ত্রিভুজের তিনটি নয় দুটি কোণ! মধ্যশিক্ষা পর্ষদের দ্বারা স্বীকৃত এই বই!

Title: ত্রিভুজের তিনটি নয় দুটি কোণ! মধ্যশিক্ষা পর্ষদের দ্বারা স্বীকৃত এই বই! পড়ুয়ারাও পড়ছে তা!

Focus:

ত্রিভুজের তিনটি নয়
দুটি কোণ!

এমনটাই লেখা গণিত বইয়ে!

মধ্যশিক্ষা পর্ষদের দ্বারা
স্বীকৃত এই বই!

সেই বই পড়ছে পড়ুয়ারাও,
এমন তথ্য দেখে মাথায়
বাজ শিক্ষকদের!

প্রশ্ন উঠছে!
পড়ুয়ারা শিখবে কি?
কিভাবে এতবড় ভুল স্বীকৃতি দেওয়া হলো?

গণিত বিভ্রাট নিয়ে চাপানোতোর
সৃষ্টি হয়েছে শিক্ষকমহলে!

চোখের ঘুম উড়লো
মধ্যশিক্ষা পর্ষদের!

Body:

অঙ্ক মানেই ছাত্র-ছাত্রীদের কাছে বাঘ, ভাল্লুক। একটা ফর্মুলা ভুল মানেই পুরো অঙ্কটাই ভুল। এরফলে পরীক্ষার খাতায় জোটে বড় বড় গোল্লা। তবে যদি অঙ্কের বইতেই ভুল থাকে তাহলে সেক্ষেত্রে দায়ী কারা হবে? পড়ুয়ারা নাকি শিক্ষকেরা? এবার অঙ্ক বইতেই ধরা পড়ল ভুল। এ ভুল ছোটখাটো ভুল নয় একেবারে মস্ত বড় ভুল। এতদিন ত্রিভুজের তিনটি কোণ জানলেও। বই তো বলছে অন্যকথা। এখন থেকে পড়তে হবে ত্রিভুজের দুটি কোণ। তাও আবার কি না মধ্যশিক্ষা পর্ষদের অনুমোদিত বই। একেই শিক্ষক নিয়োগ দূর্নীতি নিয়ে রাজ্যে কম জলঘোলা হচ্ছে না। তার উপর আবার এই গণিত বিভ্রাট যেনো বিষফোঁড়ার মত কাজ করছে।

২০১২-১৩ সালে শেষবারের মতন মাধ্যমিক স্তরের সব বিষয়ের সিলেবাস পুরোপুরি বদলে যায়। সেই থেকে এখনো পর্যন্ত সকল পড়ুয়ারা এই সিলেবাসেই পড়াশোনা করছেন। তবে এবার অষ্টম শ্রেণীর ইংরেজি ভাষার অনুমোদিত গণিতপ্রভা বইতে ধরা পড়ল বিরাট ভুল। এই বিষয়ে প্রথম নজরে আসে অষ্টম শ্রেণীর এক পড়ুয়ার। সেই পড়ুয়া জানান, ইংরেজি ভাষার গণিত বইতে ত্রিভুজ এবং পঞ্চভূজ উভয় ক্ষেত্রে ভুল তথ্য দেওয়া হয়েছে। সাধারণত ত্রিভুজের তিনটি কোণ হয়। সেটাই পড়ে আসা হচ্ছে। তবে বইতে লেখা আছে ত্রিভুজের দুটি কোণ। অন্যদিকে পঞ্চভূজকে ইংরেজিতে বলা হয় পেন্টাগণ। কিন্তু বইতে লেখা পেটাগন। এখানেই শেষ নয়, পাঠ্যবই গুলিতে আরো অনেক ভুল তথ্য দেওয়া রয়েছে বলেই জানা যাচ্ছে।

আর এমন ভুল দেখে শিক্ষকমহলে নানাধরনের প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। মধ্যশিক্ষা পর্ষদের তরফ থেকে কিভাবে এত বড় ভুল হতে পারে? এই নিয়ে পার্ক ইনস্টিটিউশনের প্রধান শিক্ষক সুপ্রিয় পাঁজা জানিয়েছেন, বিশেষত এই ধরনের ভুল শিক্ষকরাই ক্লাসে ঠিক করে দিয়ে থাকেন। তবে পর্ষদেরও যে সিলেবাস কমিটি রয়েছে তাঁদের এই বিষয়ে আরও সতর্ক হওয়া প্রয়োজন। বারবার ভুল হতে থাকলে বাচ্চারা ভুলটাই শিখবে।

এমনকি এবিষয়ে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের ডেপুটি সেক্রেটারি ঋতব্রত চট্টোপাধ্যায়ের সাথে কথা বললে। তিনি জানান তারা এখনও এই বিষয়ে কিছু জানেন না। এই বিষয়গুলি মূলত সিলেবাস কমিটি পর্যালোচনা করে। তবে তারা চেষ্টা করবে বইয়ের মধ্যে কোনো ভুল ত্রুটি থাকলে তা দ্রুত সংশোধন করার।

আপনাদের জানিয়ে রাখি, প্রতিটি বোর্ডেরই নিজস্ব এক্সপার্ট কমিটি বা সিলেবাস কমিটি থাকে। তারাই এই বিষয়গুলি খুঁটিনাটি পর্যবেক্ষণ করে। এমনকি তাদের তত্ত্বাবধানেই বই ছাপানো হয়। তাহলে কিভাবে ভুল ত্রুটি হতে পারে? এবিষয়ে এক একজন শিক্ষক এক একরকমের মতামত পোষণ করেছেন। কেউ বলছেন, এই সরকারের আমলে যত বই আছে তার মধ্যে বেশিরভাগ বইতেই ভুল রয়েছে। এমনকি অনেক বিতর্কিত নাম রয়েছে। যা পাঠ্যবইতে থাকা উচিত নয়। আবার অন্য আরেক শিক্ষক বলছেন, বাংলা ভাষার বইগুলিতে এমন ভুল নেই। ইংরেজি ভাষায় অনুবাদ করার ফলে হয়তো এমন ভুল হয়েছে। তবুও এবিষয়ে পর্ষদের সতর্ক হওয়া উচিত।

শিক্ষকমহল নানারকমের কথা বললেও, ভুলের মাশুল কিন্তু গুনতে হচ্ছে পড়ুয়াদেরই। দিনের পর দিন এমন ভুল তথ্য পড়তে থাকলে ভবিষ্যতে গিয়ে তাদেরই সমস্যা হবে।


Posted

in

by

Tags:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *