প্রতিদিন খাবারের পাতে রাখুন এই শাক! শাকের জাদুতে উতলে উতলে পড়বে যৌবন!

Title: প্রতিদিন খাবারের পাতে রাখুন এই শাক! শাকের জাদুতে উতলে উতলে পড়বে যৌবন! সিংহের মত গর্জন করবে পুরুষত্ব!

Focus:

প্রতিদিন খাবারের পাতে
রাখুন এই শাক!

শাকের জাদুতে উতলে
উতলে পড়বে যৌবন!

বয়স ৬০ পেরোলেও
সিংহের মত গর্জন করবে পুরুষত্ব!

ছু মন্ত্বর হবে
বড় বড় রোগ!

হার্ট অ্যাটাক, ক্যান্সার শরীর
থেকে দেবে দৌড়!

কি সেই শাক?
পাতে পড়লে কোন কোন
রোগ দূর হয়ে যায়?

দেখুন

Body:

গ্রামবাংলায় শাকের অভাব নেই। ঢেঁকিশাক থেকে শুরু করে পালং শাক, লাল শাক, পুঁই শাক, কচু শাক, সর্ষে শাক, মূলো শাক। কি শাক নেই! প্রতিটি শাকের কিছু না কিছু গুন রয়েছে। তবে আজ এমনই শাকের সন্ধান দেবো। যা খেলে পুরুষদের জীবনে ঝরে ঝরে পড়বে যৌবন। বয়স ৬০ হলেও টনটনে থাকবে পুরুষত্ব। ক্যান্সার কোষ পযর্ন্ত নেতিয়ে পড়বে। হার্ট অ্যাটাকও যেন শরীরে প্রবেশ করতে ভয় পাবে। ধন্বন্তরি এই শাক সর্বরোগহারা। প্রতিদিনে পাতে রাখলে বেঁচে যাবে ওষুধের খরচাপাতি। ছুটতে হবে না ডাক্তারের দুয়ারে দুয়ারে। আর এই শাকের নাম হচ্ছে কলমি শাক। মাত্র ১০ টাকার আঁটি এই শাক প্রতিদিন রাখুন পাতে। এই শাককেই আবার মাঠে ঘাটে অবহেলায় পড়ে থাকতে দেখা যায়। অবহেলায় পড়ে থাকা এই শাক কতটা গুণী তা আপনার ধারণার বাইরে। কলমি শাক খেলে কি কি রোগ সারে দেখুন –

এক, পুরুষত্ব বৃদ্ধি:

পুরুষদের জন্য এই শাক অত্যন্ত কার্যকরী। বয়স হওয়ার সাথে সাথে শরীরের নানাধরনের রোগ বাসা বাঁধতে থাকে। এরফলে ধীরে ধীরে পুরুষত্ব হারাতে থাকে। তবে কলমিশাকে রয়েছে বিশেষ কিছু পুষ্টি উপাদান। যা পুরুষদের শরীরে বিশেষ হরমোন উৎপন্ন করে। এর ফলে ঝড়ের গতিতে পুরুষত্বও বৃদ্ধি পায়। এতে করে দাম্পত্য জীবন আরো সুখের হয়ে ওঠে। চাইলে কলমিশাক ভাজাও খেতে পারেন। আবার রস করেও পান করতে পারেন।

দুই, ক্যান্সার:

ক্যান্সারের মত জটিল অসুখ সারাতে কলমি শাক মস্ত বড় ওষুধ। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে কলমি শাকে রয়েছে ১৩ টি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। যা আর অন্য কোন শাকে পাওয়া যায় না। আর এই অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট গুলি শরীর থেকে সমস্ত রকমের ফ্রি র‍্যাডিকেলস বের করে দেয়। শরীর থেকে এই উপাদানটি বেরিয়ে যাওয়ার ফলে ক্যান্সারের কোষ বৃদ্ধি হওয়ার শক্তি নিস্তেজ হয়ে পড়ে। ফলত ক্যান্সারের মতন মারণব্যাধি শরীরে বাসা বাঁধতে পারে না।

তিন, হার্টকে রাখে কাবুতে:

হৃদয় দপ্তরের ঠিকানা ভালো রাখতে প্রতিদিন নিয়ম করে খান কলমি শাক। পুষ্টিবিদদের মতে, এটি হচ্ছে ভিটামিন সি-এর খনিজ ভান্ডার। এই উপাদানটির ফলে রক্তে দূষিত পদার্থ জমা হতে পারেনা। এমনকি রক্ত সঞ্চালনার মাত্রাও ধরে রাখে। এর ফলে খারাপ কোলেস্টেরলও শরীরে জায়গা দখল করতে পারে না। এর প্রভাবে হার্ট অ্যাটাক স্ট্রোকের সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।

চার, চোখের দৃষ্টিশক্তি:

কলমি শাক হচ্ছে ভিটামিন এ-র উৎস। এই উপাদানটি অক্ষিগোলকের খেয়াল রাখে। এছাড়াও চোখের কর্নিয়া, এমনকি রেটিনার স্বাস্থ্য ভালো রাখে। এরফলে দৃষ্টিশক্তির মত সমস্যা কব্জা করতে পারে না। বিশেষ করে বাচ্চাদের কলমি শাক খাওয়ানো সবচেয়ে বেশি জরুরী। এতে করে ছোটো বয়স থেকেই চোখের হাল ভালো থাকে।

পাঁচ, জন্ডিস:

অত্যন্ত ভয়ঙ্কর এবং ক্ষতিকর একটি রোগ জন্ডিস। এই অসুখের ফলে অনেক সময় মানুষের মৃত্যু পযর্ন্ত ঘটতে পারে। খাওয়ারের পাতে কলমি শাক রাখতে পারলে ভীষণ ভালো। কারণ এতে রয়েছে লিভার রক্ষা করার উপাদান। লিভার ভালো থাকলে জন্ডিস হওয়ার সম্ভাবনা কমে যায়।


Posted

in

by

Tags:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *