Title: কেনো? শুধু বিড়াল রাস্তা কাটলে অশুভ? অন্য কোনো পশু রাস্তা কাটলে অশুভ নয় কেনো?
Focus:
কেনো?
শুধু বিড়াল রাস্তা
কাটলে অশুভ?
অন্য কোনো পশু রাস্তা
কাটলে অশুভ নয় কেনো?
বিড়াল রাস্তা পার হলেই
গাড়ি, ঘোড়া সব দাঁড়িয়ে যায়!
বিপদ আসার ভয়
হাত-পা কাঁপতে থাকে!
এর পিছনে আসল
কারণটাই বা কি?
৯৯% মানুষই জানেন
না এর সঠিক কারণ!
শুধুই কি কুসংস্কার নাকি
রয়েছে অন্য কোন কারণ!
চলুন দেরী না করে
জেনে নিই এর আসল রহস্য
Body:
বিড়াল রাস্তা কেটেছে! বাবা রে ওই রাস্তা দিয়ে আর হাঁটা যাবে না। বড় বড় শিক্ষিত ব্যক্তিরাও এমন ধারণা পোষণ করেন। এমনকি গাড়ি চালাতে চালাতে কোনো কারণে বিড়াল রাস্তা পার হলেই। সঙ্গে সঙ্গে গাড়িও দাঁড়িয়ে পড়ে। সে যত তাড়াই থাকুক না কেন বিড়াল রাস্তা কাটলে আগে দাঁড়িয়ে যাওয়া মঙ্গল। আর কাজের মাঝে এমন অমঙ্গল হওয়াতে বিড়ালের কপালেও জোটে দু চারটে গালিও। কিন্তু এদিকে নির্বোধ বিড়াল বুঝতেই পারেনা সে কি করেছে। যুগ যুগান্তর ধরে মেনে আসা হচ্ছে বিড়াল রাস্তা কাটলেই অশুভ। কোন না কোন খারাপ খবর সেদিন আসবেই আসবে। তবে আদৌ এই কুসংস্কারের পিছনে সঠিক কোনো কারণ রয়েছে কিনা কখনো কেউ বিবেচনা করে দেখেননি। খামোখা বিড়াল রাস্তা কাটলেই কেন অশুভ হয়? কেউ ভেবে দেখেছেন কি? রাস্তা দিয়ে তো কুকুর গরু সকলেই পার হয় কিন্তু কই অশুভ তো হয় না! এর পিছনে রয়েছে বৈজ্ঞানিক, অবৈজ্ঞানিক দুই কারণ।
প্রথমে বৈজ্ঞানিক কারণটাই জেনে নিই-
আসলে আগেকার দিন এত চারচাকা দুচাকার ব্যবহার ছিল না। যাতায়াতের জন্য ভরসা ছিল একটাই! গরুর গাড়ি। শোনা যায়, তখনকার সময় গরুর গাড়ি সামনে বিড়াল চলে আসলে। গরুরা উত্তেজিত হয়ে পড়ত। তারা এদিক ওদিক ছোটাছুটি করা শুরু করত। তাই গরুদের শান্ত করতে চালকরা কিছুক্ষণের জন্য গাড়ি থামিয়ে, তারপর আবার যাওয়া শুরু করতো। এমনকি দূর থেকেও যদি বিড়াল চোখে পড়ে যায়, সঙ্গে সঙ্গে সেই গাড়ি থামিয়ে দিতেন চালকেরা। আর সেই প্রথা পরবর্তীকালে মানুষেরা কুসংস্কারে মেনে নেয়। বিড়াল রাস্তা কাটলেই নাকি বিপদ ঘনিয়ে আসে।
এছাড়াও আগেকার দিনে এতসব বিদ্যুতের উন্নতি ছিল না। এমনকি রাস্তাঘাটে হাঁটতে গেলেও সেই মশাল ধরিয়ে হাঁটতে হতো। তবে মশালের আলোয় সবকিছু স্পষ্ট বোঝা যেত এমনটাও নয়। আর সেইসময় রাস্তায় কোনো আওয়াজ হলেই সঙ্গে সঙ্গে থামতে হতো। এই আওয়াজের মানেই হচ্ছে বন্যপ্রাণীরা রাস্তা থেকে যাবে। বন্যপ্রাণীদের ভয় মানুষেরা এমন কাজ করতেন। এরপর সেই রাস্তা পার করে যতক্ষণ না দূরে যাচ্ছে, ততক্ষণ ওইভাবেই দাঁড়িয়ে থাকতে হতো l এতে করে বন্যপ্রাণীদের হাত থেকে রক্ষা পাওয়া যায় বলেই মনে করতেন মানুষেরা। আর সেই রেওয়াজ আজ বিড়াল এসে দাঁড়িয়েছে।
এগুলি ছাড়াও রয়েছে অবৈজ্ঞানিক কারণ:
পৌরাণিক শাস্ত্র অনুযায়ী, রাহুর বাহন নাকি বিড়াল। আর বিড়াল যেখানে থাকে সেখানেই নাকি রাহুর আগমন। জ্যোতিষ শাস্ত্র অনুসারে, রাহু হচ্ছে অত্যন্ত ক্ষতিকারক একটি গ্রহ। রাহুর কবলে যে পড়ে তার জীবন ছারখার হয়ে যায়। প্রচলিত বিশ্বাস অনুসারে, রাস্তা দিয়ে বিড়াল কাটলো মানে সেখানেই রাহুর আগমন। আর সেই রাস্তা ধরে যাতায়াত করলে রাহু নাকি ঘাড়ে চাপে। এমনটাই মনে করেন সকলে। তাই রাহু দৃষ্টি এড়াতে এমন কাজ করে থাকেন মানুষেরা।
Leave a Reply