জামাইষষ্ঠীতে জামাই আদরে উঠবে ঝড়!

Title: জামাইষষ্ঠীতে জামাই আদরে উঠবে ঝড়! আপ্যায়নের সময় শাশুড়িরা শুধু খেয়াল রাখুন এই কটি জিনিস!

Focus:

জামাইষষ্ঠীতে জামাই
আদরে উঠবে ঝড়!

আপ্যায়নের সময় শাশুড়িরা শুধু খেয়াল
রাখুন এই কটি জিনিস!

কবে পড়েছে
২০২৪ এর জামাইষষ্ঠী?

জামাই আদর তো করছেন?
তবে কি জানেন এর আসল কাহিনী?

জামাইয়ের মঙ্গলের জন্য
কি কি করবেন?

দেখুন
আজকের প্রতিবেদনে

Body:

জামাইষষ্ঠী শুনলে সবার আগে মাথায় কি আসে! হ্যাঁ ঠিকই ধরেছেন সাদা পাঞ্জাবি, কুচি দিয়ে ধুতি পড়া আদরের জামাই বাবাজীবন। হাতে এক হাঁড়ি রসগোল্লা আর ইলিশ মাছ। কি ঠিক বললাম তো! সাথে রয়েছে পঞ্চ ব্যঞ্জন। চিংড়ি থেকে ইলিশ, কচি পাঁঠার ঝোল, দই, মন্ডা, মিঠাই কি না নেই। তবে আজকাল আর সেসব কই! কুচি দিয়ে ধুতি এসব ব্যাকডেটেড। তবে জামাইষষ্ঠীটা কিন্তু এখনো ব্যাকডেটেড হয়নি। সময়মতো জামাইরা শ্বশুরবাড়ি চলে আসেন এবং শ্বাশুড়ির কাছে পাত পেড়ে আদর, ভালোবাসা, সাথে পেট পুজোও করে যান। জামাইষষ্ঠী তো মানা হয় তবে ঠিক কি কারণে মানা হয় সেটা জানা আছে কি? এবারের জামাইষষ্ঠীর দিনক্ষণ কবে? কিভাবে পালন করবেন জামাইষষ্ঠী?

সবার আগে জেনে নিন এবছরের জামাইষষ্ঠীর দিনক্ষণ –

বাংলার পঞ্জিকা অনুযায়ী, এবছর জামাইষষ্ঠী পড়েছে ২৯ জৈষ্ঠ্য বুধবার। অর্থাৎ ১২ই জুন। এইদিন প্রতিটি মেয়ের বাপের বাড়িতে পালিত হবে জামাই ষষ্ঠী। তালপাতার পাখা, শান্তির জল দিয়ে বরণ করা হবে জামাইকে।

কিন্তু এই জামাইষষ্ঠীর রীতি কবে থেকে শুরু হলো?

জামাইষষ্ঠীকে অরণ্যষষ্ঠীও বলা হয়। তবে জামাই ষষ্ঠীর পিছনে অনেকগুলি প্রচলিত কাহিনী রয়েছে।
কথিত আছে আগেকার দিনে কন্যা সন্তানের বিয়ের পর। বাড়ির লোকেরা তার মুখ আর দেখতে পারতেন না। যতদিন মেয়েটি কোনো সন্তানের জন্ম দিচ্ছে কিংবা গর্ভে সন্তান ধারণ করছে। ততদিন পর্যন্ত বাবা-মা তার গৃহেও পা পযর্ন্ত দিতে পারবেন না। তাই জৈষ্ঠ্য মাসের শুক্লা ষষ্ঠীকে বেছে নেওয়া হয় জামাই ষষ্ঠী হিসাবে। এই প্রথার মাধ্যমে মেয়ের মুখ দর্শন হবে। বছরে একবার হলেও মেয়েকে দেখতে পারবেন সেই আশায় এই নিয়ম।

এছাড়াও প্রচলিত বিশ্বাস অনুসারে মেয়ের মায়েরা তার সন্তান কামনার জন্য মা ষষ্ঠীর পুজো করে থাকতেন। মূলত জৈষ্ঠ মাসের ষষ্ঠী তিথিতে পুজো করা হয়। সারাদিন উপোস করে নানা রকমের নিয়ম বিধি মেনে পূজা-অর্চনা করতেন তারা। যেহেতু মা ষষ্ঠী মাতৃত্বের প্রতীক। তাই মাকে খুশি করতে এবং মেয়ের সন্তান লাভের জন্য,,,,,,,,, ষষ্ঠী পূজার পাশাপাশি, জামাই কেউ আদর আপ্যায়ন করতেন। আর সেখান থেকেই শুরু জামাইষষ্ঠীর প্রথা।

তবে জামাইষষ্ঠী পালন করতে গেলে কি কি পালন করা উচিত? যাতে করে জামাইয়ের মঙ্গল হয়-

এক, সবার আগে খেয়াল রাখবেন এদিন যেন জামাই বাড়িতে একা না আসে। মেয়ে জামাই জোড়ায় আসলেই এই নিয়মের মর্যাদা থাকে।

দুই, এদিন জামাই এর মঙ্গল কামনায় হাতে হলুদ মাখানো সুতো বেঁধে দিন। এই সুতো অবশ্যই মা ষষ্ঠীর পা ছুঁয়ে তারপরেই আনবেন। এতে করে মা ষষ্ঠীর আশীর্বাদ আপনার জামাইয়ের উপর থাকে।

তিন, জামাই এর মাথায় তেল এবং হলুদের ফোঁটা দিতে ভুলবেন না। এই তেল এবং হলুদের মাধ্যমে আপনার জামাইয়ের জীবনে ইতিবাচক শক্তির উত্থান ঘটবে। হলুদ হচ্ছে শুভর প্রতীক।

চার, আশীর্বাদের পর তালপাতার পাখার হাওয়া দিয়ে ষাট-ষাট-ষাট বলুন। এতে করে জামাইয়ের জীবন থেকে সমস্ত রকমের অশুভ শক্তি দূর হয়ে যায়।

পাঁচ, জামাইকে কোন জামা উপহার দিতে হলে অবশ্যই হলুদ রঙে দেওয়ার চেষ্টা করুন।


Posted

in

by

Tags:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *