্রশ্ন তৈরি হয়েছে। বিশেষ করে অদিতি এবং দেবরাজের দাম্পত্য জীবনের কাহিনী নিয়ে।
তবে জানিয়ে রাখি মেয়েটি শুধু দক্ষ গায়িকাই নন একাধারে দক্ষ গিন্নিও বটে। কিন্তু জানেন কি দুজনে আবার বিপরীতমুখী! অদিতি উত্তর বললে দেবরাজ বলেন দক্ষিণ। পেশাগত দিক দিয়ে দুজনে একেবারেই আলাদা। একজন গায়িকা আর আরেকজন দাপুটে নেতা। হ্যাঁ এখন হয়তো অদিতি তৃণমূলের বিধায়ক। তবে বিয়ের আগে তার পরিচিতি ছিল একটাই! আর সেটা হচ্ছে তিনি কীর্তন গায়িকা। একে অপরের সাথে মিল নেই বিন্দুমাত্র! তবুও দাম্পত্য জীবনে প্রেম ভরপুর। তাদের সম্পর্ক দেখে ভক্তদের মনে তৈরি হয় বিরাট প্রশ্ন। কিভাবে হলো তাদের বিয়ে? মিল না থেকেও এত প্রেম কিভাবে? এখনো নেটপাড়ায় ঢুঁ মারলে এমন সব প্রশ্ন দেখা উঠে আসে।
তাদের কেমিস্ট্রি দেখে হয়তো অনেকেই মনে করতে পারেন দুজনের লাভ ম্যারেজ। এখানেও বলে রাখি দুজনের কিন্তু একেবারেই অ্যারেঞ্জ ম্যারেজ। বাড়ি থেকে দেখাশোনা করেই বিয়ে হয়েছে তাদের। তথ্যসূত্রে জানা যায় দেবরাজের বাড়ি জ্যাংড়া এলাকাতে, আর অদিতি থাকতেন বাগুইআটিতে। যদিও একে অপরের বাড়ি খুব একটা দূরত্ব নয়। জানা যায়, সেই সময় দুজনেই দুজনের পেশাতে সুপ্রতিষ্ঠিত। দেবরাজ তখন তৃণমূলের দাপুটে কাউন্সিলর। আর অদিতি মুন্সি সেই সময় দেশ বিদেশ ঘুরে ঘুরে গান গেয়ে বেশ জনপ্রিয়তা লাভ করছেন। নির্দিষ্ট বয়স হয়ে যাওয়ার দরুন দুজনের বাড়ি থেকেই সম্বন্ধ দেখতে থাকে। একের পর এক দেখাশোনা হয়। তবুও কাউকে পছন্দ হয় না তাদের। এই দেখাশোনার মাঝেই দেবরাজ এর বাড়ি থেকে অদিতির বাড়িতে প্রস্তাব যায়। এরপর দুই পরিবারের মধ্যে কথাবার্তা হয়। সব থেকে বড় বিষয় হচ্ছে দেবরাজেরও অদিতিকে দেখেই পছন্দ হয়ে যায়। কোথাও গিয়ে তিনি মনে করেন তার মত ছেলেকে সামলাতে পারলে একমাত্র এই শান্তশিষ্ট মেয়েটাই পারবে।
ওই যে কথায় আছে লাভ ইস অলয়েজ অপজিট অ্যাট্রাকশন। তাদের ক্ষেত্রেও বিষয়টি তেমনই হয়েছিল। এরপর অল্প কিছুদিনের মধ্যেই তাদের বাড়ি থেকে বিয়ে ঠিক হয়। ২০১৮ সালে শুভদিনে চার হাত এক হয় দুজনের। আর বিয়ের পর থেকে তাদের জীবনে প্রেমের কোনো অভাব হয়নি। উল্টে দিন যত গড়িয়েছে ভালোবাসা যেন ততই বেড়েছে। পেশাগত হোক কিংবা পরিবারগতদিক মিল না থাকলেও,,,,,,,, তাদের মনেরদিক থেকে মিল একেবারে খাঁটি। বিয়ে হয়ে গেছে আজ ৬ বছর হতে যায় তবুও তাদের মধ্যে ভালোবাসা অটুট। একে অপরকে ছাড়া চলতেই পারে না। গায়িকা নিজের হাতেই গুছিয়ে নিয়েছেন সংসার।
শোনা যায়, দেবরাজের হাত ধরেই নাকি অদিতির রাজনীতির জগতে পা দেওয়া। রাজনীতিতে আসার পর থেকেও তিনি বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছেন বলেই জানা যায়। বেশ কিছুদিন ধরেই দেবরাজ সংবাদের শিরোনামে রয়েছে। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় নাম জড়ানোর কারণে বারবার তলব পড়ে এই কাউন্সিলরের। গত বছরের পর এবছর লোকসভা ভোটের মাঝেই আবারো সিবিআইয়ের তরফ থেকে ডাক পড়ে দেবরাজের। তবে এই কঠিন সময় অদিতি স্বামীর হাত না ছেড়ে,,,,,,,, বরং শক্ত হাতে ধরেছে তাকে। আর এখান থেকেই বোঝা যায় তাদের ভালোবাসা ঠিক কতখানি।
Leave a Reply