৩৫ বার ব্যর্থ হয়েও মাঠ ছাড়েননি তিনি! আজ তিনি IAS অফিসার! সকলের অনুপ্রেরণা বিজয় বর্ধন!

 

Title: ৩৫ বার ব্যর্থ হয়েও মাঠ ছাড়েননি তিনি! আজ তিনি IAS অফিসার! সকলের অনুপ্রেরণা বিজয় বর্ধন!

Focus:

৩৫ বার ব্যর্থ হয়েও
মাঠ ছাড়েননি তিনি!

আজ তিনি IAS অফিসার!

সকলের অনুপ্রেরণা
বিজয় বর্ধন!

সোনার কালিতে লিখেছেন
নিজের ইতিহাস!

ইঞ্জিয়ারিং ছেড়ে লক্ষ্যে অটল
ছিলেন এই IAS অফিসার!

আজ তার পথ অনুসরণ করেই এগিয়ে
চলছে হাজার হাজার ছাত্র-ছাত্রীরা!

Body:

ইউপিএসসি (UPSC) এটি কোনও সাধারণ পরীক্ষা নয় বরং অগ্নিপরীক্ষা। গুগলে সার্চ করলেও বলে দেবে ভারত তথা গোটা বিশ্বের মধ্যে অন্যতম কঠিন পরীক্ষা হচ্ছে ইউপিএসসি। প্রতি বছর অগুনতি পরীক্ষার্থী এই পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন। বছরের পর বছর পরীক্ষার প্রস্তুতি নেওয়ার পরও পিছিয়ে আসতে হয় অনেককেই। কেউ কেউ এক চান্সেই সফলতার মুখ দেখে,,,,,আবার কেউ কেউ ১০ বার দেওয়ার পর ক্র্যাক করতে পারে না। এরই মধ্যে একজন বিজয় বর্ধন! যিনি দাঁতে দাঁত চেপে লড়াই করে গেছেন। ওই যে কথায় আছে হারকে জিতনে ওয়ালোকে কেহেতে হ্যায় বাজিগর! ঠিক তেমনি হচ্ছেন বিজয় বর্ধন। একবার নয় দুবার নয় টানা ৩৫ বার ব্যর্থ হয়ে তিনি আজ দেশের নাম উজ্জ্বল করছেন। ব্যর্থতা তাকে বার বার উঠে দাঁড়াতে শিখিয়েছে। প্রতিনিয়ত তাকে নতুন করে লড়ার শক্তি জুগিয়েছে।

যদিও তিনি পেশায় ছিলেন ইঞ্জিনিয়ার। মোটা অঙ্কের বেতনে কিংবা দেশ বিদেশের নামীদামী কোম্পানিতে কাজ করে নয়। বরং নিজের পরিচয় গড়েছেন একজন আইএএস ( IAS ) অফিসার হিসেবে।

বিজয় বর্ধন হরিয়ানার সিরসার বাসিন্দা। এখান থেকেই তিনি তার বিদ্যালয়ের পাঠ শেষ করেন। এরপর উচ্চশিক্ষার জন্য তিনি বেছে নেন হিসারের ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজকে। এখান থেকে ইলেকট্রিক ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের উপর বিটেক ডিগ্রী অর্জন করেন। তবে ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করার পর তিনি মনে করেন এই একঘেয়েমি চাকরি জীবন তার জন্য ঠিক নয়। নিজেকে অন্যভাবে দেখতে চান। ঠিক করেন ইউপিএসসি পড়ে দেশের জন্য কাজ করবেন। তবে এই প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় বসা চাট্টিখানি কথা নয়। এজন্য প্রয়োজন অদম্য জেদ, তুখোড় মেধা, তুখোড় জ্ঞান সেই সাথে ধৈর্য। আর এই সমস্ত কিছু ছিল বিজয়ের মধ্যে।

তিনি ইউপিএসসি পড়ার জন্য সোজা চলে আসেন দিল্লিতে। সেখান থেকেই শুরু হয় তার নতুন আরেকটি পথচলা। প্রস্তুতিতে বিন্দুমাত্র খামতি ছিলো না। তবুও যেন ভাগ্য সাথে ছিল না। বারবার পরীক্ষা আর ফলাফল সেই জিরো। পিসিএস, এসএসসি, সিজিএল এর মতন ৩০টি সরকারী চাকরি পরীক্ষায় বসেন তিনি। কিন্তু সাফল্য যেন তার থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছিল। ৩০ বারই ব্যর্থ,,,,,,,,তবুও তিনি অনড়। রবার্ট ব্রুসের মতন তিনি নিজের লক্ষ্যে এগিয়ে চলেন। সময়টা ২০১৪ সাল, সেইবার প্রথম UPSC সিভিল সার্ভিস পরীক্ষায় বসেন বিজয়। কিন্তু সেবার প্রিলিমসই পাশ করতে পারেননি তিনি। তাতে কি হয়েছে আবার বসবেন সেই জেদে আরো চারবার পরীক্ষায় বসেন। কিন্তু তাতেও ব্যর্থ।

এরপর ২০১৮ সাল তার জীবনের স্বর্ণ মুহূর্ত। অক্লান্ত পরিশ্রম, ধৈর্য, নিষ্ঠা সবকিছুর জেরে তিনি সেবার ইউ পিএসসি পরীক্ষার মেধা তালিকায় ১০৪ নম্বরে আসেন। এরপর বিজয় আইপিএস অফিসার হিসেবে নিযুক্ত হন সেই বছর। তবে আইপিএস অফিসার নয় তার মূল লক্ষ্য আইএএস অফিসার হওয়া। যেমন ভাবা তেমন কাজ। ২০২১ সালে তিনি আবারো ইউপিএসসি পরীক্ষায় বসেন। আর এবারের স্বপ্নে কেউ বাঁধা হয়ে দাঁড়াতে পারেনি। প্রিলিমস, ইন্টারভিউ রাউন্ড একে একে ক্র্যাক করে দেশের অন্যতম সফল IAS অফিসারের শিরোপা ওঠে হরিয়ানার বিজয় বর্ধনের মাথায়। তার এই সাফল্য সকলকে বারবার চোখে আঙুল দিয়ে শিখিয়ে দিয়েছে যে ব্যর্থতা সাফল্যের অপর আরেক নাম।

একটি সাক্ষাৎকারে বিজয় বর্ধন জানান, নিজের উপর আত্মবিশ্বাস রাখতে সবার আগে। এটাই হচ্ছে সাফল্য হবার মূল চাবিকাঠি। অনেকেই দুবারের বেশি চেষ্টা করে হাঁপিয়ে যান। কিন্তু তিনি কখনোই তেমনটা করেননি। বরং যতবার ব্যর্থ হয়েছে সেখান থেকে শিখেছেন তার ভুলটা কোথায়। আর সেই ভুল সংশোধন করেই বারবার এগিয়ে গেছেন নিজের লক্ষ্যে। এমনকি হেরে যাবার পর পুরনো স্ট্র্যাটেজি ভুলে নতুন নতুন স্ট্র্যাটেজি তৈরি করেছেন। আর যার জন্য আজকে তিনি সাফল্যের চূড়ায়। সত্যিই বলতে কোন দ্বিধাবোধ নেই, যে বিজয় বর্ধন কল্পনাকে বাস্তব করে দেখিয়েছেন।

 


Posted

in

by

Tags:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *