বাংলায় ফের মমতা-ম্যাজিক! মুখ থুবড়ে পড়ল পড়ল বিজেপি!

Title: বাংলায় ফের মমতা-ম্যাজিক! মুখ থুবড়ে পড়ল পড়ল বিজেপি! ঠিক কি কারণ? এর পিছনে উঠে এলো ৯টি কারণ!

Focus:

বাংলায় ফের
মমতা-ম্যাজিক!

মুখ থুবড়ে পড়ল
পড়ল বিজেপি!

মোদীর গুটি শেষপর্যন্ত
দানঘরেই থেকে গেলো!

দিলীপ, নিশীথ সবই
ভোকাট্টা হলো!

ঠিক কি কারণে?
চুন কালি লাগলো বিজেপির!

এর পিছনে উঠে এসেছে
৯টি কারণ!

ঠিক এই কারণগুলির জন্যই
বিজেপির এহেন অবস্থা!

দেখুন

Body:

সকাল থেকেই ভোট ফলাফল নিয়ে মানুষের মনে আলাদাই উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। তবে সকালের ফলাফল এককথা বললেও, বেলা গড়াতে না গড়াতেই বলছে অন্যকথা। ২০১৯-এর লোকসভা ভোটের তুলনায় ২০২৪ লোকসভা ভোটে বাংলায় বিজেপির হাল বেহাল। ফলাফল যা বলছে তাতে ১৫ই পর করতে পারেনি বিজেপি। শুধু বাংলায় নয় গোটা দেশে বিজেপির ফলাফলে ধ্বস নেমেছে। বাংলায় ভোট গণনার পর যে সমীক্ষা দেখানো হয়েছিল। তাকেও বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে দিয়েছে শাসকদল। আর এহেন ফলাফল হওয়ার কারণে ইতিমধ্যে বিজেপিকে নিয়ে রাজ্য থেকে রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়েছে কাঁটাছেঁড়া। বাংলায় বিজেপির এমন অবস্থার কারণ হিসেবে উঠে এসেছে ঠিক নয় নয়টি কারণ। এই কারণগুলি কি কি –

এক, লক্ষ্মীর ভান্ডার:

বিশিষ্ট রাজনীতি বিশেষজ্ঞদের মতে, বাংলায় তৃণমূলের ম্যাজিক ফিগার পার এবং বিজেপির পতনের মূল কারণ হচ্ছে লক্ষ্মীর ভান্ডার। ২০২১-এর বিধানসভা ভোটের সময় এই প্রকল্পটি চালু হয়। সেই সময় যেমন এই প্রকল্পটিকে পাখির চোখ করা হয়েছিল। ২৪-এর লোকসভা ভোটেও এটিকেই করা হয় নিশানা। লক্ষ্মী ভান্ডারের টাকা দ্বিগুণ বাড়িয়ে দেওয়া হয়। এরফলে অনায়াসে ভোট বাক্সে ভোট বাড়িয়েছেন শাসক দল। এমনটাই মনে করছেন রাজনীতি মহলে একাংশ।

দুই, আবারো লক্ষ্মীর ভাণ্ডার:

অনেকেই মনে করছেন, বিজেপির এহেন পতনের কারণ হচ্ছে এই লক্ষ্মীর ভান্ডার। কারণ যে সময় দাঁড়িয়ে শাসকদল এই লক্ষ্মী ভান্ডারের ভাতার পরিমাণ বাড়িয়ে কাজে লাগাচ্ছে। সেইসময় বিরোধী দলের একাংশের মুখে এই প্রকল্প বন্ধ করে দেওয়ার সুর শোনা যায়। মুখ ফসকে হোক কিংবা অন্য যেকোনো কারণেই হোক তাদের মুখে এমন হুশিয়ারি শুনে কিছুটা হলেও পিছিয়ে আসেন মহিলারা। আর শাসকদল এটাকেই হাতিয়ার করে বিরোধীদের নিয়ে সকলের মনে ভয় সৃষ্টি করাতে থাকে। অন্যদিকে শুভেন্দু থেকে শুরু করে অমিত শাহর মতন ব্যক্তিরা আস্থা দিলেও কোন কাজে লাগেনি। ফলে ভোটের ফলাফল ১৮০° এঙ্গেলে ঘুরে যেতে দেখা যায়।

তিন, দলবদলু নেতা:

বিজেপিতে এমন অনেকেই আছেন যারা শাসক দল ছেড়ে বিরোধী দলে নাম লিখিয়েছেন। আর এই দলবদলু নেতাদের উপর অগাধ আস্থা ছিল বিরোধীদলের। রাজনীতি মহলের একাংশদের মতে, দলবদলু নেতাদের নিয়ে মাতামাতি করা ভোটারদের উপর বেশ প্রভাব ফেলে। শাসক দল ছেড়ে যারা বিজেপিতে নাম লিখিয়েছে তাদের পছন্দ করেননি অধিকাংশ ভোটাররাই। এরফলে বঙ্গে বিজেপির এমন অবস্থা হয়।

চার, মাত্রাতিরিক্ত আত্মবিশ্বাস:

বিশিষ্ট রাজনীতি গবেষকদের মতে, ভোটের আগে থেকেই বিরোধী দলের মধ্যে আত্মবিশ্বাসটা যেন একটু বেশিই দেখা যাচ্ছিল। মাঝে আবার এক্সিট পোলের সমীক্ষা যেন এই আত্মবিশ্বাসকে আরো দ্বিগুণ করে ফেলে। আর এই আত্মবিশ্বাসের কারণে এমন অনেক কান্ড ঘটিয়ে বসে বিজেপি। অনেক সময় বড়সড়ো মন্তব্য করতে শোনা বিরোধী নেতাদের মুখে। যেখানে বিরোধী দল একেবারেই মাথা ঠান্ডা রেখে একের পর এক চালিয়ে যান। এমনকি সেই সময় ঘটে যাওয়া বিভিন্ন বড় বড় ঘটনাকেও বেশ কায়দা করে ঘুরিয়ে দেন। ওভার কনফিডেন্স তো দূর তৃণমূল নেতারা রীতিমতো নিজেদের বাক সংযত করে রেখেছিলেন।

পাঁচ, ইন্ডিয়া জোট:

অনেকে আবার মনে করেছেন ইন্ডিয়া জোট নাকি এর অন্যতম কারণ। কারণ মঞ্চে দাঁড়িয়ে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একাধিকবার দাবি করেছেন, ইন্ডিয়া জোট নাকি তারই তৈরি। পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূল আলাদা করে লড়াই করলেও বাইরে থেকে হোক অথবা ভিতর থেকে সমর্থন তারা জানাবেন। অর্থাৎ এখান থেকে স্পষ্ট বোঝা গিয়েছে ইন্ডিয়া জোটের সঙ্গে বাংলার শাসক দলের সম্পর্ক বেশ ভালো।

ছয়, মামলা:

২০১৯ এর লোকসভা নির্বাচনের পর পরই বিরোধী দলের একাংশ নেতা নেত্রীদের নামে মামলা করা হয়। আর এই মামলাকে অনেকেই ভালোভাবেই নেননি বলে মনে করছেন রাজনৈতিক মহলের একাংশ। অনেকসময় বিরোধীরা এই মামলাগুলিকে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা বলে দাবি করেন। বিরোধীদের এই দাবীকে সমর্থন করে বেশিরভাগই মামলার ভয় উল্টো পথে হাঁটা দিয়েছেন।

সাত, কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা:

কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকেও অন্যতম কারণ হিসেবে দেখছেন রাজনীতি বিশেষজ্ঞরা। বেশিরভাগ সময়
শোনা গিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার সঙ্গে নাকি বিরোধীদলের বেশ ভালো সম্পর্ক রয়েছে। এরফলে যখন বিভিন্ন নেতা-নেত্রীদের বাড়িতে তদন্তকারী সংস্থা হানা দেয়। সেই সময় বিরোধী দলের উপর মানুষের খারাপ ধারণা জন্মাতে শুরু করে। এই খারাপ ধারণা ভোট বাক্সের ভোটসংখ্যা কমিয়েছে বলেই মনে করা হচ্ছে।

আট, হিংসা:

ইতিহাস ঘাঁটলেই দেখা যায়, ২০২১ এর বিধানসভা নির্বাচনের ফল প্রকাশের পর মারাত্মক হিংসার সৃষ্টি হয়েছিল নানান জায়গায়। শাসক থেকে বিরোধী দলের মধ্যে তুমুল হিংসা মারামারি চলতে থাকে। বিশেষ করে বিরোধী দলের কর্মীরা যখন আক্রান্ত হয় সেই সময় বিজেপি নেতা-নেত্রীদের সাথে যোগাযোগ করতে পারেনি তারা। সেই ঘটনাকেই নাকি বিজেপির অবক্ষয়ের মূল কারণ বলেই মনে করছেন রাজনীতি গবেষকরা।

নয়, সংখ্যালঘু গোষ্ঠী:

শাসক দল সর্বদা সংখ্যালঘু গোষ্ঠীদের টার্গেট করে। এবারও যার অন্যথা হয়নি। প্রতিবার এই সংখ্যালঘু গোষ্ঠীদের থেকে ভোট নিয়ে ভোটব্যাংক ভরিয়ে থাকেন তারা। অন্যদিকে বিরোধীদল থেকে শুরু করে অন্যান্য যে কোন দলই এই বিষয়টিকে কাজে লাগাতে পারেনি।


Posted

in

by

Tags:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *