Title: আর না লক্ষ্মীর ভাণ্ডার! না কন্যাশ্রী! বাড়িতে মেয়ে থাকলেই পাবেন ২ লক্ষ টাকা! বাবা মায়েদের জন্য ফাটাফাটি সুখবর!
Focus:
আর না লক্ষ্মীর ভাণ্ডার,
না কন্যাশ্রী!
বাড়িতে মেয়ে থাকলেই
পাবেন ২ লক্ষ টাকা!
কন্যা সন্তানদের বাবা মায়েদের
জন্য ফাটাফাটি সুখবর!
কন্যার চিন্তায় আর
কপাল চাপড়াতে হবে না!
বাড়ির কন্যাই
এখন স্বয়ং লক্ষ্মী!
সরকার থেকে দেওয়া
হচ্ছে এই টাকা!
আপনার কন্যা সন্তান থাকলে
অবশ্যই এই ভিডিওটি দেখুন!
Body:
বাড়িতে কন্যা সন্তান জন্মানো মানেই বাবা-মায়ের চিন্তা শুরু। মেয়েদের জন্য পড়াশুনা থেকে শুরু করে বিয়ের খরচ, যাবতীয় জিনিসের খরচাপাতি নিয়ে টেনশনের শেষ নেই। আবার কিছু কিছু বাড়িতে কন্যা সন্তান জন্মালে আফসোস শুরু হয়। কারণ ছেলেদের মতন তো মেয়েরা তো আর ঢালাও টাকা রোজগার করতে পারে না! বরং মেয়েদের পিছনে গাদাগুচ্ছের টাকা ধ্বংস করতে হয়। তবে একথা আমরা বলছি না। বলছে সমাজই। এরফলে শুরু হয় কপাল ঠোকা। তবে এবার থেকে বাড়িতে কন্যা সন্তান থাকলে হাতে উঠবে সোনার সিঁড়ি। না করতে হবে কোনো ব্যয়, আর না কিছু। তাও পাবেন ২ লাখ টাকা। তাও আবার কে দেবে? নাকি সরকার। কি কন্যাশ্রী? কি লক্ষ্মীর ভাণ্ডার কোনো কিছুই পাত্তা পাবে না এর সামনে।
সরকারের তরফ থেকে চালু করা হয়েছে দারুণ একটি প্রকল্প। এটি কোনো আতিপাতি প্রকল্প নয়। একে সোনার ভাণ্ডার বললে কম কিছু হবে না। এই প্রকল্পের নাম হচ্ছে ভাগ্যলক্ষ্মী যোজনা। শুধু মেয়ে নয় টাকা পাবেন মেয়ের মায়েরাও।
কি এই ভাগ্যলক্ষ্মী যোজনা দেখুন?
আগেই জানিয়ে রাখি এটি পশ্চিমবঙ্গ সরকারের প্রকল্প নয়। এই প্রকল্পটি চালু করেছেন উত্তরপ্রদেশের সরকার। এই প্রকল্প চালু করার কারণ, আমাদের দেশে আজও অনেক বাবা মা আছেন,,,,,,,,,,যারা অর্থের অভাবে মেয়েদের তাড়াতাড়ি বিয়ে দিয়ে দেন। যার ফলে আজও মেয়েরা পিছিয়ে আছে। সকল মেয়েদের স্বাবলম্বী করতে, স্বনির্ভর এবং সুপ্রতিষ্ঠিত করতে এই পদক্ষেপ। এই প্রকল্পের মাধ্যমে মেয়েদের শিক্ষা থেকে শুরু করে বিয়ে কোনো কিছু নিয়ে চিন্তা থাকবে না বাবা মায়ের। এই প্রকল্পের মাধ্যমে কন্যা সন্তান জন্মানোর পর সরকারের তরফ থেকে ৫০ হাজার টাকার বন্ড দেওয়া হয়। এরপর মেয়ের ২১ বছর হয়ে গেলে ২ লক্ষ টাকা দেওয়া হয়।
তবে এই প্রকল্পের জন্য বিশেষ কিছু শর্ত রয়েছে, সেগুলি কি কি? দেখুন
এক, কন্যা জন্মানোর ৬ মাস পর আবেদন করতে পারবেন। তার আগে আবেদন করা যাবে না।
দুই, এই প্রকল্পের সুবিধা একটি পরিবারের ২ জন মেয়েকেই দেওয়া হয়ে থাকে। তার বেশি নয়।
তিন, অবশ্যই পরিবারের মাসিক আয় ২০ হাজার টাকার নিচে হতে হবে।
এতে কি কি সুবিধা পাওয়া যাবে?
আগেই জানিয়েছি, মেয়ের ২১ বছর হলেই ২ লক্ষ টাকা হাতে তুলে দেওয়া হবে। সেইটাকা দিয়ে তারা উচ্চশিক্ষা লাভ করতে পারেন কিংবা বিয়ের কাজেও লাগাতে পারেন।
দুই, এর পাশাপাশি আপনার মেয়ে যখন যে শ্রেণীতে পড়বে সেই হিসেবে আর্থিক সাহায্য প্রদান করা হবে। ষষ্ঠ শ্রেণীতে ৩ হাজার টাকা দেওয়া হবে, আবার অষ্টম শ্রেণীতে ৫ হাজার টাকা, দশম শ্রেণীতে ৭ হাজার টাকা, দ্বাদশ শ্রেণীতে ৮ হাজার টাকার আর্থিক সাহায্য প্রদান করা হবে।
তিন, মেয়ের মাকেও ৫১০০ টাকা আর্থিক সাহায্য করা হয়ে থাকে।
কিভাবে করবেন আবেদন? কি কি নথির প্রয়োজন?
আবেদন করা আহামরি কোনো বিষয় নয়। অনলাইনে হোক কিংবা অফলাইন দুভাবেই করা যাবে। অনলাইনে আবেদন করলে নির্দিষ্ট ওয়েবসাইটে গিয়ে আবেদন করুন। এবং অফলাইনে আবেদন করলে প্রশাসনের কাজ করা হয় সেই সমস্ত অফিসে গিয়ে কথা বলুন।
এর জন্য প্রয়োজন বাবা-মায়ের আধার কার্ড, মেয়ের আধার কার্ড, মেয়ের বার্থ সার্টফিকেট, ইনকাম সার্টিফিকেট, পিতামাতার চাকরির সার্টিফিকেট, কন্যার নামে ব্যাংক অ্যাকাউন্টের পাশবই ইত্যাদি।
Leave a Reply