ডাবের জল তো খাচ্ছেন! কিন্তু কখনো কি ভেবে দেখেছেন কিভাবে আসে এই জল?

Title: ডাবের জল তো খাচ্ছেন! কিন্তু কখনো কি ভেবে দেখেছেন কিভাবে আসে এই জল? ৯৯% মানুষই জানেন না এর উত্তর!

Focus

ডাবের জল
তো খাচ্ছেন!

কিন্তু কখনো কি ভেবে দেখেছেন
কিভাবে আসে এই জল?

শুধু ডাবেই কেনো জল থাকে?
আর অন্য কোনো ফলে নয় কেনো?

৯৯% মানুষই জানেন
না এর উত্তর!

এর পিছনে রয়েছে
বিশেষ কিছু ব্যাখ্যা!

দেখুন

Body:

ডাব হোক কিংবা নারকেল তার জল খেতে কার না ভালো লাগে বলুন তো। শুধু কি তাই, ডাবের ভেতরের শাঁসও কিন্তু দারুণ উপকারী। শরীরে ডিহাইড্রেশন দেখা দিলে চিকিৎসকেরা ডাব খাবার পরামর্শ দেন। তাই নয় কিডনির রোগ থেকে শুরু করে, সুগার পর্যন্ত সারাতে সক্ষম এই ডাবের জল। এই পৃথিবীতে যত ফল আছে তার মধ্যে ডাবই একমাত্র ফল যার মধ্যে জল পাওয়া যায়। সেটা কাঁচা অবস্থা হোক কিংবা পাকা অবস্থা। এককথায় বলাই যায় ডাব জলের ভাণ্ডার। কিন্তু এই জল কোথা থেকে আসে বলুন তো? উওর কি জানা আছে? নেই তো! আজকের প্রতিবেদনে জানাবো এর বিস্তারিত ব্যাখ্যা। যা শুনলে আপনিও অবাক হয়ে যাবেন!

ডাবের এই জলের আসল উৎস হচ্ছে এন্ডোস্পার্ম। এটিকে একপ্রকার টিস্যুও বলা যায়। আর এই এন্ডোস্পার্ম অংশটি গাছের শিকড় থেকে পুরো কাণ্ড অবধি ভেদ করে পাতা, ফুল ও ফলে বিস্তৃত থাকে। মূলত নারকেল গাছ জল সঞ্চয় করতে এই অংশটিকে ব্যবহার করে। এর সাহায্য শিকড় থেকে গাছ জল শোষণ করে নেয়।

এখন প্রশ্ন হচ্ছে এন্ডোসপার্ম অংশটি কিভাবে কাজ করে?

আপনাদের আগেই জানিয়েছি এগুলি একপ্রকার টিস্যুর মত। যা মূলত বীজের অভ্যন্তরে সৃষ্টি হয়। এই অংশটি গাছটি বৃদ্ধি পাওয়ার সাথে সাথে ভ্রূণকে পুষ্টি প্রদান করতে থাকে। এগুলো মূলত ট্রিপলয়েড প্রকৃতির হয়ে থাকে। অর্থাৎ প্রতিটি নিউক্লিয়াসে তিনটি ক্রোমোজোম গঠন করা থাকে। প্রথম অবস্থায় এটি তরল প্রকৃতির হয়। এবার নারকেল ফল যত বৃদ্ধি পেতে থাকে ততই এটি ঘনীভূত হতে থাকে। একসময় তা সাদা পুরু অংশে পরিণত হয়ে যায়। একসময় এটি সরু নলের আকার ধারণ করে পাতা, শিকড়, ফল,ফুলে বিস্তার লাভ করে।

এরপর এই সরু নলটি শিকড় ভেদ করে মাটি থেকে জল শোষণ করতে থাকে। আর এই জল ওই টিস্যুর মাধ্যমে ফলের ভিতর আনা হয়। ডাব যতক্ষণ না পাকছে ততক্ষণ অবধি এই ক্রিয়াকলাপ চলতে থাকে। ডাব পেকে নারকেলে পরিণত হয়ে গেলে পরবর্তীতে এই এন্ডোস্পার্ম শক্ত হয়ে যায়। এবং তা খাবারের যোগ্য হয়ে উঠে।

ঠিক এইভাবেই ডাবের জল উৎপন্ন হয়। আর সেই জলই আমরা পান করছি।


Posted

in

by

Tags:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *