ট্রেন লেট হতেই ক্ষতিপূরণ! ঘাড় মটকে ক্ষতিপূরণ নিল রেলের কাছ থেকে!

Title: ট্রেন লেট হতেই ক্ষতিপূরণ! ঘাড় মটকে ক্ষতিপূরণ নিল রেলের কাছ থেকে! কোনো ছাড় নেই!

Focus:

ট্রেন লেট
হতেই ক্ষতিপূরণ!

ঘাড় মটকে ক্ষতিপূরণ
নিল রেলের কাছ থেকে!

একেবারে সুদে আসলে সব
মিটিয়ে নিলেন যাত্রী!

চিন্তায় ঘুম উড়েছে
রেল কর্তৃপক্ষের!

কোনো ছাড় নেই!
কেন হবে লেট?
কেনো এতো অনিয়ম?
নড়েচড়ে বসেছে জনগণ!

দেখুন
বিস্তারিত

Body:

রেল হচ্ছে ভারতের মেরুদণ্ড। আজকের লাখ লাখ মানুষের ভরসা একমাত্র এই ট্রেন। প্রতিদিন প্রায় ভারতের বুক থেকে কত ট্রেন ছুটে যাচ্ছে তা হিসাবের বাইরে। ধনী, হোক কিংবা মধ্যবিত্ত কিংবা গরীব সকলের জন্যই ট্রেন পরিষেবা। তবে ট্রেন যেমন মানুষকে নিত্যদিন সুবিধা দিয়ে থাকেন। তেমনই ট্রেন আবার মানুষের জীবনে শনির দশা ডেকে আনে। মাঝে মধ্যেই ট্রেনের চক্করে পড়ে বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। ট্রেনের সবথেকে বড় অসুবিধা হচ্ছে ট্রেন লেট। ট্রেন লেট হওয়া প্রায় নিত্যদিনের বিষয়। স্টেশনে এসে ঘণ্টার পর ঘন্টা দাড়িয়ে থাকা। এটা অস্বাভাবিক কিছু নয়। কিন্তু এবার যদি শোনেন ট্রেন লেট হলেই আপনাকে লেট ফাইন দেওয়া হবে। তাহলে নিশ্চয়ই ব্যাপারটি অস্বাভাবিক লাগবে। তবে অস্বাভাবিক কিছুই নয়। এমনই ঘটনা ঘটেছে গুজরাটে। ২ যাত্রীকে ট্রেন লেটের কারণে ক্ষতিপূরনের দিতে হয়েছে রেলকে। ওই দুই ব্যক্তিকে ৭০০০ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দেয় ক্রেতা সুরক্ষা কমিশন।

ঘটনাটি ঘটেছে প্রায় বছর দুয়েক আগে। সময়টা তখন ২০২২ সাল ২০ আগষ্ট। সেসময় ২ যাত্রীকে ট্রেন লেটের মত সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। ওই দুই যাত্রী পেশায় ছিলেন আইনজীবী। সেইসময় তাদের আমেদাবাদে একটি মামলা ছিল। মামলা সংক্রান্ত কাজের জন্য তাদের আমেদাবাদ যাওয়ার প্রয়োজনও ছিল সেদিন। কলকাতা থেকে আমেদাবাদ এক্সপ্রেসে টিকিট বুকিং করেছিলেন। নির্দিষ্ট দিনে, নির্দিষ্ট সময়, নির্দিষ্ট স্টেশনে পৌঁছেও যান তারা। কিন্তু স্টেশনে এসে ঘটে বিপত্তি। টানা ৩ ঘন্টা ট্রেন লেট। তখনো পর্যন্ত স্টেশনে ট্রেন আসেনি। এদিকে ট্রেন লেট হওয়ার কারণে ওখানে মামলা সংক্রান্ত কাজ পিছিয়ে যাচ্ছিল। তাই কোনরকমে দুজনে শান্তি এক্সপ্রেস জেনারেল কামরার টিকিট কাটেন। আর সেই ট্রেনে করে গন্তব্যস্থলে পৌঁছন। কিন্তু এই ট্রেনে ওঠার পর টানা ৭ ঘন্টা দাঁড়িয়ে তাদের যাত্রা সম্পন্ন করতে হয়। এই সমস্যা বলা যায় একপ্রকার মানসিক নির্যাতনের সমান। ট্রেন লেট হওয়ার কারণে রেল কর্তৃপক্ষের উপরে মামলা করেন ওই ২ আইনজীবী। সেদিন ট্রেন লেট হওয়ার কারণে মানসিক, শারীরিক হেনস্থা এবং আর্থিক ক্ষতির জন্য রেল কর্তৃপক্ষের কাছে ক্ষতিপূরণ দাবি করেন।

কলকাতা থেকে আমেদাবাদের ট্রেনে টিকিট পার পিছু ভাড়া ছিল ১৬৫০ টাকা। অর্থাৎ দুজনের ট্রেনের টিকিট বাবদ খরচা হয়েছিল ৩৩০০ টাকা। এবং পরবর্তীতে ট্রেন লেট হওয়ার কারণে শান্তি এক্সপ্রেসে তারা টিকিট কাটেন। সেখানে এক একজনের টিকিটের দাম পড়ে ১৫০ টাকা। অর্থাৎ দুজনের ৩০০ টাকা। যে টাকা খরচ হয়েছে সে টিকিটের ভাড়া ফেরত দেওয়ার দাবি করেন তারা। শুধু তাই নয় এর পাশাপাশি ট্রেন লেট হওয়ার কারণে যেভাবে হেনস্থার সম্মুখীন হতে হয় তার জন্য ক্ষতিপূরণ বাবদ ৫০ হাজার টাকা দাবি করেন রেলের কাছে। জেলা ক্রেতা সুরক্ষা কমিশন তাদের দাবি মেনে নেয়। এবং টিকিটের ভাড়া বাবদ ৩৩০০ টাকার উপর অতিরিক্ত ৯ শতাংশ সুদ দিয়ে ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন। এর পাশাপাশি মানসিক হেনস্তার জন্য ৩০০০ টাকা এবং মামলা খরচের জন্য ২০০০ টাকা দেওয়ার নির্দেশ দেয় রেল কর্তৃপক্ষকে।

এখন বিষয়টি শুনে অনেকেই ভাবছেন এমনকি আদৌ সম্ভব হয়। হ্যাঁ অবশ্যই হয়। আইন অনুসারে, কোন ট্রেন যদি আসতে তিন ঘন্টার বেশি দেরি করে। তাহলে সেই ট্রেনের টিকিট ক্যানসেল করে টিকিটের সম্পূর্ণ ভাড়া ফেরত চাইতে পারেন যাত্রীরা। তবে হ্যাঁ টাকা ফেরত পেতে হলে অবশ্যই যাত্রীকে TDR ফাইল করতে হবে। এছাড়াও ট্রেন লেট হওয়ার কারণে যদি কোন যাত্রীকে বড়সড়ো সমস্যা মুখে পড়তে হয়। সেক্ষেত্রে সেই যাত্রীকে ক্ষতিপূরণ দিতে বাধ্য রেল কর্তৃপক্ষ।


Posted

in

by

Tags:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *