সন্ধ্যার পূজোর সময় ভুলেও করবেন না এই ৫টি কাজ!

Title: সন্ধ্যার পূজোর সময় ভুলেও করবেন না এই ৫টি কাজ! সংসারে ঘনিয়ে আসবে বিপদ! ঘুরঘুর করবে অলক্ষ্মী!

Focus:

সন্ধ্যার পূজোর সময় ভুলেও
করবেন না এই ৫টি কাজ!

সংসারে ঘনিয়ে
আসবে বিপদ!

ঘুরঘুর করবে অলক্ষ্মী!
কপালে লাগবে বিধবা দশা!

স্বামীর মন মজবে অন্য নারীতে,
অভাবে অভাবে কাটবে দিন!

তাই সন্ধ্যা পূজো করার আগে
দেখে নিন এই প্রতিবেদন

Body:

হিন্দুরা কর্মের চেয়ে ধর্মে বিশ্বাসী! বিশেষ করে পূজো পার্বণ নিয়ে তাদের মনে এক আলাদাই বিশ্বাস। তাদের কাছে ভগবানই শুরু! ভগবানই শেষ। সকাল সন্ধ্যে নিয়ম নিষ্ঠা মেনে ভগবানের আরাধনা করে থাকেন। পুজোতে বিন্দুমাত্র মাত্র খামতি রাখা চলবে না। একমাত্র ঈশ্বরের আরাধনার মাধ্যমেই সংসারে সুখ সমৃদ্ধি বৃদ্ধি পায় এমনটাই মনে করেন হিন্দুরা। তবে আমরা অনেকেই পুজো করার সময় কিছু বড় বড় ভুল করে থাকি। বিশেষ করে সন্ধ্যা পুজোর সময় বিশেষ খেয়াল রাখা উচিত। এই সময় ভুলেও এই ৫টি কাজ করতে নেই। এই ৫টি ভুল জীবনে অনর্থ ডেকে আনে। সংসার সুখের বদলে দুর্ভোগ নামে। লক্ষ্মী নয় বরং অলক্ষ্মীর আগমন হয়। ভুলের মাশুল গুনতে না চাইলে,,,,,,, দেখে নিন এই পাঁচটি কাজ কি কি-

এক, ফুল অর্পণ করা:

সকালে ভগবানের পুজোর সময় ভিন্ন ধরনের ফুল অর্পণ করা হয়। ধর্মীয় বিশ্বাস অনুসারে এই সময় ফুল নিবেদন করলে সংসারের জন্য তা শুভ। কিন্তু সকালের পর সন্ধ্যাবেলায় পুজো দেওয়ার সময় ফুল তোলা উচিত নয়। এমনকি ভগবানের পায়ে ফুল নিবেদন করলে ভগবান রুষ্ট হন। কারণ সব কিছুরই একটি নির্দিষ্ট সময় থাকে। সেই সময়ের পর ওই কাজগুলি করলে তাতে হিতে বিপরীত হয়।

দুই, শঙ্খ, ঘন্টা বাজানো:

ভুলেও সন্ধ্যাবেলায় ঠাকুরের আরাধনার করার সময় শঙ্খ ঘন্টা বাজাবেন না। প্রায় প্রতিটি হিন্দু বাড়িতেই সকালের পাশাপাশি সন্ধ্যাবেলাতেও শঙ্খ ঘন্টা বাজতে দেখা যায়। কিন্তু এই নিয়ম সঠিক নয়। বৈদিক শাস্ত্র অনুসারে, এই সময় পৃথিবীতে ঐশ্বরিক শক্তি কাজ করে। অর্থাৎ দেব-দেবীরা এই সময় নিজ স্থানে ফিরে যান কিংবা বিশ্রাম নেন। আর এমন সময় শঙ্খ ঘন্টা বাজিয়ে পূজা করলে , তাদের বিশ্রামে ব্যাঘাত ঘটে। ফলে রেগে গিয়ে আপনাকে অভিশাপ দিতে থাকেন।

তিন, সূর্যদেবতাকে পূজো:

সূর্য অস্ত যাওয়ার পর কখনোই সূর্য দেবতাকে পূজো করা উচিত নয়। জ্যোতিষ শাস্ত্র অনুসারে, সূর্যাস্তের পর দেবদেবীরা বিশ্রাম নেন। এমনকি সূর্যদেব সেইসময় বিশ্রামে যান। তাই এমন সময় সূর্য মন্ত্র পাঠ করলে দেবতারা ক্ষুব্ধ হন। সংসারে অশুভ শক্তির উত্থান ঘটে। সংসারে কুনজর লাগে। ফলে সংসার অভাব অনটনে ছেয়ে যায়।

চার, তুলসী পাতা:

কথিত আছে সন্ধ্যার পুজোতে তুলসী গাছে হাত দেওয়া ঘোরতর অমঙ্গল। তুলসী হচ্ছে মা লক্ষ্মীর অপর আরেকটি রূপ। আর তুলসী পাতা ছেঁড়া মানে মা লক্ষ্মীকে অসম্মান করা। দেবী লক্ষ্মী রুষ্ট হলে আপনার জীবনে আর্থিক অভাবের শেষ থাকবে না। শুধু তাই নয়, সংসারে অলক্ষ্মীর ছায়া পড়তে শুরু করে। অলক্ষ্মীর কুনজরে সাজানো গুছানো সংসার ধ্বংস হয়ে যায়। সেই সাথে স্বামী সুখ থেকে বঞ্চিত হতে হয়।

এগুলো ছাড়াও আরেকটি কাজ হচ্ছে প্রদীপ জ্বালানো:

সন্ধ্যা পূজোর সময় আমরা শুধু ধূপ জ্বালিয়ে থাকি। কিন্তু নিয়ম অনুসারে সন্ধ্যেবেলায় ধূপের বদলে প্রদীপ জ্বালানো সবচেয়ে বেশি শুভ বলে গণ্য করা হয়। প্রদীপের আলোয় ঠাকুর ঘর আলোয় আলোকিত হয়ে ওঠে। কিন্তু সকলে আলো করার বদলে ঠাকুর ঘরকে অন্ধকার করে রেখে দেন। যা শাস্ত্র বিরোধী।


Posted

in

by

Tags:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *