Title: রাম মন্দির নয়! এখন নজর কাড়ছে হনুমান গড়ি! এখানেই রয়েছে ১৬০০ কেজি ওজনের দৈত্যাকার বাহুবলী গদা! সাধারণ মানুষের ধরা ছোঁয়ার বাইরে!
Focus:
রাম মন্দির নয়!
এখন নজর কাড়ছে
হনুমান গড়ি!
এখানেই রয়েছে ১৬০০ কেজি
দৈত্যাকার বাহুবলী গদা!
সাধারণ মানুষের
ধরা ছোঁয়ার বাইরে!
পঞ্চধাতু দিয়ে তৈরি এই
গদার দাম লাখ লাখ টাকা!
শুধু গদাই নয় সাথে রয়েছে
পালোয়ান আকারের তীর ধনুক!
কে বানিয়েছে এই গদা?
কোথায় রয়েছে এই মন্দির?
চলতি বছরের একদম শুরুতেই মহাসমারোহের সাথে উদ্বোধন হয় রাম মন্দির। দীর্ঘ ৫০০ বছর পর ঘরের ছেলে ঘরে ফিরেছে। সেই থেকে কেটে গেছে কয়েকমাস। তারপরও যেনো রাম মন্দির নিয়ে মানুষের মনে উত্তেজনায় বিন্দুমাত্র ভাটা পড়েনি। লাখ লাখ ভক্ত প্রতিদিন এখানে ভিড় জমিয়ে থাকে। তবে এখন রাম মন্দির নয় ভিড় জমছে তারই ভক্ত হনুমানকে দেখার জন্য। উত্তরপ্রদেশের অযোধ্যাতেই রয়েছে হনুমানজির গড়ি। রাম মন্দিরের খুব কাছেই অবস্থিত এই মন্দির। রাম মন্দিরের থাকা ১২০০ কেজি ওজনের ঘন্টার কথা সকলেই শুনেছেন। কিন্তু তার চেয়েও বেশি ওজনের গদা এসেছে হনুমানজির জন্য। হ্যাঁ ঠিকই শুনছেন ১-২ কেজি ওজনের গদা নয়! একেবারে ১৬০০ কেজি! এই গদা একজন সাধারণ মানুষ তো দূর ১০ জন মিলেও তুলতে পারবে না।
তথ্যসূত্র জানা গিয়েছে, এই হনুমানজির গড়ি রাম মন্দিরের একদম প্রাঙ্গণে। এই মন্দির তৈরি হয় শত শত বছর আগে। পাহাড়ের চূড়ায় অবস্থিত এই মন্দিরটির মধ্যে বসে রয়েছেন বজরংবালি। সদ্য তৈরি হওয়া রাম মন্দির নির্মাণের পর নবরূপে সেজে উঠছেন হনুমানজি। তথ্যসূত্রে জানা যাচ্ছে, রাম মন্দির নির্মাণের পর প্রভুকে ধীরে ধীরে সাজানো হচ্ছে। আর সাজানোর জন্য দেশ বিদেশের নানা প্রান্ত থেকে উপহার আসছে রামের নামে। এমনকি ইতিমধ্যেই বিভিন্ন অস্ত্রও চলে এসেছে। তবে উপহার শুধু রামের জন্যই পাঠানো হচ্ছে না,,,,,,,,তাঁর পরমপ্রিয় ভক্তর জন্যও পাঠানো হয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে আকর্ষণীয় একটি অস্ত্রও পাঠানো হয়। তা হচ্ছে এই ১৬০০ কেজি ওজনের গদা। এই গদা কোনো সাধারণ গদা নয়। প্রাপ্ত বয়স্ক ৪০ জনের ওজন এই গদার সমান। এই দৈত্যাকার গদাই হনুমানজির প্রধান অস্ত্র।
জানা যায়, প্রায় অনেক মাস ধরে রাজস্থানের সিরোহির জেলার অন্তর্গত শিবগঞ্জের কারিগররা এই গদাটি তৈরি করেছেন। ২৪ জনেরও বেশি কারিগর মিলে এই গদাটি সম্পূর্ণ রূপে প্রস্তুত করেছেন। শুধু তাই নয়, এই গদা কোনো যে সে পাথর দিয়ে তৈরি নয়। এর মধ্যে পঞ্চধাতুর ব্যবহার করা হয়েছে। সোনা, রুপো, লোহা, জিঙ্ক এবং কপারের সংমিশ্রণে বানানো হয়। তবে শুধু গদাই নয়, প্রভু রামের জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে ১১০০ কেজির ওজনে তীর ধনুক।
১২ ফুট চওড়া ২৬ ফুট উঁচু গদা ইতিমধ্যেই অযোধ্যায় চলে এসেছে। এই অস্ত্র দুটি ১৬ই জুন রাম মন্দিরে আসে। এরপর ১৭ই জুন এই গদা এবং তীর ধনুক বিশেষ পূজা অর্চনার মধ্যে দিয়ে প্রথম রামের পায়ে উৎসর্গ করা হয়। এরপর বজরং বালির মন্দিরে নিয়ে যাওয়া হবে। আপনি জানিয়ে রাখি, ১৬০০ কেজি ওজনের গদা এবং ১১০০ কেজি ওজনের তীর ধনুক তোলার জন্য ব্যবহার করা হয়েছে ক্রেনের। আর এই দুই অস্ত্র দেখার জন্যই ভক্তরা ভিড় জমাচ্ছে।
Leave a Reply