মাথার উপর ছাদ বলতে শুধু ওই দরমার ঘরটুকু!

Title: মাথার উপর ছাদ বলতে শুধু ওই দরমার ঘরটুকু! সন্দেশখালির প্রতিবাদী রেখা পাত্রের নুন আনতে পান্তা ফুরায়!

Focus:

মাথার উপর ছাদ বলতে
শুধু ওই দরমার ঘরটুকু!

না আছে চারচাকা গাড়ি,
আর না ছোটেন ফাইভ স্টার রেস্টুরেন্টে!

অন্যান্য নেতা-নেত্রীর মত বিলেতি পোশাক,
বিলেতি মেকআপ মাখারও সময় নেই!

সন্দেশখালির প্রতিবাদী রেখা পাত্রের
নুন আনতে পান্তা ফুরায়!

বন্ধ হয়েছে লক্ষ্মী ভান্ডারের টাকাও!

কোনরকমে দিন
গুজরান হয় তাদের!

তবুও টেক্কা দিচ্ছেন
একের পর এক ধুরন্ধর নেতাদের!

Body:

বিগত কয়েক মাস ধরে সংবাদের শিরোনামে একটি নাম। সন্দেশখালি! এমনকি ভোটের ময়দানেও এই সন্দেশখালিকেই তুরুপের তাস করা হয়। কারণ এই বসিরহাটে বিজেপির প্রার্থী গৃহবধূ রেখা পাত্র। যিনি কিনা অনর্গল বাংলাও বলতে পারেন না এবং হিন্দি বলতে গেলেও বারংবার হোঁচট খান। শাসক দলের কাছে সবচেয়ে বড় প্রতিদ্বন্দ্বী। শিবু হাজরা, উত্তমের মতো লোকদের বিরুদ্ধে একাই রুখে দাঁড়ান। আজ সেই রেখা পাত্র বিজেপির নতুন USP। রাজনীতির আনাচে-কানাচে এই একটি নামে ভেসে বেড়াচ্ছে।

একসময় এই রেখা পাত্রকে দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি নিজে ফোন করেছিলেন। এমনকি প্রধানমন্ত্রীর পাশে তাকে বসতেও দেখা যায়। দেশের বড় বড় নেতা-মন্ত্রীরা যে কাজ করে উঠতে পারেননি, সে কাজ করে দেখিয়েছেন রেখা পাত্র। আর সেই মানুষটি কোথায় থাকে জানেন? এক চিলতে ঘরে। না অন্যান্য নেতা-নেত্রীদের মতো তার চার দেওয়াল ঘর কিংবা প্রাসাদের মত অট্টালিকা নেই। রয়েছে শুধু দরমার ঘর।
বাড়ির আনাচে-কানাচে সর্বত্রই দারিদ্রতার ছাপ।

এখন যেখানে পাকা, চার দেওয়ালের ঘর ছাড়া কিছু দেখা যায় না। সেখানে বিজেপির প্রার্থী রেখা পাত্রের বেড়ার দেওয়াল। এমনকি উঠোনটাও পুরোটাই মাটির। উঠোনে কাদায় প্যাচপ্যাচ করছে চারিদিক। সেখানেই থাকেন রেখা পাত্রের পুরো পরিবার।

যেখানে নুন আনতে পান্তা ফুরোনোর জোগাড়। সেখানে চার চাকা কিংবা পাঁচতারা হোটেলে গিয়ে খাওয়া দাওয়া তার কাছে অলীক স্বপ্ন। পেটের টনে স্বামী থাকেন বাইরে। সেখান থেকে যা রোজগার হয় তাতে কোনরকমের দিন চলে যায়। এমনকি সংবাদ মাধ্যমেও যতবার তিনি সামনে এসেছেন ফুটে উঠেছে সেই ছাপোষা মুখটা। যেখানে অন্যান্য নেতা-নেত্রীদের হলফনামায় বার্ষিক আয় থেকে শুরু করে, স্থাবরঅস্থাবর সম্পত্তির পরিমাণ আকাশ ছোঁয়া। সেখানে এই প্রতিবাদী মহিলা যেন সকলের থেকেই আলাদা। তার এমন দুর্দশা অবস্থা দেখে হতবাক সকলেই।

তবে এখানেই অবাক হবেন না। আপনাদের জানাবো আরো বিশেষ তথ্য! জানা গিয়েছে অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করায় লক্ষ্মী ভান্ডারের থেকে তালিকা থেকে বাতিল হতে হয়েছে, রেখা পাত্রের জাকে। রেখা পাত্রের জা, সাগরিকা পাত্র নিজের মুখেই একথা স্বীকার করেন। তিনি জানিয়েছেন, আগে তিনি লক্ষ্মী ভান্ডারের টাকা পেতেন। তবে আন্দোলনে নামার পর থেকেই বেশ কয়েক মাস হল তার অ্যাকাউন্টে টাকা ঢোকে না। তবে সাগরিকা দেবীর এমন দাবি তৃণমূলের তরফ থেকে অস্বীকার করা হয়েছে। তৃণমূল নেতাদের দাবি, কারোরই লক্ষী ভান্ডার বন্ধ হয়নি। এ সমস্ত কিছু মিথ্যে। তবে সে কথা আদৌ সত্যি না মিথ্যা সেবিষয় এখনো স্পষ্ট নয়।


Posted

in

by

Tags:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *