Title: কোটি কোটি টাকার তাজ হোটেলে রতন টাটার নির্দেশে পথ কুকুরের অবাধ প্রবেশ! কারো সাহস নেই তাড়ানোর, কুর্নিশ দেশবাসীদের
Focus:
কোটি কোটি টাকার তাজ হোটেলে রতন টাটার নির্দেশে,
পথ কুকুরের অবাধ প্রবেশ!
কারো সাহস নেই তাড়ানোর!
তাদের সাথে দুর্ব্যবহার করলে
কপালে জুটবে ঘোরতর শাস্তি!
স্বয়ং রাজার কড়া নির্দেশ!
হ্যাঁ ঠিকই শুনছেন,
মুম্বাইয়ের কোটি টাকার তাজ হোটেলে থাকার
জায়গা করে দিয়েছেন খোদ রতন টাটা!
মিস্টার টাটার এমন উদারতা দেখে
প্রশংসায় পঞ্চমুখ সকলে!
Body:
মিস্টার রতন টাটার পশুদের প্রতি ভালোবাসা আজকের নয়। আগেও বারবার প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে। কিন্তু এভাবেও ভালোবাসা যায় তা বোধহয় রতন টাটাকে না দেখলে বোঝা যেত না। আবারো একবার নিজের উদারতার পরিচয় দিলেন মিস্টার পারফেকশনিস্ট। তবে কখনোই তিনি নিজের এই পরিচয় সকলের সামনে তুলে ধরেননি।
আজ রুবি খান নামের এই নারীর দৌলতে মিস্টার রতন টাটার উদারতার পরিচয় পাওয়া গেলো। তিনিও বিষয়টি দেখে কিছুটা ভড়কে যান। মুম্বাইয়ের বুকে দাঁড়িয়ে কোটি টাকার তাজমহল হোটেল। আর সেই হোটেলের প্রাঙ্গণে ঘুমিয়ে থাকতে দেখেন পথকুকুরকে। এত বড় হোটেল যেখানে হাইভোল্টেজ সেলিব্রেটি, নেতা, মন্ত্রীরা আসেন। সেখানে কিনা পথ কুকুর ঘুরে বেড়াচ্ছে। এও সম্ভব! সামান্য বাড়ির সামনে কুকুর ঘুমাতে দেখলে,,,,,,,আমরা দূর ছাই করতে থাকি! কিংবা লাঠি নিয়ে তাড়া দিই! সেখানে তাজমহলের মতন ফাইভ স্টার হোটেলে এহেন কান্ড। স্বাভাবিকভাবেই সিকিউরিটির ব্যবস্থা নিয়ে তার মনে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে। কিভাবে তারা হোটেলের মধ্যে কুকুরদের ঢুকতে দিচ্ছে?
আসলে এই হোটেলটি কার দেখতে হবে তাই না। দানবীর রতন টাটার। যিনি কিনা নিজের পোষ্য কুকুরের অসুস্থতার জন্য লাইফটাইম এচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ডকেও গুরুত্ব দেন না। সেই মানুষটির হোটেলে এটা হওয়া অবাক কিছুর নয়।
সম্প্রতি সমাজ মাধ্যমে রুবি খান নামের এক এইচআর ( HR ) রতন টাটাকে নিয়ে একটি পোস্ট করেন। আর সেই পোষ্টটি সোশ্যাল মিডিয়ায় তুমুল ভাইরাল হচ্ছে। পোস্টটিতে তিনি লেখেন, মুম্বাইয়ের বুকে রতন টাটার ফাইভস্টার হোটেলের সামনে একটি কুকুরকে নিশ্চিন্তে ঘুমিয়ে থাকতে দেখেন। একদিন দুদিন নয় প্রায়দিনই তিনি বিষয়টি লক্ষ্য করেন। বিষয়টি দেখে তিনি কৌতুহল চাপতে পারেননি। হোটেল কর্মীদের সাথে এই বিষয়ে কথা বলতে যান। হোটেল কর্তৃপক্ষ জানায় ওই কুকুরটি জন্ম থেকেই এখানে রয়েছে। এমনকি হোটেলের সমস্ত কর্মচারীদের রতন টাটার কড়া নির্দেশ দেওয়া রয়েছে তাকে এখান থেকে তাড়ানো যাবে না। শুধু সেই নির্দিষ্ট একটি কুকুর নয় যে কোন পথকুকুরই এখানে আসুক না কেন। কারো সাথেই খারাপ আচরণ করা যাবে না। তাদের সঙ্গে মানবিক আচরণ করতে হবে। ওই এইচআর আরো জানান, এখানে দেশ বিদেশের সেলিব্রিটি থেকে শুরু করে, মন্ত্রী আমলা এসে থাকেন। তবুও ওই নিরীহ পশুদের বিন্দুমাত্র সমস্যা হয়না। তারা নিরাপদে সেখানেই ঘুমিয়ে থাকে।
আর রতন টাটার এমন মহৎ মনের পরিচয় দেখে সকলে প্রশংসা করতে শুরু করেছেন। সমাজ মাধ্যমে এই পোস্টটি শেয়ার হতে না হতেই একের পর এক মন্তব্যে কমেন্টবক্স ভরে উঠেছে। যে মানুষটি শুধুমাত্র এই নিরীহ নিষ্পাপ পশুদের জন্য ১৬৫ কোটি টাকা খরচ করে হাসপাতাল বানাতে পারেন। তার তরফ থেকে এমন কাজ অস্বাভাবিক কিছু নয়। বাংলা হান্টের পক্ষ থেকে স্যার রতন টাটার প্রতি কুর্নিশ। এই ব্যক্তিকে নিয়ে যতই বলি না কেনো শব্দের ভান্ডার ফুরিয়ে যাবে।
Leave a Reply